
সব ধরনের বিষয়ে সমঝোতা করা গেলেও আকিদা- অর্থাৎ ধর্মীয় বিশ্বাসের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দের সভাপতি ও বিশ্ববরেণ্য আলেম মাওলানা সাইয়েদ মাহমুদ মাদানী।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত খতমে নবুওয়ত সম্মিলিত পরিষদের মহাসম্মেলনে তিনি এ বক্তব্য দেন।
মাদানী বলেন, “আমাদের নবীর পরে কোনো নবী নেই। যারা এটা মানবে না তারা ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে; আর যারা তাদের মানবে তারাও ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে।”
তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, “অনেক বিষয়ে সমঝোতা করা গেলেও আকিদার বিষয়ে কোনো সমঝোতা সম্ভব নয়। বিশেষ করে আকিদা যখন রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কেন্দ্র করে আসে, তখন সমঝোতার প্রশ্নই ওঠে না। আমাদের দায়িত্ব হলো গ্রামে গ্রামে প্রত্যেকের কাছে পৌঁছা। খতমে নবুওয়ত রক্ষা করা। আমরা খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণে কাজ করব। ইনশাল্লাহ এর মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর ক্ষমা প্রাপ্ত হবো।”
কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আয়োজিত এ ‘আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে’ অংশ নেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসলিম। খতমে নবুয়ত সংরক্ষণ পরিষদের আয়োজনে সকাল ৯টা থেকে সম্মেলন শুরু হয়। এতে বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশের আলেম-ওলামারা উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান, জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা সাইয়্যিদ মাহমুদ মাদানি, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তানের মহাসচিব মাওলানা হানিফ জালন্দরি, ইন্টারন্যাশনাল খতমে নবুওয়ত মুভমেন্টের ওয়ার্ল্ড নায়েবে আমির শায়খ আব্দুর রউফ মক্কি, ইউসুফ বিন্নুরী টাউন মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম ড. আহমাদ ইউসুফ বিন্নুরী, পাকিস্তানের মাওলানা ইলিয়াছ গুম্মান এবং মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শায়খ মুসআব নাবীল ইবরাহিম।
এ ছাড়া দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।