
এই কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না: নাহিদ
আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধের যে কোনো দিন জাতীয় নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচনের তারিখ নিয়ে বক্তব্য জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। শুক্রবার (০৬ জুন) রাতে বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টি সবসময় বলে আসছি বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন এই সরকারের প্রধানতম কর্তব্য। ঐক্যমত কমিশনের বৈঠকে আমরা বলেছিলাম যাতে জুলাই সনদ হওয়ার পরেই যেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে। আজ (শুক্রবার) প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছেন। কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনের তারিখ জানতে চাচ্ছিল তাদেরকে হয়ত আশ্বস্ত করার জন্য তিনি বলেছেন। নাহিদ বলেন, গণঅভ্যুত্থান এবং জনগণের বৃহত্তর অংশকে আশ্বস্ত করার জন্য জুলাই সনদ অতি জরুরি। রাষ্ট্রের কি কি সংস্কার হচ্ছে এবং জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণার জন্য সরকার ৩০ কার্যদিবস সময় চেয়েছিল তার কিছুদিন বাকি আছে। আশা করি সেটি যথাসময়ে হবে। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন জুলাই সনদ জুলাই মাসের মধ্যে হবে। জুলাই ঐক্যমতের ভিত্তিতে যদি সংস্কারের রূপরেখাটি আসে এরপর তিনি লেভেল ফিল্ড তৈরি করে নির্বাচনের দিকে যেতে পারেন। আমরা আপাতত প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত রোডম্যাপকে স্বাগত জানাই। তিনি আরও বলেন, আমরা আগেও বলেছি জুলাই সনদ, সংস্কার ও বিচার যদি নিশ্চিত হয় ডিসেম্বর থেকে জুন যেকোনো সময়ই হতে পারে। এই মুহূর্তে জুলাই সনদটাই আমাদের প্রধান দাবি। এটি যাতে উনি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, নির্বাচনের যেহেতু মাসটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেটার জন্য আমরা নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করার কথা বলেছি, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সম্ভব না। এই প্রক্রিয়াগুলো যাতে দ্রুত শুরু হয় সরকারের প্রতি আমাদের এই আহ্বান থাকবে।

দিন দিন চাঁদাবাজি ও ছিনতাই বাড়ছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দিন দিন চাঁদাবাজি ও ছিনতাই বাড়ছে। পুলিশ এখনো প্রো-অ্যাকটিভ নয়। ঢাকা মহানগর ছিনতাইয়ের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। মোহাম্মদপুর, মিরপুর যেন ছিনতাইয়ের মহারাজ্য। শুক্রবার (৬ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। রিজভী বলেন, জনগণ চায় আইনের শাসন, তিন বেলা খাবারের নিশ্চয়তা। মানুষ আশা করেছিল অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে শান্তিতে থাকবে, ভোগান্তি কমবে। কিন্তু গত তিন দিনে মহাসড়কে যানবাহন আটকে আছে। কোনো কোনো সড়কে ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার যানজট। এর পাশাপাশি রয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও চাঁদাবাজি। তিনি বলেন, সরকার আগে থেকে ব্যবস্থা নিলে সড়কে এমন দুর্ভোগ হতো না। সরকারের যদি আন্তরিকতা থাকে, তাহলে কেন দুর্ভোগ কমছে না। বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচিত নয় বলেই অরাজকতা, অস্থিরতা এ সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে রিজভী বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে বৈরিতা তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন বিদেশিদের বাংলাদেশি বলে পুশইন করছে ভারত। জোর করে ঠেলে পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশে। ভারতীয় নাগরিকদের জোর করে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে। ভারত বাংলাদেশসহ প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায় না। পুশইন করা, বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞাই তা প্রমাণ করে। বাংলাদেশের সরকার নিশ্চুপ কেন, জনমনে সেই প্রশ্ন উঠেছে। ঈদের আগে অনেক কারখানায় শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করা হয়নি উল্লেখ করে বঞ্চিত শ্রমিকদের ন্যায্যা পাওনা বুঝিয়ে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।

ফিরোজায় কাটবে খালেদা জিয়ার ঈদ, দেশবাসীকে জানালেন শুভেচ্ছা
রাজধানীর গুলশানের বাসা ফিরোজায় পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য ও স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন এ কথা জানান। তিনি বলেন, আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহা। বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা ফিরোজায় অবস্থান করছেন, সেখানেই উনি আগামীকাল ঈদ উদযাপন করবেন। ডা. জাহিদ আরও বলেন, তার পরিবারের পক্ষ থেকে যে কোরবানি, সেটা এখানেই (ফিরোজায়) দেওয়া হবে। তার জ্যেষ্ঠ ছেলে, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এর কোরবানিও এখানে (ফিরোজায়) হবে। ঢাকা ছাড়াও বগুড়ার গাবতলীতে বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে কোরবানি দেওয়া হবে জানিয়ে জাহিদ বলেন, কয়েকটি জেলায় দলের নেতা-কর্মীরা ম্যাডামের জন্য কোরবানি দেবেন। নিকট স্বজনদের সঙ্গে একান্ত সময় কাটাবেন খালেদা জিয়া ঈদের দিন দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত গুলশানের 'ফিরোজা'য় খালেদা জিয়া তার নিকট স্বজনদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাবেন। এই সময়টা রাখা হয়েছে শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যদের জন্য। জাহিদ বলেন, তার মেঝ বোন সেলিনা রহমান, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারসহ তাদের পরিবার এবং ম্যাডামের ঘনিষ্ঠ নিকট আত্মীয়-স্বজন যারা ঢাকায় অবস্থান করছেন, তারা মূলত ফিরোজায় এসে ম্যাডামের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন এবং ম্যাডাম তাদেরকে একান্ত সময় দেবেন। দুপুরে খাবার খালেদা জিয়া তার স্বজনদের সঙ্গে নিয়েই খাবেন বলেও উল্লেখ করেন ডা. জাহিদ। তিনি বলেন, ঈদের দিন দুপুরে ছোট ভাই-ভাবী, উনার বোনসহ তাদের স্বজনরা বাসায় আসবেন। এ ছাড়া, ঈদের দিন রাতে গুলশানের ফিরোজায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন খালেদা জিয়া।

