
ধর্ম উপদেষ্টা আফম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘দেশের ভিতরে ও বাইরে একটি গোষ্ঠী আমাদের সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশবাসীকে সাথে নিয়ে সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হবে। কোন ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়া হবে না।’
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ঢাকার কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) মাল্টিপারপাস হলে বাউফল ফাউন্ডেশন ঢাকা আয়োজিত গুণীজন ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশকে বৈচিত্র্যময় দেশ হিসেবে অভিহিত করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, `আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে নানা ধর্ম-বর্ণ ও সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। সাংবিধানিকভাবে সকলের অধিকার সমান। সব ধর্মের মানুষ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে তাদের নিজের ধর্মচর্চা, ধর্ম প্রচার ও পালন করে আসছে। আগামীতেও সকলে নিবির্ঘ্নে তাদের ধর্ম পালন করে যাবে।’
খালিদ হোসেন আরো বলেন, ‘ব্যক্তিই হোক কিংবা গোষ্ঠীই যারা চক্রান্ত করবে সরকার তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবে। ফৌজদারি অপরাধের সাথে জড়িত ব্যক্তিদেরকে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ যেখানে দাড়িয়ে আছে, তার পিছনে গুণীজনদের অবদান অনস্বীকার্য। অতীতে বাউফল থানার গুনীজনেরা জাতি গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।’
আগামী দিনেও বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশে বাউফল থানা হতে আরো বেশি গুণীজন তৈরি হবে বলে উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘সরকার নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠিত হয়েছে এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার শপথ নিয়েছেন। এরপর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের যে তারিখ ঘোষণা দিবেন, সেই তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ১৫-১৬ বছর পর জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘ভোটের সংস্কৃতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতিও হারিয়ে ফেলেছিলাম। এই সংস্কৃতিকে আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই। জনগণ যাদেরকে নির্বাচিত করবে তাদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করে আমরা বিদায় নেব। আগামীতে যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসবেন তাদের পথ আমরা সুগম করে যাব।’
প্রসঙ্গত, অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২০ জন গুণী ব্যক্তি, ১২০ জন গুণী শিক্ষার্থী ও ছয়জন শহিদ পরিবারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বাউফল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক যুগ্মসচিব রফিকুল ইসলাম ও আব্দুল হক। অনুষ্ঠানে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী দেশাত্মবোধক ও ইসলামি গান করে।
পরে উপদেষ্টা উত্তর যাত্রাবাড়ীতে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও মাদ্রাসা মুহাম্মাদীয়া আরাবীয়া পরিদর্শন করেন।