
আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে বৈধ থাকলেও তাদের কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তবে এই অবস্থান পরিবর্তনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ব্রিটিশ-আমেরিকান সাংবাদিক মেহেদি হাসানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। গণঅভ্যুত্থান, নির্বাচন ও মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে নেয়া ওই সাক্ষাৎকারটি গত সোমবার জিটিও মিডিয়া প্রকাশ করে।
প্রায় ৩৪ মিনিট দীর্ঘ এ আলোচনায় আওয়ামী লীগের বর্তমান অবস্থান ও নির্বাচন অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
মেহেদি হাসানের প্রশ্নের জবাবে ইউনূস বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করিনি। শুধু তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করেছি। দলটি বৈধ আছে, তবে এখন কোনো কার্যক্রম চালাতে পারবে না।”
তিনি আরও বলেন, “তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, কারণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ রয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্ত যে কোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সম্ভাবনাও আছে।”
নির্বাচনকে গণতান্ত্রিকভাবে সীমিত করার প্রশ্নে ইউনূস বলেন, “নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে—এমন চরিত্র বিবেচনা করেই নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
আওয়ামী লীগের সমর্থকগোষ্ঠী নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রধান উপদেষ্টা স্বীকার করেন যে দলের দীর্ঘ ইতিহাস আছে এবং সমর্থকরাও রয়েছে। তবে তিনি বলেন, “তাদের সমর্থকরা বৈধ ভোটার। তারা অন্য প্রার্থীদের মধ্যে থেকে নিজেদের প্রতিনিধি বেছে নিতে পারবেন, যদিও আওয়ামী লীগের প্রতীক এবার ব্যালটে থাকবে না।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দলের মতো আচরণ করেনি। তারা ক্ষমতায় থাকাকালে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, কিন্তু তার দায় নেয়নি কিংবা অনুশোচনাও প্রকাশ করেনি। সবসময় অন্যকে দায়ী করেছে।”