এখন তো জাতীয় ভিলেনে পরিণত হয়ে গেছি: ইশরাক
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন বলেছেন, অনেক বড় বড় ব্যারিস্টার সাহেবরা বলেছে- এখন তো সোশ্যাল মিডিয়ার একটা জাতীয় ভিলেনে পরিণত হয়ে গিয়েছি আমি এক প্রকার। কিন্তু আমার বিশ্বাস একদিন জনগণ আমার পদক্ষেপ বা ভূমিকাটা বুঝতে পারবে যে, কেন আমি আজকে এই পদক্ষেপটি নিয়েছিলাম। শুক্রবার (৬ জুন) জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শনের পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় ইশরাক বলেন, তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) তো কোনো আইনি ফাঁকফোকর পাচ্ছে না। যেটা বলা হচ্ছে তারা নাকি মেয়রদের অপসারণ করেছে- তা সত্য। যারা অনুপস্থিত ছিল তাদের অপসারণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কোথাও একটা চিঠিতে লেখা নেই সব নির্বাচন বাতিল করা হলো। আর যদি হয়েও থাকে আমারটা ছিল সাব জুডিস অর্থাৎ কোনো নির্বাহী আদেশে এটা বাতিল হতে পারে না, অনেক ব্যাখ্যা তারা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, অনেককেই তারা মাঠে নামিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচন। তাতে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে। ওই নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ফলাফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক হোসেন। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গেল ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সে ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাকে যেন শপথ পড়ানো না হয় সেজন্য গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ। অন্যদিকে ইশরাককে শপথ পড়ানোর দাবিতে ওইদিনই আন্দোলন শুরু করেন তার সমর্থকরা। আইনি জটিলতার কথা বলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এখনো ইশরাককে শপথ পড়ানোর আয়োজন করেনি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়ার পদত্যাগ দাবি করেন ইশরাক। তার সমর্থকদের আন্দোলনের মধ্যে ‘শপথ না দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে’ দায়ের করা রিট আবেদনটি ২২ মে সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন। রিটকারীর এ ধরনের রিট করার এখতিয়ার না থাকার যুক্তিতে আবেদনটি খারিজ করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে গত সোমবার আপিল বিভাগে আবেদন করেন রিটকারী আইনজীবী মামুনুর রশিদ। আবেদনে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চাওয়া হয়। সেই লিভ টু আপিলের শুনানি করে আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার বিষয়টি পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন। এই জটিলতায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে সর্বোচ্চ আদালত বলেছেন, নির্বাচন কমিশন এক্ষেত্রে তার সাংবিধানিক দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেনি। কিন্তু তাতে ধোঁয়াশা কাটেনি, ইশরাক হোসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বসার সুযোগ পাবেন কি না, তা স্পষ্ট হয়নি। ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট জারির জন্য নির্বাচন কমিশন মন্ত্রণালয়ের কাছে যে মতামত চেয়েছিল, তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। আপিল বিভাগ বলেছেন, সংবিধান নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দিয়েছে। সে ক্ষমতা প্রয়োগ না করে নির্বাচন কমিশন আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছে। অথচ সংবিধান অনুযায়ী উল্টো নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করার কথা মন্ত্রণালয়ের।

নগর ভবনে কোনো উপদেষ্টা বা প্রশাসক বসতে পারবেন না: ইশরাক
নগর ভবনে কোনো উপদেষ্টা কিংবা প্রশাসক বসতে পারবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, প্রয়োজনে বিগত কাউন্সিলর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের নিয়ে বিপ্লবী নগর কাউন্সিল করে সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আজ শুক্রবার (৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ইশরাক বলেন, এখানে নির্বাচিত ও সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মেয়র হিসেবেই এসেছি। এটা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আবার ঈদের দিন যারা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করবেন, তাদের সাথে মাঠে থাকবো আমি। অন্তর্বতী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে তিনি বলেন– তারা তাদের নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। এই পরিষদের আওতায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আগামিকাল শনিবার (৭ জুন) দেশে পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদগাহ প্রস্তুত করার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকতা-কর্মচারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ইশরাক।

সবাইকে ঈদ আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে সবাইকে ঈদের আনন্দের উৎসব ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ আহ্বান জানান। তারেক রহমান বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। তাদের অব্যাহত সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য কামনা করি। ঈদ মোবারক। তিনি বলেন, ঈদুল আজহা অর্থ ত্যাগের উৎসব। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ত্যাগ করা। পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে বলা হয়েছে, মাংস বা রক্ত কোনোটাই আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, পৌঁছায় তোমার মনের পবিত্র ইচ্ছা। বিশ্ববাসী মানুষের পবিত্র ইচ্ছা হচ্ছে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা। মানুষ আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য পশু কোরবানি দেয়। আত্মশুদ্ধি, আত্মতৃপ্তি আর আত্মত্যাগের সুমহান বার্তা নিয়ে প্রতি বছরই ঘুরে আসে পবিত্র ঈদুল আজহা। তারেক রহমান বলেন, দ্রব্যমূল্য, সামাজিক অনাচার ও নানামুখী সংকটের অভিঘাত সত্ত্বেও দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মন ঈদের অমলিন আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে পরিপূর্ণ। দেশের জনগণ দেড় দশক ধরে ফ্যাসিবাদের এক কঠিন সময় পার করেছে। গত বছর ৫ আগস্টে ফ্যাসিবাদী চক্রের পতনের পর দেশে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশে এবার মানুষ ঈদুল আজহা উদযাপন করবে। ফ্যাসিবাদী আমলে তাঁবেদার অপশক্তির অবৈধ ক্ষমতা লোভের কারণে রাষ্ট্র ও সমাজে নীতি, নৈতিকতা, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের চূড়ান্ত অবক্ষয় ঘটে। এখন সকলে মিলে বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নত নৈতিকতা ও পাহাড়সম বৈষম্য দূরীভূত করতে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হবে সর্বত্র। যেন বেপরোয়া লুটপাট, দুর্নীতি ও টাকা পাচারের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না হয়। তিনি বলেন, ত্যাগের উৎসব হলো ঈদুল আজহা। এই উৎসবের একটি অঙ্গ হচ্ছে কোরবানি। পশু কোরবানি হলো চিত্তশুদ্ধি ও পবিত্রতার একটি মাধ্যম। ধৈর্য ও বিশ্বাসের পরীক্ষার ঐতিহ্যের ধারা বেয়েই কোরবানি মুসলমানদের জন্য অপরিহার্য করা হয়েছে। ঈদুল আজহার ত্যাগের চেতনা সমাজে ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন সৃষ্টি করে। কোরবানির যে মূল শিক্ষা তা আমরা যদি নিজ জীবনে প্রতিফলিত করে মানব কল্যাণে ব্রতী হই তাহলে নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ করতে পারবো। বিশ্বাসীদের সে চেষ্টায় আত্মনিবেদিত থাকতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, কোরবানি ঈদ বিশ্ব মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের দ্বিতীয়টি। উৎসব হলো সর্বজনীন, এর প্রাঙ্গণে সমবেত হয় সব মানুষ। উৎসব মানুষকে পরস্পরের সাথে শুভেচ্ছাবোধে উদ্বুদ্ধ করে। তিনি বলেন, বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সকলের পক্ষে ঈদের আনন্দ যথাযথভাবে উপভোগ করা কঠিন হবে। মূল্যস্ফীতির তীব্রতা, খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, গৃহস্থালিতে পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের তীব্র সংকটে জনজীবন সীমাহীন দুর্দশায় নিপতিত। স্বল্প আয়ের মানুষরা শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় দিনযাপন করছে। ঈদের আনন্দের দিনে কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে-সেদিকে আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। ঈদের আনন্দের উৎসব ভাগ করে নিতে হবে এক কাতারে সবাইকে। ঈদুল আজহা সবার জীবনে বয়ে আনুক সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি, সমাজে সৃষ্টি হোক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের মেলবন্ধন, মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে এমন প্রার্থনা জানান তারেক রহমান।

