
মিরপুরে আজ বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে যুক্ত হচ্ছে নতুন অধ্যায়। দেশের জার্সিতে প্রথমবার কোনো ক্রিকেটার পা রাখছেন শততম টেস্টের গণ্ডিতে, আর সেই সম্মান পাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। বিশ্ব ক্রিকেটে যেখানে মাত্র ৮৩ জন খেলোয়াড় এতদূর যাত্রা করতে পেরেছেন, সেখানে মুশফিক হচ্ছেন ৮৪তম সদস্য।
টেস্ট ক্রিকেটের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৮৭৭ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে। সেখানেই জন্ম নেয় প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির ইতিহাস। এরপর দীর্ঘ বিরতিতে, ১৯০৮ সালে সিডনিতে দুই পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বীর আরেক মোকাবিলায় সম্পন্ন হয় টেস্টের ১০০তম ম্যাচ। এক বছর পর প্রথম দল হিসেবে নিজেদের ১০০তম টেস্ট খেলার কৃতিত্ব অর্জন করে ইংল্যান্ড।
তবে কোনো ক্রিকেটারকে ব্যক্তিগতভাবে শততম টেস্টে নামতে দেখতে অপেক্ষা করতে হয়েছে আরও ছয় দশক। ১৯৬৮ সালে এজবাস্টনে ইতিহাসের ৬৩৯তম টেস্টে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন মাইকেল কলিন কাউড্রে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটির প্রথম ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে নিজের মাইলফলককে স্মরণীয় করে রাখেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
এর পর থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ১০০ টেস্টের ক্লাব। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৮২ জন ক্রিকেটার ছুঁয়েছেন এই গৌরবের মাইলফলক। আজ মিরপুরে মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে মুশফিক সেই তালিকায় যুক্ত হবেন ৮৪তম হিসেবে, আর বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই মাইলফলক গড়বেন।
এর আগে আটটি দেশের খেলোয়াড়রা অর্জন করেছেন এই সাফল্য। ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ ১৭ জন ক্রিকেটার আছেন শততম টেস্টের কৃতিত্ব পাওয়া তালিকায়। তাদের পরেই রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ১৬ জন নিয়ে এবং তৃতীয় স্থানে ভারত, ১৪ ক্রিকেটার নিয়ে।
দল হিসেবে ইংল্যান্ডের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয়বার সুযোগ পায় ১০০ টেস্ট খেলা খেলোয়াড়ের, যখন ১৯৮৪ সালে দলের দুই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড নাম লেখান এই অভিজাত তালিকায়। একই বছরে ভারতের প্রথম ১০০ টেস্ট খেলোয়াড় হন সুনীল গাভাস্কার। পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়ার অ্যালান বোর্ডার, পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদ, দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কারস্টেন, শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়াসুরিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের স্টিভেন ফ্লেমিং যোগ দেন এই মর্যাদাপূর্ণ ক্লাবে।