
দেশের সব ইবতেদায়ি মাদরাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) এ তথ্য জানা গেছে।
অনুদানভুক্ত ১৫১৯টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব এসএম মাসুদুল হক।
মঙ্গলবার বিকালে শাহবাগে শিক্ষকদের অবস্থানস্থলে এসে তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের উপর পুলিশের জলকামান ও লাঠিচার্জের নিন্দা জ্ঞাপন করেছি। আপনাদের বঞ্চনার লাঘব হয়েছে। আপনাদের ছয় দফা দাবিসহ আরও বেশ কিছু কাজ করেছি। অতিরিক্ত কাজ করেছি।’
‘প্রথম দফা সব প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের বিষয়টি সব এবতেদায়ী মাদ্রাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হবে। ছয় দফার সব মেনে নেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সাল থেকে আমরা এমপিওর কাজ শুরু করব।’
এর আগে সচিবালয়ে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আন্দোলরতদের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
বৈঠক থেকে বের হয়ে শাহবাগে এসে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমরা দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছি। সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দল আসতেছে। আমাদের বলেছে, আপনাদের দাবি দাওয়া যৌক্তিক।’
এর পরপরই যুগ্ম সচিব মাসুদুল হক শাহবাগে এসে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন।
এর আগে, নিবন্ধনভুক্ত সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকার শাহবাগে অবস্থান নেন আন্দোলনকারত শিক্ষকরা। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকরা। দুপুর ২টার মধ্যে ঘোষণা না এলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলছেন, ‘একই পাঠ্য বই পড়ানো হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কিন্তু প্রাথমিকের শিক্ষকদের মতো বেতন ভাতা পান না তারা। এ জন্য জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন তারা।’
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন এসব শিক্ষক। জাতীয়করণের দাবির অংশ হিসেবে প্রেস ক্লাবে অবস্থান কর্মসূচি থেকে রোববার (২৬ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি দেয়ার ঘোষণা দেন তারা। এরপর তারা জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে ঢাকা বিশবিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ জলকামান নিক্ষেপ করে, লাঠিচার্জ করে।
শিক্ষকরা জানান, ১০ হাজার মাদরাসার ৫০ হাজার শিক্ষক মানবেতর জীবনযাপন করছেন।