ফেইক আইডি দিয়ে জুবাইদা ও জাইমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে : রিজভী
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও তাদের মেয়ে জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইক আইডি ব্যবহার করে নানা অপপ্রচার চলছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আজ (বৃহস্পতিবার) এ অভিযোগ করেন তিনি। রিজভী বলেন, ডা. জুবাইদা রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কোনো আইডি নেই। একটি দুর্বৃত্তচক্র ডা. জুবাইদা রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইক আইডি ব্যবহার করে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এআই পদ্ধতি ব্যবহার করে তা করা হচ্ছে। জিয়া পরিবারের নামে একটি মহল নীল নকশা তৈরি করছে উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমরা এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব। এসব ব্যাধি বন্ধের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। রিজভী বলেন, একটি গণতান্ত্রিক সমাজে মিথ্যার কোনও স্থান নেই, তাই প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে মিথ্যার সংস্কৃতি প্রসারিত করার চেষ্টা করা হলেও তা জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হবে।

মানবিক বাংলাদেশ গড়াই বিএনপির লক্ষ্য : আমিনুল হক
বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলরছেন, আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। সেই লক্ষ্য নিয়েই বিএনপি সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করছে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেলে রাজধানীর পল্লবী এলাকায় সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য আয়োজিত এক সেবামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান শুরু থেকেই বলে আসছেন, আমরা শুধু রাজনৈতিক দল নয়, আমরা একটি মানবিক আন্দোলনের অংশ। সমাজের দরিদ্র, এতিম, অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, বিএনপি সবসময় ভালো কাজের পাশে থাকে। তারেক রহমানের নির্দেশেই আমরা সমাজকল্যাণমূলক কাজে উৎসাহ দেই এবং নিজেরাও অংশগ্রহণ করি। এর আগে, তিনি এফ এম এস সোশ্যাল কনসালটেশন সেন্টারের উদ্যোগে বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও ‘ফ্রি ফ্রাইডে ক্লিনিক’-এর উদ্বোধন করেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, সেবামূলক এই আয়োজনে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কন্যা দায়গ্রস্ত পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তা, বিধবা ও স্বামী হারানো নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মধ্যে হুইলচেয়ার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন, মাহাবুব আলম মন্টু ও সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা।

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে জুলাই সনদ প্রকাশ গুরুত্বপূর্ণ: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে জুলাই সনদ প্রণয়ন ও প্রকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ সনদ শুধুমাত্র একটি নীতিগত দলিল নয়। বরং জুলাই আন্দোলনে যারা রাস্তায় নেমে পরিবর্তনের স্বপ্নে প্রাণ দিয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের নৈতিক দায়বদ্ধতাও বটে। বুধবার (৪ জুন) দুপুরে ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপি প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে একটি টেকসই গণতান্ত্রিক পথ কেবলমাত্র জনআকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘এই জুলাই সনদ নির্বাচন সংস্কার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক অংশগ্রহণের একটি সুস্পষ্ট ভিত্তি স্থাপন করবে এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতির পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে।’ তিনি নির্বাচন কমিশনের কাঠামোগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন। একইসঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং পরবর্তীতে একটি গণপরিষদ ও আইনসভা নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবির কথা জানান, যাতে সব পর্যায়ের জনগণের অংশগ্রহণ ও প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। নাহিদ জানান, দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রা ও সংস্কার প্রক্রিয়া ঘিরে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিরাজমান গভীর আগ্রহ ও বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল এবং চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিষয়ে আলোচনা হয় বৈঠক। এতে এনসিপি নেতাদের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের একটি আন্তরিক ও ভবিষ্যতমুখী আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক রূপান্তর নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করে এমন কাঠামোগত চ্যালেঞ্জগুলোর কথা তুলে ধরেন। চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এনসিপি প্রতিনিধিদলের সামগ্রিক রাষ্ট্র ভাবনাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান এবং তাদের চিন্তাশীল অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি চীনের ‘অ-হস্তক্ষেপ’ (নন-ইন্টারফেয়ারেন্স) নীতির পুনরুল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতার ব্যাপারে চীনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে ধারাবাহিক ও গঠনমূলক সংলাপের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যত গঠনে তরুণদের ভূমিকাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম এবং যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ।
-6841587db4c3e.jpg)
ফেইক আইডি ব্যবহার করে জোবাইদা ও জাইমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে: রিজভী
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও তাদের মেয়ে জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইক আইডি ব্যবহার করে একটি দুর্বৃত্তচক্র পরিকল্পিতভাবে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। রিজভী বলেন, একটি দুর্বৃত্তচক্র পরিকল্পিতভাবে ডা. জোবাইদা রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইক আইডি ব্যবহার করে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এআই পদ্ধতি অবলম্বন করে তা করা হচ্ছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জানান, ডা. জোবাইদা রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কোনো আইডি নেই। তিনি আরও বলেন, জিয়া পরিবারের নামে একটি মহল নীল নকশা তৈরি করছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো। এসব ব্যাধি বন্ধের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিএনপির এই নেতা বলেন, এ সমস্ত অপকর্মের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে মিথ্যার কোনো স্থান নেই, তাই প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে মিথ্যার সংস্কৃতি প্রসারিত করার চেষ্টা করা হলেও তা জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়।

লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন জুবাইদা রহমান
লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। ঢাকায় পরিবারের সঙ্গে এক মাস ব্যস্ত সময় কাটিয়ে লন্ডনে স্বামী ও কন্যার সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বেলা ১১টায় কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি। এর আগে সকালে পরিবারের সদস্যদের কাছে বিদায় নিয়ে গুলশানের নিজ বাসভবন থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ডা. জুবাইদা। বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। লন্ডন পৌঁছে সেখানেই স্বামী তারেক রহমান ও একমাত্র কন্যা জাইমা রহমানের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করবেন ডা. জুবাইদা। গত ৬ মে থেকে ঢাকায় অবস্থানকালে বিভিন্ন ঘরোয়া ও পারিবারিক আয়োজনে সময় কাটালেও রাজনৈতিকভাবে বরাবরের মতো নীরব ছিলেন তিনি। তবে বিএনপির নেতাকর্মীদের একাংশ মনে করেন, ডা. জুবাইদার এ ঢাকা সফর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক মঞ্চে তার সক্রিয় ভূমিকার একটি ইঙ্গিত। দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত ৬ মে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। তিনি সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়াল অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কন্যা। ঢাকায় তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু সম্প্রতি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ১৭ বছর আগে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানের সঙ্গে দেশ ছেড়েছিলেন ডা. জুবাইদা রহমান। জুবাইদার জন্ম সিলেটে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করে ১৯৯৫ সালে বিসিএস পরীক্ষায় স্বাস্থ্য ক্যাডারে প্রথম স্থান অধিকার করে সরকারি চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০৮ সালে শিক্ষা ছুটি নিয়ে লন্ডন যাওয়া পর সরকার তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে। পরে তিনি সেখানকার ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে মেডিসিনে এমএসসি ডিগ্রি নেন।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সমৃদ্ধ পরিবেশ সংরক্ষণ আমাদের একান্ত কর্তব্য : তারেক রহমান
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সমৃদ্ধ পরিবেশ সংরক্ষণ করা আমাদের একান্ত কর্তব্য। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। আজ ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। পরিবেশ সুরক্ষার জন্য সচেতনতা এবং পদক্ষেপ গ্রহণকে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও এবার দিবসটি পালন করা হচ্ছে। তারেক রহমান তার ভেরিফাইড ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন অর্থবহ প্রোগ্রাম এবং ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ পালন করছে। এমন এক সময়ে যখন বেপরোয়া শিল্পায়ন এবং অপরিকল্পিত উন্নয়ন অনুশীলনগুলো বিশ্বজুড়ে বাস্তুতন্ত্রকে হুমকির সম্মুখীন করে চলেছে, এই দিনটি পরিবেশ সংরক্ষণ এবং টেকসই জীবনধারণের জরুরি প্রয়োজন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ভৌগোলিক ভাবে বাংলাদেশ অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পরিবেশগত বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই সমৃদ্ধ পরিবেশ সংরক্ষণ করা আমাদের একান্ত কর্তব্য। তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই বিএনপি পরিবেশ সচেতন দল হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে, আমরা ক্ষতিকারক প্লাস্টিকের ব্যবহার সীমাবদ্ধ, বনায়ন, খাল খনন ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প এবং সক্রিয় প্রচার সহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প চালু করেছিলেন। যা পরবর্তীতে পরিবেশ বিভাগে হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। এই উত্তরাধিকার অব্যাহত রেখে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন প্রবর্তন করেছিলেন এবং পরিবেশগত সুরক্ষার জন্য আইনী ব্যবস্থার অগ্রগামী দেশের প্রথম পরিবেশ আদালত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য সর্বদা সবুজ, পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ তৈরি করা।’ আজকের জলবায়ু সংকট এবং ক্রমবর্ধমান শিল্প দূষণের আলোকে, একটি বাস্তববাদী এবং প্রত্যাশিত জাতীয় কৌশল আগের চেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি। বিএনপি আবারও রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্ব পেলে বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষার জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণে প্রতিশ্রুতি দেবে তা উল্লেখ করেছেন তারেক রহমান। তা হলো- ১. পুনর্বিবেচনা (পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে ২৫০ থেকে ৩০০ মিলিয়ন গাছ রোপণ), সবুজ শক্তি এবং টেকসই কৃষিক্ষেত্রে একটি জাতীয় সবুজ পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন। ২. শিল্প ও পরিবার জুড়ে বায়োডেগ্রেডেবল বিকল্প প্রচার করার সময় ক্ষতিকারক প্লাস্টিক এবং বিষাক্ত রাসায়নিকগুলো নিষিদ্ধ করা ৩. জলজ বাস্তুসংস্থান এবং সুরক্ষার জন্য নদী এবং খালগুলোর জন্য একটি বিস্তৃত ড্রেজিং এবং পুনরুদ্ধার প্রোগ্রাম চালু ৪. দেশের দুর্বল দক্ষিণাঞ্চলীয় অঞ্চলে জলবায়ু স্থিতিস্থাপক কৃষি এবং অবকাঠামোকে তরান্বিত করা ৫.পরিবেশ সচেতন নাগরিকদের একটি প্রজন্ম গড়ে তুলতে পরিবেশগত শিক্ষাকে স্কুল পাঠ্যক্রমের সাথে একীভূত করা। তারেক রহমান বলেন, ‘পরিবেশ সংরক্ষণ বিলাসিতা নয়; এটি একটি প্রয়োজনীয়তা। আসুন আমরা একটি টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে রাজনৈতিক ও সামাজিক সীমানা জুড়ে একত্রিত হই, যেখানে ভবিষ্যতের প্রজন্ম সবুজ, জীবিত এবং স্থিতিস্থাপক একটি জমির উত্তরাধিকারী। এই বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আসুন আমরা আশার বীজ রোপণ করি, আমাদের বায়ু, জল এবং মাটি রক্ষা করি এবং সকলের জন্য ভবিষ্যত রক্ষা করি।’ আজ ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। পরিবেশ সুরক্ষার জন্য সচেতনতা এবং পদক্ষেপ গ্রহণকে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও এবার দিবসটি পালন করা হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়’ এবং স্লোাগান হচ্ছে- ‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়’। দিবসটির মূল উদ্দেশ্য হলো- পরিবেশ দূষণের কারণ চিহ্নিত করা, নীতি-নির্ধারণে গুরুত্বারোপ, প্রতিরোধের উপায় নিরূপণ করাসহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সক্রিয়তা বাড়াতে কাজ করা। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) উদ্যোগে ১৯৭৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘ বিশ্ব পরিবেশ দিবস (ডব্লিউইডি) পালিত হয়ে আসছে। বিশ্বের ১৪৩ টিরও বেশি দেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশেও সরকারি ও বেসরকারিভাবে নানা সংগঠন দিবসটিকে কেন্দ্র করে র্যালি, বৃক্ষরোপণ, আলোচনা সভা ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান কার্যক্রম অব্যাহত রেখে চলেছে।

