
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার (১ অক্টোবর) মধ্যপ্রাচ্যের কাতারের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। এই আদেশে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, কাতারে কোনো ধরনের হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্র তা নিজেদের শান্তি ও নিরাপত্তার হুমকি হিসেবে গ্রহণ করবে।
তিন সপ্তাহ আগে ইসরায়েল কাতারের রাজধানী দোহাতে হামাসের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যা কাতারের তীব্র ক্ষোভের কারণ হয়। ঘটনার পর সোমবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু কাতারের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প কাতারের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য নির্বাহী আদেশ জারি করেন।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, এ আদেশটি ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাস-ইসরায়েল সংঘর্ষের মধ্যস্থতা ও যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে কাতারের ওপর হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এছাড়া বিদেশি কোনো রাষ্ট্র যদি কাতারে আগ্রাসী হামলা চালায়, যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক এবং সমন্বিত ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন।
কাতারে অবস্থিত আল-উদেইদ বিমানঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত। গত জুনে ইরান ও ইসরায়েলের সংঘর্ষের সময় যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়, যার জবাবে ইরান এই ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে সীমিত পরিমাণে মিসাইল নিক্ষেপ করে।
ট্রাম্প এ আদেশে কাতারের মধ্যস্থতাকারী ভূমিকাকেও আন্তর্জাতিক দ্বন্দ্ব নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।