দানব আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রিজভী

আওয়ামী লীগকে ঘুমন্ত দানব আখ্যা দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সেই ঘুমন্ত দানবের যাতে প্রত্যাবর্তন না ঘটে এবং নব্য বাকশাল বা অগণতান্ত্রিক শক্তির যাতে পুনরুত্থান না ঘটে সেজন্য যত মতপার্থক্যই থাকুক; আমাদেরকে সাধারণ ঐক্যের মধ্যে থাকতেই হবে।’ শনিবার (২২ মার্চ) রাজধানী রমনায় অনুষ্ঠিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে আয়োজিত রুয়েটের প্রাক্তন ছাত্রদল (রুয়েট এক্স জেসিডি এসোসিয়েশন) নেতাদের উদ্যোগে এই দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। রুয়েটের প্রাক্তন ছাত্রদল নেতা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সহসম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, প্রকৌশলীদের সংগঠন এ্যাবের সাবেক মহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ, প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, প্রকৌশলী মো. আব্দুর রাজ্জাক রুহানি, শামীম রাব্বী সঞ্চয়, আব্দুল মোমিন তালকুদার প্রিন্স প্রমুখ। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলে, ‘আমরা ১৬ বছর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে আজকের এই পরিস্থিতি। কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছি। আমরা যাতে ভবিষ্যতে আরও বেশি করে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারি বা চিরস্থায়ী করা যায়; সেজন্য অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং ভিন্নমতের প্রতি সহনশীলতা অর্থাৎ, গণতন্ত্রের উপাদানগুলোকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’ রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘স্বস্তির নিঃশ্বাস দীর্ঘ করতে হলে সামনে বেশকিছুটা পথ আমাদেরকে পাড়ি দিতে হবে। সেই পথ যাতে নির্বিঘ্নে পাড়ি দিতে পারি; সেই প্রচেষ্টা আমাদেরকে নিতে হবে। তা না হলে মনে রাখতে হবে যে, পরাজিত স্বৈরাচারের দানব তারা ঘুমিয়ে থাকার ভান ধরলেও মাঝে মাঝে জেগে ওঠার চেষ্টা করবে। সেই ঘুমন্ত দানবের যাতে প্রত্যাবর্তন না ঘটে এবং নব্য বাকশাল বা অগণতান্ত্রিক শক্তির যাতে পুনরুত্থান না ঘটে সেজন্য যত মতপার্থক্যই থাকুক; আমাদেরকে সাধারণ ঐক্যের মধ্যে থাকতেই হবে।’

আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করে জিয়াকে জীবন দিতে হয়েছে: হাসনাত আবদুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত যে বা যারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করেছে, তাদেরকে এর মূল্য দিতে হয়েছে। যে জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করেছিলো; তাকে জীবন দিয়ে তা পরিশোধ করতে হয়েছে। জামায়াত আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করেছে, তাদের নেতাকর্মীদের ফাঁসির মাধ্যমে তা পরিশোধ হয়েছে। এরপর আবার আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হয়েছে। পিলখানা, শাপলা গণহত্যা ও দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের মাধ্যমে তা পরিশোধ করতে হয়েছে। আবারও যদি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা হয়; আপনার-আমার জীবন দিয়ে তার খেসারত দিতে হবে।’ আজ শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে এনসিপি ঢাকা মহানগর শাখা আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ আরো বলেন, ‘যদি ১০টা ফেরাউন আর ১০টা নমরুদ একত্র করা হয় তা-ও হাসিনার সমান হবে না। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নজির নেই; যারা গণঅভ্যুত্থানে পরাজিত হয়েছে তাদেরকে পুনরায় নির্বাচনে আসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগকেও এর সুযোগ দেওয়া হবে না।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচারের মধ্য দিয়ে তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল না, তারা ভারতীয় আধিপত্যবাদের অংশ। তিনি বলেন, আপনারা যদি বিচার করতে পারেন আগামী ১০০ বছরেও আওয়ামী লীগ ফিরতে পারবে না। এনসিপি যতদিন আছে; আওয়ামী লীগকে এ দেশে পুনর্বাসন করার সুযোগ দেওয়া হবে না।’ এনসিপির মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগকে রেখে ইনক্লুসিভ নির্বাচনের কথা বলেন তাদের আমরা প্রশ্ন করতে চাই, বিগত তিনটি নির্বাচনে ইনক্লুসিভ ইলেকশন কোথায় ছিলো? যেই দেশে ২ হাজার মানুষের রক্তের দাগ শুকায় নাই, শাপলা, পিলখানা, ভারতীয় আগ্রাসনের বিচার, আবরার হত্যাকাণ্ড, জুলাই অভ্যুত্থানের বিচার হয় নাই; সেই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নাই।’ সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা ক্যান্টমেন্টেই থাকুন। আমরা আপনাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাই। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আপনাদের অবদানকে আমরা স্বীকার করি। কিন্তু স্বাধীনতার পরে রাজনৈতিক পরিমন্ডলে ক্যান্টনমেন্ট থেকে যেভাবে নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করেছেন, ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে সেই সুযোগ থাকবে না। এ দেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করবে শুধু রাজনীতিবিদরা।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা কোনো ইন্সটিটিউটের বিপক্ষে না। আওয়ামী লীগ যেসব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে, সেগুলোকে আমরা ঠিক করতে চাই। সেনাবাহিনীর ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে। আপনাদের ওপর এখনো আমরা আস্থা রাখতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, আপনারা আমাদের আস্থার প্রতিদান দিবেন। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি; তাহলে আওয়ামী লীগ আর ফিরতে পারবে না। কিন্তু আপনারা যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপস করেন তাহলে আমাদের মতো মজলুমদের সঙ্গে বেঈমানী করা হবে।’ বিক্ষোভ সমাবেশে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহিন সরকার, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক মুজাহিদ, রফিকুল ইসলাম আইনি বক্তব্য দেন।

সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘আমাদের অবস্থান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয়, তাদের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সমর্থন আছে। আমাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান আছে। আমরা আশা করি, তারা আমাদের সেই আস্থার প্রতিদান দেবেন।’ গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার, তাদের নিবন্ধন বাতিল, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে শনিবার (২২ মার্চ) শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এসব কথা বলেন হাসনাত। এই সময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম এই নেতা বলেন, ‘পৃথিবীতে কোথাও এমন নজির নেই, যারা গণঅভ্যুথানের মধ্য দিয়ে পালিয়ে যায় তাদের আবার নির্বাচনের সুযোগ করে দেয়। আমরা কোনো নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চাই না। আওয়ামী লীগ যত গণহত্যা করেছে, যত গুম করেছে, যত অপরাধ করেছে তার বিচারের করেই আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবি করেছি আমরা।’ হাসনাত আরও বলেন, ‘কোনো আওয়ামী লীগকে বাংলার মাটিতে পুনর্বাসন করা হবে না। ভারতীয় আধিপত্যবাদ আর বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। আমরা কোনো ইনস্টিটিউশনের বিপক্ষে নই। বরং আওয়ামী লীগ যেসব ইনস্টিটিউশন ধ্বংস করেছে আমরা সেগুলো পুনর্গঠনের পক্ষে।’ এর আগে সমাবেশে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানান দলটির নেতারা। সমাবেশে এনসিপির কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা মহানগরীর নেতাকর্মীরা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে দলের যুগ্ম সদস্য সচিব আকরাম হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা যেভাবে পালিয়ে গেছে, বিশ্বের কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী এভাবে পালিয়ে যায়নি। সেনাবাহিনীর একটি অংশ আওয়ামী লীগকে সেফ এক্সিট দিয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘সচিবালয়ের বড় বড় কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাসায় রেখেছে, আশ্রয় দিয়েছে। এখনও খুঁজলে অনেকের বাসায় আওয়ামী লীগের নেতাদের পাওয়া যাবে। আওয়ামী লীগের নেতাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতের মাঝে বণ্টন করতে হবে। যে দল আগামী দিনে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনতে চাইবে, ছাত্র-জনতা তাদের প্রতিহত করবে।’

সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে: রাশেদ খান

সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো, বিতর্কিত করার চেষ্টা যারা করছে, তারা মূলত আরেকটি ১/১১ ফিরিয়ে আনতে চায়। তিনি বলেন, ‘১/১১ আসলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এদেশের রাজনৈতিক দল। কোনোভাবেই আরেকটি ১/১১ বাংলাদেশে আনা যাবে না।’ শনিবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত আ.লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে অবস্থান ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। রাশেদ খান বলেন, ‘এই যে আমাদের সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো ষড়যন্ত্র চলছে। এই গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর কি কোনও ভূমিকা নেই? সেনাবাহিনী যদি ভূমিকা না রাখতো, তাহলে কোনও গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশে হতো না। যখন সেনাবাহিনী বন্দুকের নল আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট পুলিশের দিকে তাক করেছে, তখনই হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা কয়েকটি দাবি জানিয়েছি। সেগুলো হলো, গণহত্যার বিচার করতে হবে। প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার করা এবং নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করা। নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করলে জনগণ মানবে না। সংস্কারের এক নম্বর উপাদান হলো নির্বাচন। সেই নির্বাচনের কথা আসলেই, উপদেষ্টাদের মুখ কালো হয়ে যায়। তারা ক্ষমতার লোভে পড়েছে। তারা মনে করছে, ধানাই-পানাই করে ক্ষমতায় থাকবে। এই ধানাই-পানাই করে ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনও ক্ষমতায় থাকার চেষ্টার করেছিল। কিন্তু, পারেনি। দেশের জনগণ তাদের উচিত শিক্ষা দিয়েছে। এই উপদেষ্টা পরিষদের যারা আ.লীগকে পুনর্বাসন করতে চান, তারা ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনকে দেখে শিক্ষা নেন। শেখ হাসিনার কাছ থেকে শিক্ষা নেন।’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেক উপদেষ্টা কী কাজ করেন আমরা জানি না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তারা আসলেই দাফতরিক কাজ করছে কিনা, আমরা জানি না। অনেকের নামও আমাদের জানা নেই। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এখানও পর্যন্ত দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করতে পারেনি। চোরগুলো (আ.লীগের নেতারা) যখন ভারত, ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডায় পালিয়ে গেছে, তখন তারা অপারেশন ডেভিল হান্ট ঘোষণা করেছে। একটা ডেভিলও ধরা পড়েনি। ডেভিল সাবের ও মান্নানকে আমাদের দুজন উপদেষ্টা জামিন করিয়েছেন। তারা হলেন, উপদেষ্টা আদিলুর রহমান শুভ্র এবং রেজওয়ানা চৌধুরী। এখনও শোনা যাচ্ছে, এই সাবের নাকি ক্লিন ইমেজের আ.লীগের সভাপতি হবেন।’ গণহত্যার বিচারের আগে দেশে আ.লীগ নামে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের নেতা বলেন, ‘আ.লীগ যারা করেছে, তাদের মধ্যে ভালো মানুষ কয়জন ছিল? তাদের আবার কীসের ক্লিন ইমেজ? আমরা তারপরও বলেছি, যারা সাধারণ ও নিরীহ ছিল, যারা সরাসরি ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালইনি, তাদের ওপর আমরা জুলুম করবো না। তবে, গণহত্যার বিচারের পর আমরা তাদেরকে ছাড় দেবো এবং মাফ করবো। গণহত্যার বিচার শেষ হওয়ার আগে যতই ক্লিন ইমেজ হোক না কেন, বাংলার মাটিতে আ.লীগের নামে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না। যারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করতে আসবে, জনগণ তাদেরকে প্রতিহত করবে।’ তিনি বলেন, প্রয়োজনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন) ঘেরাও করা হবে। আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করতে বাধ্য করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিল, বিশেষ করে সমন্বয়ক নামধারী যাদের নাম পত্রপত্রিকায় উঠে এসেছে, তার মধ্যে ওয়াসা কেলেঙ্কারি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি কেলেঙ্কারি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি উঠে আসছে। আমরা তাদের এগুলো দেখার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আমরা মনে করেছিলাম— তারা আবাবিল পাখি। ওরা নেতৃত্ব দিয়েছে, ওদেরকে দেবতার মতো শ্রদ্ধা জানাতে হবে। কিন্তু, সেই জায়গাটি তারা ধরে রাখতে পারেনি।’

ইতিকাফে বসলেন জামায়াত আমির

পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশকে ইতিকাফে বসেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শনিবার (২২ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির প্রচার বিভাগের একটি সূত্র। পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ (আরবি শাওয়াল মাসের চাঁদ) দেখা পর্যন্ত তিনি ইতিকাফে থাকবেন। রোজা ২৯টি হলে ৩০ তারিখ পর্যন্ত আর রোজা ৩০টি হলে ৩১ তারিখ পর্যন্ত ইতিকাফে থাকবেন তিনি। সাধারণত মুসলিমরা পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশকে সিয়াম সাধনার পাশাপাশি অধিকতর আত্মশুদ্ধির জন্য ইতেকাফে বসে থাকেন। এসময়টিতে ইতেকাফে থাকা ব্যক্তি দুনিয়ার অন্যান্য সকল কাজ-কর্ম বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ইবাদাত ও জিকির আজকারে মশগুল থাকেন। ইসলামের বিধান অনুযায়ী পবিত্র রমজান মাসের ২০ তারিখ থেকে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা পর্যন্ত সময়কে ধরা হয়।

গণভোটে ৮০ ভাগ মানুষ আ. লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে থাকবে: নাসের রহমান

গণভোট নিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন প্রয়াত অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমান। শুক্রবার (২১ মার্চ) তিনি নিজের ফেসবুক ভেরিফাই আইডিতে দেওয়া এক পোষ্টে এমন দাবি করেন। নাসের রহমান ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘গণভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা করা হোক। আমার দৃঢ় বিশ্বাস সর্বনিন্ম ৮০ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে ভোট দিবে। আর এটার একটা বড় সুবিধা হলো বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায় থাকবে না।' তিনি আরো লিখেন, 'যদি কখনো মানুষের রুচির দুর্ভিক্ষে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টি হয়, তখন আবার গণভোটের মুখোমুখি হতে হবে। তাতে প্রকৃত চিত্র ফুটে উঠবে। এই গনহত্যাকারী দলকে কোনো সুস্থ, বিবেকবান ও সাধারণ জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ কখনোই সমর্থন করতে পারে না।' স্ট্যাটাসে তিনি আরো বলেন, 'আওয়ামী লীগ দুর্নীতির মাধ্যমে যে সম্পদ অর্জন করেছে, বিদেশে যে পরিমাণ টাকা পাচার করেছে, তা দ্রুত বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত নেওয়া হোক। বিদেশে যে টাকা পাচার করেছে তা ফেরত পাওয়া না গেলে দেশে এদের জমি-জমা, বাড়ি-গাড়ি যা যা সম্পদ আছে তা বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় তহবিলে জমা নেওয়া হোক।’

