
সামাজিকমাধ্যমে হঠাৎ করেই আলোচনায় উঠে এসেছেন কোরিওগ্রাফার অ্যাডলফ খান। ছড়িয়ে পড়েছে তার কিছু ছবি ও ভিডিও, যার ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে—তিনি নাকি বাংলাদেশের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন।
তবে এসব দাবিকে ভিত্তিহীন বলে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন অ্যাডলফ খান। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি পুরোপুরি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে এবং এটি তার জন্য মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শোবিজ অঙ্গনের পরিচিত মুখ অ্যাডলফ খান মূলত কোরিওগ্রাফি নিয়ে কাজ করেন। তার ফ্যাশন ও পোশাক তাকে আলাদা পরিচিতি এনে দিয়েছে। তবে সম্প্রতি ‘সুদর্শন পুরুষ’ পুরস্কার প্রাপ্তির গুজব ঘিরে সামাজিকমাধ্যমে তাকে নিয়ে ব্যাপক কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে, যা তিনি সহজভাবে নিচ্ছেন না।
এই বিষয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে অ্যাডলফ খান বলেন, “আমার ছবি ভিডিও দিয়ে নেট দুনিয়া সয়লাব! ভাইরে ভাই, আমাকেই পাইলেন আপনারা। ভালো মন্দ বাস্তব অবাস্তব মনগড়া ক্যাপশন দিয়ে লাখ লাখ ভিডিও বানাচ্ছে সব একের পর এক!”
তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কোনো ‘সুদর্শন পুরুষ’ অ্যাওয়ার্ড পাননি। বরং তাকে সম্মানিত করা হয়েছে কোরিওগ্রাফিতে তার অবদানের জন্য। তার ভাষায়, ‘পাইলাম স্টাইলিশ ফ্যাশন ডিরেক্টর অ্যাওয়ার্ড। বানিয়ে দিলেন দেশের এক নম্বর সুদর্শন! কেন রে ভাই, সত্যিটাই লিখতেন। এত মর্মান্তিক ভালোবাসা নিতে পারছি না!’
ব্যক্তিগত দিক থেকে তিনি বর্তমানে মানসিকভাবে চাপে আছেন, কারণ তার বাবা হাসপাতালে ভর্তি। এ অবস্থায় সামাজিকমাধ্যমে ট্রল এবং ভুল তথ্য তাকে আরও বিপর্যস্ত করছে। তিনি বলেন, ‘এমনিতেই বাবা হসপিটালে, মন ভালো নেই। আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, সারাক্ষণ ডিউটি দিতে হচ্ছে! আমি আমার ছবি ভিডিও আর কি দেব। আপনারাই আপলোড দেন। দিয়ে সুখী থাকুন। এত এত পোস্ট আমাকে নিয়ে, দিশেহারা হয়ে গেলাম, আপনারা পারেনও বটে।’
কন্টেন্ট নির্মাতাদের উদ্দেশে অ্যাডলফ খান বলেন, ‘ভাইরাল আর ভিউয়ের বাণিজ্যে আপনারা আমাকে বন্দুকের গুলির মুখে রেখে ভালোই ডলার কামাচ্ছেন, তো মাঝে মাঝে আমাকেও দিয়েন কিছু! না দিলেও অন্তত কৃতজ্ঞতা দিয়েন।’
তার প্রতি যে অতিরঞ্জিত ভালোবাসা দেখানো হচ্ছে, সেটির বাস্তবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ‘আমি কি এই ধরনের তথ্য সংবলিত কোনো ইন্টারভিউ কখনো দিয়েছি বা বলেছি? আমাকে দিয়ে আপনাদের লাভ হচ্ছে বা আমাকে আপনারা খুব ভালোবাসেন, সবই বুঝলাম, কিন্তু ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ আরো বাস্তবিক, সত্য এবং সুন্দর হতে পারে। সত্যি কিছু বলার ভাষা নাই!’ — বলেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রেন্ডের এই চাপে বিরক্ত অ্যাডলফ খান চান, অন্তত তার বক্তব্য সঠিকভাবে প্রকাশিত হোক এবং তাকে নিয়ে যেন ভিত্তিহীন তথ্য ছড়ানো না হয়।