
দোহায় ফিরল ছয় বছরের পুরোনো হতাশার স্মৃতি। ২০১৯ সালের ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হারা বাংলাদেশ আবারও একই ভাগ্যবরণ করল রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপের শিরোপা লড়াইয়ে। ১২৬ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ম্যাচ টাই করেও শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে হার মানল বাংলাদেশের ‘এ’ দল।
রোববার অনুষ্ঠিত ফাইনালে নির্ধারিত ২০ ওভারে দুই পক্ষই তুলেছিল সমান ১২৫ রান। ফলে ম্যাচ গড়ায় উত্তেজনাপূর্ণ সুপার ওভারে। কিন্তু সেখানে স্নায়ুচাপে হারিয়ে যায় আকবর আলীর দল। আহমেদ দানিয়ালের করা সুপার ওভারে মাত্র ৬ রানই তুলে বাংলাদেশ। জবাবে পাকিস্তান শাহিনস মাত্র চার বল খেলে সহজেই লক্ষ্য ছুঁয়ে তৃতীয়বারের মতো টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতে নেয়।
সুপার ওভারে বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট হাতে নামেন হাবিবুর রহমান সোহান ও আব্দুল গাফফার সাকলাইন। প্রথম বলে এক রান এলেও পরের ডেলিভারিতেই সাকলাইন ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরপর ওয়াইড হয়ে পাঁচ রান যোগ হয় স্কোরবোর্ডে। কিন্তু তৃতীয় বৈধ বলেই জিসান আলম বোল্ড হয়ে গেলে মাত্র ৬ রানে থেমে যায় ইনিংস। রিপন মণ্ডলের করা ওভারে ৭ রানের লক্ষ্য পাকিস্তান চার বলেই পেরিয়ে যায়।
এর আগে ১২৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৪ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। জিসান (৬) ও সোহান (২৬) ইনিংসের শুরুতে ভালো ভিত্তি গড়লেও দ্রুত উইকেট পতনে ব্যাটিং ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পাওয়া মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ফেরেন শূন্য হাতে। অধিনায়ক আকবর আলী ২ ও ইয়াসির আলী রাব্বি ৮ রান করে আউট হলে হারের শঙ্কা আরও ঘনিয়ে আসে।
শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। ১৯তম ওভারে শহীদ আজিজকে টার্গেট করে তিনটি ছক্কায় ২০ রান তুলে সাকলাইন ও রিপন ম্যাচে ফেরার আশা জাগান। শেষ ওভারে ৭ রানের দরকার থাকলেও পাকিস্তানি বোলাররা চাপ সামলে ম্যাচটি টাই করতে বাধ্য করেন প্রতিপক্ষকে। সাকলাইন ১৬ এবং রিপন ১১ রানে অপরাজিত থাকলেও জয়ে রূপ দিতে পারেননি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানকে মাত্র ১২৫ রানে থামিয়ে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা। ইনিংসের প্রথম বলেই সাকলাইনের থ্রোতে রানআউট হন ইয়াসির খান। এরপর রিপন মণ্ডল ৩ উইকেট এবং রাকিবুল হাসান ২ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের রানের গতি রুদ্ধ করেন। সাদ মাসুদের ৩৮ রানের ইনিংসই তাদের স্কোর ১২৫-এ পৌঁছাতে সহায়তা করে।