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে ফখরুল বললেন, কোনো কমেন্ট করবো না

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আগামীকাল (রোববার) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সংস্কার প্রস্তাবনা জমা দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (২২ মার্চ) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার এবং সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রতি বিএনপির আস্থা আছে বলেও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনই কোনো কমেন্ট করবো না। দয়া করে ওদিকে ডাইভার্ট করবেন না। থ্যাংক ইউ। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং সেলিমা রহমান।

শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান, বারিধারায় চলছে বাড়ির সংস্কার

চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার কিছুদিনের মধ্যেই দেশে ফিরতে পারেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার (১৯ মার্চ) লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরাম ইউকে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক। তিনি বলেন, আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করেছিলাম ঈদ করে দেশে যেতে। তিনি আমাদের অনুরোধ রেখেছেন। এখন তিনি ঈদের পরে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন। এম এ মালেক বলেন, ডাক্তাররাও সে অনুপাতে প্রস্তুতি নিয়ে ম্যাডামকে সেভাবেই চিকিৎসা দিচ্ছেন। তবে এখানে ফ্লাইটেরও একটি বিষয় আছে। ফ্লাইট যদি নির্ধারিত সময়ে না পাওয়া যায়, তাহলে দুই-এক দিন এদিক-সেদিক হতে পারে। তবে ম্যাডাম দেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। এসময় তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি বলেন, আমাদের লিডারের দেশে যাওয়ার সময় নিয়ে এখনো নিশ্চিত বলতে পারছি না। ম্যাডাম খালেদা জিয়া যাওয়ার কিছুদিন পরে হয়তো তিনি দেশে ফিরবেন। একসাথে দুইজন অবশ্যই যাবেন না, এটা আমি বিশ্বাস করি। অবশ্য, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার ব্যাপারটি বেশ জোর দিয়েই জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, এটি এখন সম‌য়ের ব‌্যাপার মাত্র। তারেক রহমান নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরুর আগেই দেশে ফিরবেন। ঢাকায় তার থাকার জন্য বাসা সংস্কারসহ সব প্রস্তু‌তি চলছে। বাড়ির বিষয়ে জানা গেছে, তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও তার বড় বোন শাহীনা জামান বিন্দুর উত্তরাধীকার সূত্রে বারিধারা ডিওএইচএসে এক‌টি বাড়ি আছে। বাড়িটি তারেক রহমানের শ্বশুর সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মাহবুব আলী খানের সূত্রে পাওয়া। মাত্র ৪৯ বছর বয়সে ১৯৮৪ সালে ঢাকায় মারা যান তিনি। বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। তারেক রহমান সস্ত্রীক ঢাকায় গিয়ে এই বাড়িতেই উঠতে চান। সেই লক্ষ্যে বাড়িটিতে বড় ধরনের সংস্কার কাজ চলছে। বাড়ির কিচেন, বাথরুমসহ অনেক অংশ ভেঙে আধু‌নিক ডিজাইনে কাজ করানো হচ্ছে। গত ২০ মার্চ হাইকোর্ট থেকে সব মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলটির আইনজীবীরা বলছেন, এখন তিনি দেশে ফিরে সরাসরি রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন।

শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও এখনও গণতন্ত্র পাই নাই: শামা ওবায়েদ

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম বলেছেন, গত ১৮ বছর আমার বাবা মারা গেছেন, বাবার আদর্শ ও ধানের শীষের আদর্শকে যারা ধরে রেখেছেন, যারা আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন তাদেরকে স্মরণ করছি ও সালাম জানাচ্ছি। মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন তিনি। দলমত, ধর্ম-বর্ণ গোত্র দেখেন নাই সবার জন্য কাজ করেছেন। তিনি বলেন, ‘হাসিনা পালিয়ে গেলেও এখনও আমরা গণতন্ত্র পাই নাই। ভোটের অধিকারও পাই নাই। আমরা সকলে মিলে শপথ নেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এক পরিবার হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী দিনে পথ চলবো এবং আগামী দিনে বাংলাদেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, একটি মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা লড়াই করে যাব।’ শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে জেলার নগরকান্দা উপজেলা সদরের এম এন একাডেমি মাঠে বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় এ কথা বলেন তিনি। তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘গত ১৭ বছর আপনারা যার জন্য আন্দোলন করছেন তা কিন্তু আপনারা এখনও পাননি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য, একটি সুষ্ঠু ভোটের ব্যবস্থা এখনও আমরা পাইনি। বিগত নির্বাচনগুলোতে কেউ তাদের ভোট দিতে পারেনি।’ শামা ওবায়েদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অনেক অত্যাচার করেছে। আমার বাবা ওবায়দুর রহমানকে জেল হত্যা মামলায় আসামি করা হয়। বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়, এখনও কোর্টের বারান্দায় তাদের ঘুরতে হচ্ছে।’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেশের ক্রান্তিকালে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সকলের ভরসা আছে আপনাদের প্রতি। সংস্কার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।’ নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা এবং পৌর বিএনপি’র আয়োজনে স্মরণসভায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ধানমন্ডিতে আ’লীগের সমর্থনে মিছিল, যুবলীগ নেত্রীসহ আটক ৩

রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এলাকায় মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা। এ সময় মিছিলে ধাওয়া দিয়ে তিনজনকে আটক করে স্থানীয়রা। তাদের মারধরের পর মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শুক্রবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় ইফতারির পর ২৫-৩০ জনের একটি দল মিছিলটি নিয়ে মূল সড়ক প্রদক্ষিণ করে। আটকরা হলেন: কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সদস্য লাবণী (৩৫), সিরাজুল (৪৫) ও রাজু (৩০)। পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) জুয়েল রানা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। ‘নাহিদ উজ জামান’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে মিছিলটি লাইভ করা হয়। মিছিলে অংশ নেয়া ব্যক্তিরা শেখ হাসিনার ফিরে আসা নিয়ে নানা স্লোগান দিচ্ছিলেন।

আ.লীগের চালক খারাপ হতে পারে, কিন্তু গাড়ি তো খারাপ নয়: জি এম কাদের

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিরোধিতা করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ একটা দল। দলের ভেতরে যারা বাস করছে তারা খারাপ হতে পারে। আওয়ামী লীগ একটি গাড়ি- এর ড্রাইভার খারাপ হতে পারে গাড়িটা তো খারাপ নয়। এসব জিনিস বুঝতে হবে। কাজেই জোর করে অনেক কথাই বলা যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুর সফরে এসে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। জিএম কাদের বলেন, সবাইকে বুঝতে হবে বিশাল অঙ্কের জনসংখ্যাকে বাইরে রেখে ইচ্ছেমতো যা তা করবো- যেটা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা করেছিল। দেশের অর্ধেক লোককে বাদ দিয়ে নির্বাচন করবেন, কাউকে জোর করে নির্বাচনে আনবেন, কাউকে জোর করে বাদ দেবেন- এ রকম নির্বাচন দেশে গ্রহণযোগ্য হবে না। এ রকম করলে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না। এটা করলে দেশ সামনের দিকে সংঘাতময় দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় চলে যাবে। তিনি বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একদম ভেঙে পড়েছে। পুলিশ বাহিনী তাদের মনোবল হারিয়েছে, এখনও কাজে ফিরতে পারছে না। এর জন্য বর্তমান সরকার দায়ী। জাপা চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবধান বাণীতে সতর্ক হতে না পারলে দেশের জন্য বড় ক্ষতি হতে পারে বলে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে না পারলে দেশে অপরাধের প্রবণতা ও বেকারত্বের সংখ্যা বাড়বে। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জি এম কাদের বলেন, যদি দেশকে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরিয়ে না আনতে পারেন তাহলে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যান। এ সময় রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, সহসভাপতি লোকমান হোসেন, জাহিদুল ইসলামসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি

দেশের চলমান রাজনীতি ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত ৮টায় রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন টাওয়ারে টাওয়ারের ১৫ তলায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব জয়নাল আবেদীন শিশিরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তিনি জানান, এনসিপি দেশের চলমান রাজনীতি ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। প্রথমে একটি বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টায় সংবাদ সম্মেলনের কথা জানানো হয়। তবে পরে আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রমজানের ব্যস্ততার কথা বিবেচনা করে এনসিপির সংবাদ সম্মেলনটি ১ ঘণ্টা পেছানো হয়েছে। আমাদের সংবাদ সম্মেলনটি সন্ধ্যা ৭ টার পরিবর্তে আজ রাত ৮টায় শুরু হবে।

দেশের চলমান সংকট সমাধানে একমাত্র পথ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল

দেশের চলমান সংকট সমাধানের একমাত্র পথ নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (২১ মার্চ) পেশাজীবীদের সম্মানে রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে বিএনপির ইফতার মাহফিলে কথা বলেন ‍তিনি। মাহফিলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, গোটা জাতি সুসময়ের অপেক্ষা করছে। এই সময়টা সবাই দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। সবাই এমনভাবে কথা বলবেন যেন গণতন্ত্রের পথ সুগম করা যায়।’ তিনি আরো বলেন, ‘সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, অথচ দু-বছর আগেই সংস্কার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। এটা যথেষ্ট রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য। তারপরও সংস্কার কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে বিএনপির। সবকিছুকে সামনে রেখেই এগিয়ে যেতে হবে।’ বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অলিক ধারণা নয়, ইথিওপিয়ান চিন্তাভাবনা নয় অথবা আবেগের মধ্য থেকে সমস্যা সমাধান করা যাবে না, বাস্তবধর্মী ব্যবস্থায় সমস্যার সমাধান করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সতর্কতার সঙ্গে পথ পাড়ি দিতে হবে, জনগণকেও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। সবাই মিলে দায়িত্ব নিয়ে ট্রানজিশন পিরিয়ডকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে হবে।’ ফখরুল বলেন, ‘দেশের চলমান সংকট সমাধানে একমাত্র পথ নির্বাচন। জাতির সামনে সবচেয়ে বড় উইজডম হবে নির্বাচন। নির্বাচন ছাড়া সংকট সমাধান হবে না।’ ধর্মীয় উগ্রবাগ যেন মাথাচাড়া দিয়ে না ওঠে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকাির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আপাতত দেশে ফিরছেন না তারেক রহমান

