
অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় প্রায়ই সামাজিক মাধ্যমে সমসাময়িক বিষয়ে মত প্রকাশ করেন। এবার তিনি দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী একটি মন্তব্য করেছেন। তার মতে, আওয়ামী লীগ ছাড়া আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।
বুধবার (২০ আগস্ট) নিজের ফেসবুক পেজে জয় লেখেন, বিদেশের মাটিতে নিরপেক্ষ বিশ্লেষণে দেখলাম ড. মুহাম্মদ ইউনুস স্যারকে ভদ্রলোকরা দুর্দান্ত পছন্দ করছেন। বিএনপিকে আগামীতে ক্ষমতায় দেখতে চাচ্ছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগকে বাদ রেখে ইলেকশন চাচ্ছেন না। তাদের বক্তব্য আওয়ামী লীগের যতই দোষ থাকুক একটা বিশাল শ্রেণির জনগণ আওয়ামী লীগের সাপোর্টার। তাদের বাদ রেখে ইলেকশন করলে সেই ইলেকশনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আসবে এবং ভবিষ্যতে বিভক্তি আরও বেশি তৈরি হবে।
তিনি আরও লেখেন, প্রবাসীরা এনসিপি ও জামায়াতকে অন্তত ১০০ আসনে প্রতিনিধিত্ব করতে দেখতে চান। তবে তারা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাদের মতে, দায়িত্ব ইউনুস সরকারের হলেও জনগণের একটি বড় অংশ তাকে সমর্থন না করায় শৃঙ্খলা ফিরছে না। তাই তারা ড. ইউনুসকে আরও সময় দিতে চাইছেন।
জয়ের ভাষায়, সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। এনসিপির প্রতি মানুষের সহানুভূতি থাকলেও দলের কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে বিরক্তিও প্রকাশ পাচ্ছে। অন্যদিকে জামায়াতের কথাবার্তা ও কার্যক্রম ইতিবাচকভাবে দেখা হলেও স্বাধীনতা যুদ্ধের ভূমিকা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্যে অনেকেই সন্তুষ্ট, কিন্তু তৃণমূল কর্মীদের আচরণে বিরক্তি রয়েছে।
তিনি লেখেন, যেখানে তারেক রহমান সাহেব বলছেন প্রতিশোধ নয় প্রতিরোধ নয়, সেখানে তাদের কর্মীরা প্রতিশোধ এবং প্রতিরোধের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে। এটা হাই কমান্ডের নীতির বহির্ভূত। ইলেকশনের পূর্বেই যদি হাই কমান্ডকে তারা ইগনোর করে, তাহলে জয়ের পর তাদের ভূমিকা কী হবে সেটা প্রশ্নবিদ্ধ।
সবশেষে জয় উল্লেখ করেন, এটি কেবল তার ব্যক্তিগত বিশ্লেষণ। তার ভাষায়, আমি একটা বোকা লোক এবং মূর্খ লোক। আমার বিশ্লেষণকে সিরিয়াসলি নেওয়ার কিছু নাই। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমার গণতান্ত্রিক অধিকার আমি এই লেখার মাধ্যমে প্রয়োগ করলাম। কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে আমি ক্ষমা চাই।
এদিকে গত রোজার ঈদে শাহরিয়ার নাজিম জয় অভিনীত ও নির্মিত ওয়েব সিরিজ ‘পাপ কাহিনী’ মুক্তি পায়। এতে তার বিপরীতে ছিলেন অভিনেত্রী রুনা খান, পাশাপাশি মৌসুমী মৌ ও তানজিয়া মিথিলা।