সবাইকে ঈদ আনন্দ উৎসব ভাগ করে নেয়ার আহ্বান তারেক রহমানের
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে সবাইকে ঈদের আনন্দের উৎসব ভাগ করে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ আহ্বান জানান। তারেক রহমান বলেন, 'পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। তাদের অব্যাহত সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য কামনা করি। ঈদ মোবারক।' তিনি বলেন, ঈদুল আজহা অর্থ ত্যাগের উৎসব। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ত্যাগ করা। পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে বলা হয়েছে, মাংস বা রক্ত কোনোটাই আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, পৌঁছায় তোমার মনের পবিত্র ইচ্ছা। বিশ্ববাসী মানুষের পবিত্র ইচ্ছা হচ্ছে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা। মানুষ আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য পশু কোরবানি দেয়। আত্মশুদ্ধি, আত্মতৃপ্তি আর আত্মত্যাগের সুমহান বার্তা নিয়ে প্রতি বছরই ঘুরে আসে পবিত্র ঈদুল আজহা। তারেক রহমান বলেন, দ্রব্যমূল্য, সামাজিক অনাচার ও নানামুখী সংকটের অভিঘাত স্বত্বেও দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মন ঈদের অমলিন আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে পরিপূর্ণ। দেশের জনগণ দেড় দশক ধরে ফ্যাসিবাদের এক কঠিন সময় পার করেছে। গত বছর ৫ আগস্টে ফ্যাসিবাদী চক্রের পতনের পর দেশে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশে এবার মানুষ ঈদুল আজহা উদ্যাপন করবে। ফ্যাসিবাদী আমলে তাঁবেদার অপশক্তির অবৈধ ক্ষমতা লোভের কারণে রাষ্ট্র ও সমাজে নীতি, নৈতিকতা, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের চূড়ান্ত অবক্ষয় ঘটে। এখন সকলে মিলে বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নত নৈতিকতা ও পাহাড়সম বৈষম্য দূরীভূত করতে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হবে সর্বত্র। যেন বেপরোয়া লুটপাট, দুর্নীতি ও টাকা পাচারের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না হয়। তিনি বলেন, ত্যাগের উৎসব হলো ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহার উৎসবের একটি অঙ্গ হচ্ছে কুরবানি। পশু কুরবানি হলো চিত্তশুদ্ধি ও পবিত্রতার একটি মাধ্যম। ধৈর্য ও বিশ্বাসের পরীক্ষার ঐতিহ্যের ধারা বেয়েই কোরবানি মুসলমানদের জন্য অপরিহার্য করা হয়েছে। ঈদুল আজহার ত্যাগের চেতনা সমাজে ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন সৃষ্টি করে। কোরবানির যে মূল শিক্ষা তা আমরা যদি নিজ জীবনে প্রতিফলিত করে মানব কল্যাণে ব্রতী হই তাহলে নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ করতে পারবো। বিশ্বাসীদের সে চেষ্টায় আত্মনিবেদিত থাকতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, কোরবানি ঈদ বিশ্ব মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের দ্বিতীয়টি। উৎসব হলো সর্বজনীন, এর প্রাঙ্গণে সমবেত হয় সব মানুষ। উৎসব মানুষকে পরস্পরের সাথে শুভেচ্ছাবোধে উদ্বুদ্ধ করে। তিনি বলেন, বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সকলের পক্ষে ঈদের আনন্দ যথাযথভাবে উপভোগ করা কঠিন হবে। মূল্যস্ফীতির তীব্রতা, খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, গৃহস্থালিতে পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের তীব্র সংকটে জনজীবন সীমাহীন দুর্দশায় নিপতিত। স্বল্প আয়ের মানুষরা শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় দিনযাপন করছে। ঈদের আনন্দের দিনে কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে-সেদিকে আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। ঈদের আনন্দের উৎসব ভাগ করে নিতে হবে এক কাতারে সবাইকে । ঈদুল আজহা সবার জীবনে বয়ে আনুক সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি, সমাজে সৃষ্টি হোক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের মেলবন্ধন, মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে এমন প্রার্থনা জানান তারেক রহমান।

নিবন্ধনসহ দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ফেরত পাচ্ছে জামায়াত
নিবন্ধনসহ দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বুধবার বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। এর আগে পহেলা জুন রাজনৈতিক দল হিসাবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করা হাইকোর্টের রায় বাতিল করেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। নিবন্ধন ও অন্যান্য বিষয়ে দলটির করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দেন আদালত। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর আপিল শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারকের বেঞ্চ রোববার এ রায় দেন। সর্বোচ্চ আদালত বলেছিলেন, দলটির ক্ষেত্রে পেন্ডিং রেজিস্ট্রেশন ইস্যু এবং অন্য কোনো ইস্যু যদি থেকে থাকে, তা সাংবিধানিক ম্যান্ডেট অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে ইসিকে নির্দেশ দেওয়া হলো।

ইউনূস সাহেব, পলিটিকস আর ইকোনমিকস এক নয় : পার্থ
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেছেন, ‘ইউনূস সাহেব, পলিটিকস আর ইকোনমিকস এক নয়। পলিটিকসে দুই আর দুইয়ে ২২ হয়, ইকোনমিকসে দুই আর দুইয়ে ৪ হয়।’ গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেকে বলেন—আপনারা ডিসেম্বরে নির্বাচন চান। ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা আমরা বলিনি, আপনি ইউনূস সাহেব বলেছেন ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা। আমরা বলেছি, আপনার সেই ওয়াদা আপনি রাখেন। আমাদের মুখ থেকে ডিসেম্বরের কথা আসেনি।’ প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ‘আপনার ক্ষমতার উৎস জনগণ।যেহেতু সংসদ নেই, আপনার ক্ষমতার উৎস আমরা রাজনীতিবিদরা, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ীরা। আজকে আপনি যে সংস্কারের কথা বলছেন, সাধারণ মানুষের কী সংস্কারের একটা প্রস্তাব নিয়ে আসছে। আজকে দুই লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে বাংলাদেশে, তার সংস্কার তো কোনো কথা বলেননি। আজকে ব্যবসায়ীরা হাহাকার, এনবিআর দিয়ে এবং বিভিন্ন সংস্কার দিয়ে তাদের শেষ করে ফেলাচ্ছে, গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তাদেরকে কথা বলার কোনো জায়গা নেই।' বিজেপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘১৭ বছর বাংলাদেশের মানুষ ভোট দেয়নি। আপনি মানুষের ক্ষমতাটা মানুষের হাতে দিয়ে দেন, মানুষ আপনাকে সব সময় স্মরণ রাখবে। আমরাও আপনাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখব। আমি আগেও বলি সাহেব, পলিটিকস আর ইকোনমিকস এক নয়। পলিটিকসে দুই আর দুইয়ে ২২ হয়, ইকোনমিকসে দুই আর দুইয়ে ৪ হয়।’ নির্বাচনই বাংলাদেশের বড় সংস্কার উল্লেখ করে পার্থ বলেন, ‘নির্বাচন দিলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না এবং সব কিছু শেষও হবে না। কিন্তু নির্বাচনই জনগণকে ক্ষমতায়িত করার একমাত্র পথ। নির্বাচনই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংস্কার। আর বাকি সব সংস্কার, সেটা সময়ের ব্যাপার।’

