
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চাতরা বিলে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র তৈরির গোপন কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। সোমবার রাতে এই অভিযানে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম, গুলি এবং দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, ‘ময়েজ বাহিনী’ নামের একটি সন্ত্রাসী দল এই কারখানা গড়ে তুলেছিল। তারা চাতরা বিলের আশপাশের এলাকায় অস্ত্রের মহড়া এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। আটক ব্যক্তিরা হলেন– পাবনা সদর উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের মনিরুল ইসলাম ও মালিগাছা খুদাইপুর গ্রামের রেজাউল।
আতাইকুলা থানার পুলিশ সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এই সন্ত্রাসী বাহিনী এলাকায় নানা অপরাধমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছিল। তারা বিলের মধ্যে একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত মেশিনঘরে অস্ত্র কারখানা গড়ে তুলেছিল। এখানে তৈরি হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র স্থানীয়ভাবে বিক্রি করা হতো। সোমবার গভীর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে একটি ওয়ান শুটারগান, একটি রিভলবার, তিনটি গুলি, অস্ত্র তৈরির ছাঁচ, কাটিং ও ড্রিল মেশিন, লোহার পাত, গোলাবারুদ এবং বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম জব্দ করে। আটক ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, স্থানীয় ডাকাতি ও চাঁদাবাজির জন্য এসব অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছিল।
আতাইকুলা থানার ওসি এ কে এম হাবিবুল্লাহ বলেন, “ময়েজ বাহিনী দীর্ঘদিন চাতরা বিলকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছিল। তারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল। অস্ত্র তৈরির কারখানা ধ্বংস করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকেও আইনের আওতায় আনা হবে।”