.webp)
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় চারটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এই হামলা ইসরায়েলের আগ্রাসনের জবাব এবং ফিলিস্তিনের প্রতি তাদের অটল সমর্থনের অংশ বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ইয়েমেনি সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, তিনটি ড্রোন উম্ম আল-রাশরাশ (ইলাত) অঞ্চলের রামোন বিমানবন্দরে আঘাত হানে। অন্য একটি ড্রোন অধিকৃত নেগেভ এলাকার একটি সামরিক স্থাপনায় লক্ষ্যভেদ করে। সারি দাবি করেন, চারটি ড্রোনই নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে পৌঁছেছে।
তিনি আরও বলেন, "ইয়েমেনি জনগণের বিরুদ্ধে এই অপরাধমূলক আগ্রাসন আমাদের সংকল্পকে দুর্বল করতে পারবে না, বরং আমাদের দৃঢ় প্রতিরোধকেই আরও শক্তিশালী করবে।" সারি পুনর্ব্যক্ত করেন, ইয়েমেন তার ধর্মীয়, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে থাকবে এবং প্রতিরোধের প্রতি সমর্থন কখনো কমবে না।
মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, শত্রুপক্ষের যেকোনো অপরাধ অতীতে ব্যর্থ হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও ব্যর্থ হবে। এই হামলাগুলো ইয়েমেনের অবস্থানকে প্রমাণ করে যে তারা বৃহত্তর প্রতিরোধ ফ্রন্টের অংশ এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই হামলা ইসরায়েলের সঙ্গে আঞ্চলিক সংঘর্ষে ইয়েমেনের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা স্পষ্ট করছে। গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে ইয়েমেন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইসরায়েল-সম্পর্কিত বন্দর, বিমানবন্দর ও শিপিং লেনে হামলা চালিয়ে আসছে। ইয়েমেনি নেতৃত্ব এসব হামলাকে কেবল ধর্মীয় দায়বদ্ধতা নয়, কৌশলগত প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসাবেও দেখছে।
সূত্র: মেহের নিউজ