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অবিচার: আমির খসরু
কালো টাকা সাদা করার সুযোগকে যারা নিয়মিত কর প্রদান করেন তাদের প্রতি অবিচার বলে মনে করে বিএনপি। বুধবার (৪ জুন) সকালে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাজেট নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় দলের এ অবস্থান তুলে ধরেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এসময় তিনি জানান, সরকার গঠনের ১৮০ দিনের পরিকল্পনা সরকার গঠনের আগেই জানাবে বিএনপি। এক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষার শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি, বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। খসরু জানান, প্রাথমিক শিক্ষায় বহুভাষা শেখানোর বিষয় যুক্ত হবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় নানা ধরনের টেকনিশিয়ান কোর্স চালু করবে বিএনপি।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন স্বেচ্ছায় কারাবন্দি ছিলেন শেখ মুজিব: সারজিস
‘মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে ইচ্ছাকৃতভাবে বন্দি হয়ে বিজয়ের পর পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের জেলে বন্দি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকলেও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি সরাসরি মাঠে ছিলেন না।’ বুধবার (৪ জুন) সকাল ১০টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকের এক পোস্টে এ কথা বলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। পোস্টে সারজিস আলম লিখেন, মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ইচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে বন্দি হয়ে বিজয়ের পর পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের জেলে বন্দি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকলেও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি সরাসরি মাঠে ছিলেন না। তিনি লিখেন, তাজউদ্দীন আহমদ মাঠে থেকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল হয় কীভাবে? সারজিস আরও লিখেন, মন্ত্রণালয়ের কাজ ছিল- মুক্তিযোদ্ধার নামে সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার জন্য আওয়ামী আমলে যারা নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা সেজেছেন এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা খুঁজে বের করে তাদের মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা। কিন্তু তা না করে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মাঠে থেকে যারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় সরাসরি অবদান রেখেছেন তাদের মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাতিল করার মতো অপ্রয়োজনীয় কাজ কোনোভাবেই কাম্য নয়। তিনি লিখেন, ইতিহাস যেন কখনো ক্ষমতাসীনদের পক্ষের না হয়। ইতিহাসকে ইতিহাসের মতো করেই চলতে দেওয়া উচিত।

প্রশ্ন করলে জবাবের বদলে মিষ্টি হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন ড. ইউনূস: মান্না
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ‘কোনো জবাবদিহি করেন না’ বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, সামনাসামনি প্রশ্ন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন অথবা কোনো কথাই বলেন না। একটি মাত্র রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায়, এ বক্তব্যের বিষয়ে উনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন মাহমুদুর রহমান মান্না। প্রশ্ন রেখে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘ডিসেম্বরের আগে একটি মাত্র দল নির্বাচন চায়। এমন একটা ভুল করা কি প্রফেসর ইউনূসের জন্য সংগত? এটা কি মানায় তাঁর কাছে? মানে উনি ভুল করে বলেছেন এমন কি হতে পারে? উনি জানতেনই না যে ১টারও বেশি প্রায় ২৯টা দল ইতিমধ্যে ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট চেয়েছে। এই ভুল তো তাঁর হওয়ার কথা নয়। উনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি।’ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চার-পাঁচবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, বৈঠকের শুরুতে তিনি বলে থাকেন রাজনীতিবিদদের সঙ্গে কথা বললে তিনি আশাবাদী হয়ে ওঠেন। কিন্তু সেখানে রাষ্ট্র সংস্কার, গণতন্ত্র কিংবা নির্বাচনের বিষয়ে কোনো কথা বলেননি। জামায়াতে ইসলামীর মতো দল জুন নয়, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা বলেছে বলে উল্লেখ করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘তাহলে মেজর কোন রাজনৈতিক দল জুনে নির্বাচনের কথা বলছে না। তাহলে জুনের মতো একটা প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে তারা ভোটের কথা বলছে কেন?’ নির্বাচন নিয়ে যেখানে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে, সেখানে এ ধরনের অস্পষ্টতা হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, বিদেশি পরামর্শদাতা বলেছেন, হিউম্যান করিডর নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে, আবার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, এমন কোনো আলোচনা হয়নি। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘রাজনীতি করতে হলে বুঝে করতে হয়। শক্তি থাকলেই হয় না। ভুল নীতির ওপর দেশ পরিচালনা সম্ভব নয়।’ যাঁরা ক্ষমতায় আছেন, তাঁরা যেন দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন—সেই প্রত্যাশা জানান তিনি। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের দিক থেকে একটি বড় হুমকি রয়েছে মন্তব্য করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘প্রতিবেশী একটি দেশ পতিত স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিচ্ছে, মদদ দিচ্ছে এবং তাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সব রকম সহায়তা করছে। এতে যেকোনো সময় সীমান্তে ছোট ঘটনা থেকে বড় যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘এই অবস্থায় ভারত যদি আবার বাংলাদেশকে করায়ত্ত করার চেষ্টা করে, আমরা জানি না তার পথ কী হতে পারে। অতীতে যেমন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশকে টার্গেট করা হয়েছিল, আজও একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।’

