
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধরতে পারলেই পুলিশ সদস্যদের পাঁচ হাজার টাকা করে পুরস্কৃত করা হবে সম্প্রতি এমন খবর প্রকাশ হলেও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিন্টোরোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি বলেন, আমাদের কোনো সদস্য ভালো কাজ করলে আমরা তাকে উৎসাহিত করি। আইন অনুযায়ী আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করার বিধানও রয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কোনো কাজের জন্য আলাদাভাবে পুরস্কার দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যেকোনো ভালো কাজের জন্য আমরা নিয়মিতভাবে উৎসাহিত করি এবং তা অব্যাহত থাকবে।
ডিএমপির উপকমিশনার জানান, রাজধানীতে সংস্থাটির ৬ শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা সক্রিয় রয়েছে। এর বাইরে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় স্থানীয় উদ্যোগে আরও প্রায় ১ হাজার ২০০ ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ২ হাজারেরও বেশি ক্যামেরা এখন কার্যকর। অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে এই নজরদারি আরও বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।
মোহাম্মদপুর জোনের এসিসহ তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের বিষয়ে তিনি বলেন, ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিট নিয়মিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। গত শুক্রবার মোহাম্মদপুর থানা পরিদর্শনে গিয়ে এক অতিরিক্ত কমিশনার কিছু কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এরপরই প্রশাসনিক কারণে জোনের এসি, অপারেশন ইনস্পেক্টর ও ডিউটি অফিসারকে ডিএমপি সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। এটা নিছক প্রশাসনিক প্রক্রিয়া, কোনো নেতিবাচক ব্যাখ্যার অবকাশ নেই, বলেন তিনি।
সম্প্রতি এক পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকাবাসীকে রাত ৯টার পর হাতিরঝিলে না যেতে বলেছিলেনএ প্রসঙ্গেও তিনি স্পষ্ট করেন, ডিএমপি কখনোই কোনো নির্দিষ্ট স্থানে কিংবা সময়ে চলাচলে বাধা দেয়নি। আমরা সর্বক্ষণ কাজ করছি যাতে নগরবাসী নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে চলাচল করতে পারে।