
প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ মানবসম্পদ গঠনের লক্ষ্যে টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (টিভিইটি) খাতে বড় অঙ্কের সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশের সঙ্গে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয় রোববার ঢাকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ভবনে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন ইআরডি সচিব মো. শহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, এবং এডিবির হয়ে স্বাক্ষর করেন সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং।
চুক্তি অনুযায়ী, এডিবি-র অর্থায়নে গৃহীত কর্মসূচি দেশের টিভিইটি ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলবে। হো ইউন জিয়ং বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণের অগ্রাধিকার অনুযায়ী এই কর্মসূচি পাঁচটি প্রধান প্রযুক্তি ক্লাস্টারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। সেগুলো হলো— যান্ত্রিক, ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সিভিল এবং খাদ্য ও কৃষি খাত।”
তিনি আরও জানান, এই কর্মসূচি বাংলাদেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং দারিদ্র্য হ্রাসে সহায়ক হবে। এতে মর্যাদাসম্পন্ন কাজের সুযোগ বাড়বে এবং বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা উন্নত হবে।
‘টিভিইটি টিচার্স ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রাম’ এর আওতায় এই ফলাফলভিত্তিক সহায়তা মূলত ঢাকার বাইরের এবং অপেক্ষাকৃত অনুন্নত অঞ্চলের জন্য টেকসই শিক্ষক প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে কাজ করবে। এতে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রশিক্ষকরা আরও দক্ষ হয়ে উঠবেন, পাশাপাশি শিক্ষক ব্যবস্থাপনা, প্রতিবেদন ও উন্নয়ন কাঠামোও শক্তিশালী হবে।
এই প্রকল্প শেষে অন্তত ১০ হাজার নতুন ও বিদ্যমান টিভিইটি প্রশিক্ষক উন্নত প্রশিক্ষণ লাভ করবেন। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর ওপর। এছাড়া দেশে একটি জাতীয় স্তরের ধারাবাহিক পেশাগত উন্নয়ন কাঠামো গড়ে তোলা হবে, যা টিভিইটি খাতের মান ও প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
উল্লেখ্য, এডিবি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহনশীল ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি প্রভাবশালী বহুপাক্ষিক উন্নয়ন সংস্থা। তারা উদ্ভাবনী অর্থায়ন ও কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবকাঠামো ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
সূত্র: বাসস