নারীর ১০০ আসন নিয়ে একমত বিএনপি, নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে দ্বিমত
জাতীয় সংসদে নারী আসন সংখ্যা ৫০ থেকে ১০০ আসনে উন্নীত করার বিষয়ে বিএনপি একমত হলেও নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার দ্বিতীয় দিনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগে একসময় ৩০ আসন ছিল, পরে এটা আমরা বাড়িয়ে ৪৫ করেছিলাম এবং পরবর্তী লাস্ট সংশোধনের মধ্যে এটা ৫০ আসন হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন পদ্ধতিটা হচ্ছে আনুপাতিক হারে যাদের যত সদস্য আছে সেই অনুপাতে সেটা নির্ধারিত হয়। পরে আমরা আরও ৫০ আসন বাড়ানোর প্রস্তাব করলাম। প্রায় সব দলের এটা একই রকম প্রস্তাব ছিল। কিছু কিছু দল বাদে এবং কিছু কিছু দল এমনও প্রস্তাব করেছে যে ১০০ তারা মানে, যদি প্রপোরশনেট হয়। কিন্তু অধিকাংশ দল এটা প্রস্তাব করেছে যে নারীর আসন ৫০ থেকে ১০০ তে উন্নীত হলে ভালো হয়। তো সেই জায়গাতেই এখন ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবটা আছে। তবে সেটা নির্বাচন পদ্ধতি কি হবে এ বিষয়ে কোনো ঐক্য এখনো হয়নি। সেটা পরবর্তীতে আরও আলোচনার জন্য দেওয়া হয়েছে। বিএনপির এ স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, দলের পক্ষ থেকে আমরা যেটা প্রস্তাব করেছি সরাসরি নির্বাচনের জন্য, যে পদ্ধতিগুলো ঘূর্ণায়মান পদ্ধতি অথবা সরাসরি নির্বাচন পদ্ধতি- যেগুলো আলোচনায় এসেছে। সেটা দেশের রাজনৈতিক কালচারে সংসদীয় কালচারে এখনো পর্যন্ত ফিজিবল বলে আমাদের মনে হয়নি। সেজন্য আমরা বলেছি এটা আরও প্র্যাকটিসের মধ্যদিয়ে এক-দুইটা পার্লামেন্ট চলার মধ্যদিয়ে সেটা এমন একটা অবস্থায় যাবে যাতে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা তখন করা যাবে। নারীদের সংরক্ষিত আসন থাকার যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, স্পেশালি অ্যাবলড অথবা ফিজিক্যালি ডিজেবল্ড যারা তাদের জন্য এ বিধানটা কার্যকর করা যায় কি না সেটাও সংবিধানে আসতে হবে। আমাদের নারী সমাজের এখনো পর্যন্ত তেমন অগ্রগতি হয়নি। আমরা নারীর আসন সংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব করেছি। আশা করি, কনস্টিটিউশনালি লিগালি এবং সমাজের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের নারী সমাজ বিভিন্নভাবে ক্ষমতায়িত হবে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বিরোধীদলীয় দল থেকে বানানোর বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে তিনি বলেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে বিরোধীদলীয় সদস্যদের মধ্য থেকে যে প্রস্তাবটা ওখানে প্লেস হয়েছিল যেসব পদ বিরোধীদলীয় সদস্যদের দেওয়া যায় কি না। এ বিষয়ে প্রথম পর্বের আলোচনায় প্রত্যেকে লিখিত এবং মৌখিক জবাব দাখিল করেছে। আমরাও করেছিলাম। সেই জায়গায় কয়েকটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বিরোধীদলের সদস্যদের দেওয়ার ব্যাপারে তখনই প্রায় সব দল একমত হয়েছিল। তিনি বলেন, আমাদের দলের পক্ষ থেকে কয়েকটি সংসদীয় কমিটির এ জাতীয় দেওয়ার পক্ষে আমরা প্রস্তাব করেছি যাতে পার্লামেন্টে জবাবদিহি এবং ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা হয়। মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে বিরোধীদলীয় সদস্যদের নিয়োগ সদস্যদের মনোনীত করার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে আমার মনে হলো সেটা এখনো প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু কয়টা সংখ্যা এবং কি কি মন্ত্রণালয় সেটা এখনো নির্ধারণ হবে না। সেটা জাতীয় সংসদে আলাপ আলোচনার মধ্যদিয়ে এবং সাইজ অব দি অপোজিশন পার্টি ম্যাটার করে। সেই সংখ্যাটা তখন নির্ধারণ করা যাবে। কারণ যদি বিরোধীদলের সদস্য সংখ্যা কম হয়, এখন প্রপোরশন নির্ধারণ করা হয় বা পারসেন্টেজ নির্ধারণ করা হয় সেটা তখন একটু প্রশ্নের সম্মুখে পড়বে। মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে বিরোধীদলের সদস্যদের থেকে নিয়োগ দেওয়া যাবে কি না বা মনোনয়ন দেওয়া যাবে কি না। সে বিষয়েও একটা প্রায় একমত হয়েছে। কিন্তু কতটা কোন কোন মন্ত্রণালয় বা পারসেন্টেজ কত এগুলো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। সেটা উচিতও হবে না। সেটা সংসদে আলোচনার মাধ্যমে করতে হবে। তিনি বলেন, একটা লার্জেস্ট অপোজিশন হতে পারে। বিভিন্ন দলের ছোট ছোট প্রতিনিধিত্ব থাকে। কেউ পাঁচ সদস্যের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিত্ব থাকে। তো তাদের মধ্য থেকেও তো বিবেচনা করতে হবে। শুধু লার্জেস্ট অপোজিশন পার্টি থেকেই সব সভাপতি মনোনয়ন দেওয়াটাও অনুচিত। সেজন্য সে বিষয়টা পার্লামেন্টে আলোচনার মধ্যদিয়ে নির্ধারণ হওয়ার বিষয়ে মোটামুটি আলোচনা হয়েছে।

শপথ না পড়ালে নিজেই শপথ নিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসার ঘোষণা ইশরাকের
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে সরকার শপথ না পড়ালে তিনি নিজেই শপথ নিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসে পড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনে বহিরাগত কোনো প্রশাসক ও সরকারের উপদেষ্টাকে নগর ভবনে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। নগর ভবনে তার সমর্থকদের তৈরি করা মঞ্চ থেকে আজ এই ঘোষণা দিয়ে ইশরাক বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশ্বাসী। আমরা চাই না, একটা বাজে উদাহরণ সৃষ্টি হোক। কিন্তু এই সরকারকে বাধ্য হয়ে বলতে হচ্ছে, আপনারা যদি অবিলম্বে শপথ পড়ানোর ব্যবস্থা না নেন, তাহলে ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে আমি নিজেই শপথ পড়ে আমার চেয়ারে বসব। তবে আপাতত কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নগর ভবন ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি শিথিলের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে এ কর্মসূচির কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে তিনি ও তার সমর্থকরা নগর ভবনে কর্মসূচি পালন করছেন। এর আগে সমর্থকদের নিয়ে তিনি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকাতেও সমাবেশ ও অবস্থানের কর্মসূচি পালন করেছিলেন। ইশরাক হোসেন বলেছেন, এ বিষয়ে আদালতের রায়ের পরেও অন্তর্বর্তী সরকার ও ‘কতিপয় উপদেষ্টা পক্ষপাতদুষ্ট’ হয়ে টালবাহানা করছে। আমাকে শপথ না পড়ানোর মধ্য দিয়ে তারা বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা তারা অসম্মান করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ, আমরা যদি আগামী কাল থেকে তাদের না মানা শুরু করি, তাহলে এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? শপথ যদি তারা না পড়ায়, আমি গিয়ে আমার চেয়ারে বসতে পারি, দুই মিনিটও লাগবে না। আমাদের দলের পক্ষ থেকে তিনজন উপদেষ্টার নাম বলে আসা হয়েছে অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ চাই, যারা দেশ ও জাতির জন্য হুমকি, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত তাদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা দেখতে পাই নাই। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কাকরাইলের অবস্থান থেকে তিনি সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টার সামনে যে কারণে ‘তর্কে’ জড়ালেন সালাহউদ্দিন ও নাহিদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের মধ্যে বৈঠকে তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটেছে। প্রধান উপদেষ্টার সামনেই নির্বাচনের রোডম্যাপ বা সময় নিয়ে তাদের মধ্যে বৈঠকে এ তর্ক হয়েছে বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বৈঠক হয়। গতকাল সোমবার (২ জুন) এই আলোচনা শুরু হয়। সূত্র জানায়, বৈঠকে শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্য দেন। পরে তিনি ও কমিশনের সদস্যরা রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শোনেন। তখন বিএনপির পক্ষ থেকে কথা বলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি ৩১ ডিসেম্বরের পরে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার সুযোগ নেই বলে অন্তর্বর্তী সরকারকে জানান। সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার বিষয়ে ৩১ ডিসেম্বরের এক দিন পরেও সময় দিতে রাজি নয়।’ সালাহউদ্দিনের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কিছু দল ভারতের কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়। তাদের বক্তব্যের সঙ্গে ভারতের বক্তব্যের পার্থক্য নেই। তারা ভারতের সুরেই নির্বাচনের কথা বলছে।’ সঙ্গে সঙ্গে এ কথার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইলে যদি ভারতের সুরে কথা বলা হয়, তাহলে যারা নির্বাচন পেছাতে চায় তারা নিশ্চয়ই যুক্তরাষ্ট্র কিংবা চীনের সুরে কথা বলছে।’ এ নিয়ে দুই দলের নেতাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে উপস্থিত রাজনৈতিক নেতারা তাদের নিবৃত করেন। বৈঠক শেষে বিএনপির সিনিয়র নেতা সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা সম্ভব। নির্বাচন নিশ্চিত করতে যেসব সংস্কার দরকার, বিশেষ করে নির্বাচনী সংস্কার, সেগুলো চিহ্নিত করে সম্মতির ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা জরুরি।’ অন্যদিকে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ বলেন, ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়নের আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা ঠিক হবে না। আগেভাগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলে সংস্কার প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটতে পারে।’

