
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দুটি আলাদা হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনুসহ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ শুনানি শেষে এই নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন।
এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বাকি দুজন হলেন—সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ এবং যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান।
সংশ্লিষ্টদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হলে, তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মাহমুদুল হাসান যাত্রাবাড়ী থানার ফরিদ আহমেদ হত্যা মামলায় পলক ও মনুকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।
একইভাবে, যাত্রাবাড়ী থানার আরেকটি মামলায় আব্দুর রাজ্জাক হত্যা চেষ্টা মামলায় শহিদুল্লাহ ও আবুল হাসানকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. নাহিদ হোসেন খান। শুনানি শেষে আদালত উভয় মামলায় চারজনকেই গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমোদন দেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ‘জুলাই আন্দোলন’-এর অংশ হিসেবে যাত্রাবাড়ীর হানিফ ফ্লাইওভারের ওপর ছাত্র ও জনতার সঙ্গে অবস্থান নেন ফরিদ আহমেদ। সে সময় আসামিদের গুলিতে তিনি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরিদ আহমেদ মারা যান। ঘটনার আট মাস পর, ২৩ এপ্রিল যাত্রাবাড়ী থানায় ফরিদ হত্যা মামলাটি দায়ের করা হয়।
একই দিনে, দুপুরে যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন আব্দুর রাজ্জাক। দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ হলেও, ১৫ জানুয়ারি থানায় মামলা করতে গেলে তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপর ২৪ মার্চ তিনি আদালতে মামলা করেন।
চারজনের বিরুদ্ধেই বর্তমানে হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত চলছে, এবং আদালতের আদেশ অনুযায়ী তাদেরকে এই মামলাগুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।