স্থানীয় নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে চায় না বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন কোনোভাবেই অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হোক সেটা আমরা চাই না। এবিষয়ে কোনো জাতীয় ঐকমত্যও হয়নি। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব দেখেছি, যেখানে বলা আছে ৪ মাস। আমাদের দলীয় অবস্থান হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্থায়িত্ব তিন মাসের বেশি হওয়া উচিত না এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন তাদের এখতিয়ারে থাকাই উচিত না। মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তার নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে চলমান বিষয়ভিত্তিক সংলাপে অংশ নেন। সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, জাতীয় নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত হবে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে, এমন বিধান রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন তারা। কিন্তু দলীয় অবস্থান থেকে আমরা সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের ব্যাপারে আস্থাভোট, অর্থবিল, সংবিধান সংশোধনসহ জাতীয় নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছেন। এর বাইরে সব বিষয়ে দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রে যদি কোনো কারণে যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি হয়, তবে জাতীয় সংসদে অবশ্যই এ বিষয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শুধু সরকারি দল নয়, সমস্ত দলকে নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেই জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি ছাড়া অন্য দুই বিষয়ে প্রায় সবাই-ই একমত হয়েছেন। কেউ কেউ বিস্তারিত আলাপের জন্য সময় চেয়েছেন। এই তিনটা বিষয়ে যদি একমত হওয়া যায়, তবে আমরা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টা আলাদাভাবে উপস্থাপন করব এবং আমাদের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোতে এটা থাকবে। সংসদের স্থায়ী কমিটিগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, সংসদের সব স্থায়ী কমিটির প্রধান বিরোধী দল থেকে দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি একমত নয়। কয়েকটি কমিটিতে প্রধান বিরোধী দল থেকে করা যেতে পারে, তবে সব স্থায়ী কমিটির প্রধান বিরোধী দল থেকে দেওয়াকে তারা বাস্তবসম্মত প্রস্তাব মনে করে না। পরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) আয়োজনে ‘গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য। সভায় সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এখন জাতীয়ভাবে সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। নির্বাচন সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়, বিচার স্বাধীনভাবে চলবে। এই সরকারের পরে যারা সরকারে আসবে, তাদের সেটা টেনে নিয়ে যেতে হবে।’ সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। সেগুলোর বিচার করতে গেলে অনেক সময় লাগবে এবং সেই সময়ে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে বিচারের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে। সুতরাং বিচারের সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক সরাসরি আছে, সেটা বলা ঠিক হবে না। আর বিচারের জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়া অবিচারের শামিল। কারণ, বিচারের দীর্ঘ প্রক্রিয়া আমরা সবাই জানি এবং সুবিচার করতে হলে সময় দিতে হয়।’ দেশে এবং বিদেশে বসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অস্থিরতা সৃষ্টির অনেক চেষ্টা হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা, ‘এ দেশে কেউ অপরাধ করে পার পাবেন না। বর্তমান অস্থির পরিস্থিতি বন্ধের উপায় হলো, একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি প্রতিষ্ঠিত করা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেটি যত দ্রুত বাস্তবায়ন হবে ততই জাতির জন্য মঙ্গল।’ যৌক্তিকভাবে সবকিছু বিবেচনা করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দেন তিনি। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর’রের সভাপতিত্বে ও দলটির সহসভাপতি ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ প্রমুখ।

যুবলীগ নেতার পালানোর পথে সহায়তা — বহিষ্কৃত যুবদল নেতা!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এক যুবলীগ নেতাকে পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করায় মিজানুর রহমান নামে ওই যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযুক্ত মিজানুর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। সোমবার (০২ জুন) সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়। বিকেলে জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক মো. আল আমিন স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়। দলীয় প্যাডে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি শামীম মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদের নির্দেশক্রমে জেলার বিজয়নগর উপজেলার ১ নং বুধন্তী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমানকে সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী কাজে জড়িত থাকার দায়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে ঘটনার পর পরই খবর পেয়ে মিজানুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করেছিলো জেলা যুবদল। যার সময়সীমা শেষ হয় শনিবার (৩১ মে)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধন্তী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মিয়াকে আটক করতে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডের ইউনুস মিয়ার দোকানে ১৫ মে রাত ১১টার দিকে অভিযান চালায় পুলিশ। ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান কৌশলে সোহাগ মিয়াকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন। ওই দোকানে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে পুরো ঘটনা রেকর্ড হয়। যা পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। এ ঘটনায় গত ১৭ মে ওই যুবদল নেতা মিজানুর রহমানসহ ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় মামলা করেছেন এসআই সুমন চন্দ্র দাস। এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ রয়েছে দলের সঙ্গে জড়িত কেউ কোনোরকম অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত ওই যুবদল নেতাকে প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। যার মেয়াদ শনিবার শেষ হয়েছে। তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদরে সঙ্গে আলোচনা করে সোমবার তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শুধু মিজানুরই নয় যারাই সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হবে সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আসামি পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় যুবদল নেতা মিজানুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

শেখ হাসিনার মতো কয়েকজন উপদেষ্টাও ব্যাংক লুট করছে: নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা যেভাবে প্রকল্পের নামে ব্যাংক লুট করেছে, সেভাবে কয়েকজন উপদেষ্টাও ব্যাংক লুট করছে। হাসিনার আমলে যেভাবে মিডিয়া কন্ট্রোল করা হতো, এখনো সেভাবে মিডিয়া কন্ট্রোল হচ্ছে। মিডিয়ার স্বাধীনতা নেই। নগদ– এ জালিয়াতি নিয়ে নিউজ করায় সাংবাদিকদের হেনস্তা করা হয়েছে।’ আজ মঙ্গলবার (০৩ জুন) রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন নুর। নির্বাচন প্রসঙ্গে নুর বলেন, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন দল নিয়ে যে ৫টা মিটিং হয়েছে তা ফলপ্রসূ হয়নি। প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছিলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে চান। এখন সেখান থেকে জুনে কেন আসলো, তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।’ গণঅধিকার পরিষদের এই সভাপতি বলেন, ‘এনসিপি সেনাবাহিনীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে। কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকে রিফাইন্ড আওয়ামী নেতা বলে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে তো এই সরকারও চায় রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ রাজনীতি করুক। এর পেছনে ২ জন উপদেষ্টা জড়িত।’ বাজেট প্রসঙ্গে নুর বলেন, ‘ভঙ্গুর এই অর্থনৈতিক অবস্থায় সরকার চাইলেও ভালো বাজেট দিতে পারত না।’ পরাজিত শক্তি যেন চিরতরে জার্মান নাৎসিদের মতো বিলীন হয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন নুর।