বিএন‌পির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানর তারেক রহমানের আপাতত দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই। নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পর দেশে ফিরতে পারেন তি‌নি। তবে রোজার পরই‌ দেশে ফিরতে চান খালেদা জিয়া। লন্ডনে তারেক রহমানের ঘ‌নিষ্ঠ একা‌ধিক বিশ্বস্ত সূত্র একটি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে। তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও তার বড় বোন শাহীনা জামান বিন্দুর উত্তরাধীকার সূত্রে বারিধারা ডিওএইচএসে এক‌টি বাড়ি আছে। বাড়িটি তারেক রহমানের শ্বশুর সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মাহবুব আলী খানের সূত্রে পাওয়া। মাত্র ৪৯ বছর বয়সে ১৯৮৪ সালে ঢাকায় মারা যান তিনি। বাড়িটি দীর্ঘ দিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। তারেক রহমান সস্ত্রীক ঢাকায় গিয়ে এই বাড়িতেই উঠতে চান। সেই লক্ষ্যে বাড়িটিতে বড় ধরনের সংস্কার কাজ চলছে। বাড়ির কিচেন, বাথরুমসহ অনেক অংশ ভেঙে আধু‌নিক ডিজাইনে কাজ করানো হচ্ছে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান কবে দেশে ফিরতে পারেন এ প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাজ্য বিএন‌পির সভাপতি এমএ মালেক শুক্রবার (২১ মার্চ) বলেন, ‘ম্যাডাম নিজে চিকিৎসা বা প‌রিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানোর চেয়েও দেশের মা‌টিতে দ্রুত ফিরে যেতে আগ্রহী। তি‌নি ঈদের পরই দেশে ফিরে যেতে চান।’ তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে তিনি ব‌লেন, ‘নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুরুর আগেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। ঢাকায় বাসাসহ সব প্রস্তু‌তি চলছে।’ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন বলে মন্তব‌্য করেছেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডাক্তার এজেডএম জাহিদ হোসেন। তারেক রহমানের দে‌শে ফেরার বিষয়ে সাংবা‌দিক‌দের তিনি ব‌লেন, ‘এটি এখন সম‌য়ের ব‌্যাপার মাত্র।’ জা‌হিদ হোসেন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার ব‌্যাপারে বলেন, ‘খুব শিগ‌গিরই চি‌কিৎস‌কের পরাম‌র্শ মতো দেশে ফিরে যাবেন খালেদা জিয়া।’ গতকাল বৃহস্প‌তিবার (২০ মার্চ) সব মামলায় খালাস পেয়েছেন তারেক রহমান। বিএনপির আইনজীবীরা বলছেন, ‘এখন তিনি দেশে ফিরে সরাসরি রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন।’

হত্যা-লুটপাটে জড়িত নয়, এমন নেতৃত্বে আ’লীগের রাজনীতিতে বাধা নেই: রিজভী

হত্যা-লুটপাটে জড়িত নয়, এমন কারও নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখানে ফায়দাবাদ মধ্যপাড়া হাজী শুকুর আলী মাদরাসা সংলগ্ন মাঠে দুস্থদের মধ্যে ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে কথা হচ্ছে, কিন্তু বিচার নিয়ে কথা হচ্ছে না। দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিচারের পর আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আর জনগণ ক্ষমা করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’ জুলাই আন্দোলনে যারা গণহত্যায় জড়িত তাদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যারা অপরাধী তাদের বিচার নিশ্চিত হওয়ার পর জনগণ রাজনীতি করার সুযোগ দিলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের একটি গোষ্ঠী ৫ আগস্টের পর সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু গত ছয় মাসে দৃশ্যমান কোনো সংস্কারের কিছু দেখা যায়নি। দেশের কোথাও স্থিতিশীলতা নেই। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা থেকে মুক্তি পেলেও স্বৈরাচারমুক্ত হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এর জন্য দরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠন করলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।’

আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজড, ওপেন করার কোনোই অবকাশ নেই: জামায়াত আমির

আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। শুক্রবার (২১ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া বার্তায় তিনি এ কথা বলেন। শফিকুর রহমান বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন। জামায়াত আমির বলেন, ‘আল্লাহ তাআলার একান্ত মেহেরবাণীতে আমরা পবিত্র রমাদানুল কারিম অতিক্রম করছি। বাংলাদেশ ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক অতিক্রম করছে। দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের পর ২৪-এর ৩৬ জুলাই আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একান্ত মেহেরবাণীতে উপহার হিসেবে পেয়েছি। এ জন্য মহান রবের দরবারে অসংখ্য-অসংখ্য শুকরিয়া।’ এ সময় দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য পতিত ফ্যাসিবাদীরা দেশের ভিতরে এবং বাহিরে নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্যাতিত ১৮ কোটি মানুষের দাবি, গণহত্যাকারীদের বিচার, ২৪-এর শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন, আহত এবং পঙ্গু অসংখ্য ছাত্র, তরুণ, যুবক ও মুক্তিকামী মানুষের সুচিকিৎসা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৫ বছরের সৃষ্ট জঞ্জালগুলোর মৌলিক সংস্কার সাধন করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা।’ শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এ সময় জনগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই গণহত্যার বিচারটাই দেখতে চায়। এর বাহিরে অন্য কিছু ভাবার কোনো সুযোগ নেই। আমরা সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাই।’ এ সময় তিনি এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে আল্লাহর কাছে দোয়া ও সাহায্য কামনা করেন। শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ৩৬ জুলাই ক্লোজড হয়ে গিয়েছে। নতুন করে ওপেন করার কোনই অবকাশ নেই।’

সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘জনতার দল’

ফিলিস্তিন থেকে অনুপ্রেরিত হয়ে ‘জনতার দল’ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। সাবেক সামরিক ও সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও কর্মী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সমন্বয়ে এই নতুন রাজনৈতিক দলটি সাজানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দলটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। দলটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শামীম কামাল। বিকাল সাড়ে ৩টায় কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে আহতদের সম্মাননা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এনজিও প্রতিনিধিরাও বক্তব্য রাখেন। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেওয়া হয় এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও তাদের মতামত তুলে ধরেন। জনতার দলের চেয়ারম্যান শামীম কামাল বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক দর্শন ফিলিস্তিন। সেখানে নেতা তৈরি হতে দুই ঘণ্টাও সময় লাগে না। আমরা ঐতিহাসিকভাবে মীমাংসিত বিষয় নিয়ে তর্কে জড়াতে চাই না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র সৎ, সাহসী, শিক্ষিত ও দেশপ্রেমিক ব্যক্তিদের নিয়ে এগোতে চাই। প্রয়োজন হলে ১০ জন নিয়েই পথচলা শুরু করবো।’ তিনি জানান, তাদের দলীয় অ্যাকাউন্ট জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে, যাতে সবাই আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে অবগত থাকতে পারেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে এসে জনতার দল নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সাবেক মন্ত্রী নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক রাজনীতিবিদ আজম খান, মেজর জেনারেল (অব.) ফজল ইবনে শারেখুজ্জামান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) সাব্বির আহমেদ, মেজর জেনারেল (অব.) ইসমাইল ফারুক চৌধুরী এবং সাবেক ছাত্রনেতা মাস্তুক হাসান জয়।

নির্বাচনের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত হবে না: আমীর খসরু

সবার মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা থাকতে হবে উল্লেখ করে দেশে নির্বাচনের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, অনেকের অনেক মত থাকবে। সবার মতের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাতে হবে। সহনশীল হতে হবে। দেশের মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে। আর সেই সিদ্ধান্ত হবে দেশের মানুষের ভোটের মাধ্যমে। এর বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত হবে না। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাজধানীর আইডিইবি ভবনে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের সংস্কৃতি (রাজনৈতিক) বদলাতে হবে। আমরা সাংঘর্ষিক রাজনীতির দিকে যেতে পারবো না। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি রাখতে হবে। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা ১৬ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। এই আন্দোলনে মানুষ জীবন দিয়েছে। পুলিশি হেফাজতে মানুষ খুন হয়েছে, গুম হয়েছে। মানুষ চাকরি হারিয়েছে। ব্যবসা হারিয়েছে। পরিবার হারিয়েছে। এই ত্যাগ সহজে বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিইএব) এই দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। আমীর খসরু বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, দিন শেষে দেশের মালিক জনগণ। আজকে মানুষের মনোজগতে পরিবর্তন হয়েছে। আগামীতে বাংলাদেশে কী হবে, এ বিষয়ে মানুষের মনে প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা জেগেছে। এর প্রতিফলন একমাত্র সম্ভব ভোটে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনা করা। বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, আমাদের বিগত দিনের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে সুষ্ঠু রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ফিরতে হবে। যেটি বিএনপি আয়োজিত রাজনীতিবিদদের সম্মানে ইফতার মাহফিলে (বুধবার) প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে সব রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য দিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করতে পেরেছেন। ‘একটি রাজনৈতিক দলের ইফতার মাহফিলে অন্য দলের নেতাদের বক্তব্য দেওয়ার প্ল্যাটফর্ম তৈরির উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বিএনপি। যা দেশের রাজনীতিতে সহনশীলতার প্রথম উদাহরণ। আমরা সবাই যেন কথা বলতে পারি, সম্মান জানাতে পারি, আবার ভিন্নমতও যেন পোষণ করতে পারি। এটিই হবে বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতি’- যোগ করেন তিনি। ডিইএব সভাপতি প্রকৌশলী ইবনে ফজল সাইফুজ্জামান সান্টুর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব প্রকৌশলী কাজী সাখাওয়াত হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপি ও ডিইএবের অন্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।

সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদকে’ আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে ‘সাম্য ন্যায্যতা প্রগতি’ স্লোগান নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। ‘জনতার দল’ নামে দলটির নেতৃত্বে বেশিরভাগই থাকছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাজধানীর খামারবাড়িতে আত্মপ্রকাশ করে দলটি। এই দলের আহ্বায়ক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম কামাল। মেজর (অব.) ডেল এইচ খানকে দলের প্রধান সমন্বয়ক ও মুখপাত্র করা হয়েছে। দলটির আহ্বায়ক ও সমন্বয়ক ছাড়া আর কোনো নেতার নাম ঘোষণা করা হয়নি। ঈদের জনতার দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানান, সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের প্রাধান্য থাকলেও নতুন দলে সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষদের অংশগ্রহণ থাকবে। জনতার দল দেশের ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। যাদের নিয়ে সমাজে বিতর্ক নেই- এমন ব্যক্তিদের প্রার্থী করতে চান নেতারা। জনতার দলে রয়েছেন বেশিরভাগ অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা, তাদের সঙ্গে আছেন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। গণমাধ্যমের মালিকানা আছে এমন ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন এই দলে। জনতার দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টির) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সাবেক মন্ত্রী নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, রাজনীতিবিদ আজম খান, মেজর জেনারেল (অব.) ফজল ইবনে শারেখুজ্জামান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) সাব্বির আহমেদ, মেজর জেনারেল (অব.) ইসমাইল ফারুক চৌধুরী ও সাবেক ছাত্রনেতা মাস্তুক হাসান জয়।

আপনি ধূম্রজাল সৃষ্টি করেছেন কেন—প্রধান উপদেষ্টাকে দুদু

বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আপনাকে আমরা পছন্দ করি। আপনার কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। আপনি দেশে এবং বিশ্বে এক অনন্য। আপনি ফেল করলে এই জাতি সাগরে পড়বে। তাহলে আপনি এই জাতিকে সাগর থেকে উদ্ধার না করে ধুম্রজাল সৃষ্টি করেছেন কেন? বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাজধানীর তোপখানা রোডে শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে এক ইফতার মহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে ওই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন নামের একটি সংগঠন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এখনো আপনার (প্রধান উপদেষ্টা) কথাবার্তায়, চাল-চলনে কুয়াশা থাকবে কেনো? আপনি কুয়াশা কাটান। আমি মনে করি, এই সরকারের প্রধান কাজ কম বেশি সংস্কার করে ডিসেম্বরের মধ্যে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ফ্যাসিবাদ চলে গেছে এটা অনেকেই মনে করছে। আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা এবং শেখ হাসিনার এমপি-মন্ত্রীরা চলে গেছে এটা ঠিক, তবে কেউ যদি মনে করে ফ্যাসিবাদ চলে গেছে তাহলে এটা বিপজ্জনক হতে পারে। স্বৈরতন্ত্রের পতন হলেও গণতন্ত্র এখনো প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। নির্বাচিত কোনো সরকার এখন দেশে নাই। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আছে যেটি গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে কাজ চালানোর জন্য একটি সরকার গঠন করা হয়েছে। এদের প্রধান কাজ হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া। সাধারণ জনগণের ভোটার অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় আনা। সেই নির্বাচিত সরকার দেশের সংস্কার করবে। কিন্তু এই সরকার নিজেরাই সংস্কারের দায়িত্ব কাধে তুলে নিয়েছে। আমরা বিরোধিতা করিনি। গত কয়েক মাসে এই সরকারের কাজকর্ম দেখে আমরা আশাহত হয়েছি। বলা যায় হতাশাজনক। আমরা নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ চেয়েছি। সেই রোড ম্যাপটা হচ্ছে কবে, কোন দিন, কোন মাসে নির্বাচন দেবেন, তার একটি ব্যাখ্যা। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত সাত মাসে এই কথাটি বলতে পারেনি। ফিলিস্তিনিনের মানুষদের সম্পর্কে দুদু বলেন, ইসরাইল, ফিলিস্তিনের উপর হত্যাযোগ্য চালাচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ মুসলিম বিশ্বের নেতৃবৃন্দদের ওপর দায় দেবো। কারণ মুসলিম বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ থাকলে ইসরাইল কখনো ফিলিস্তিনির উপর এভাবে জুলুম নির্যাতন চালাতে পারতো না। মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম কায়সার লিংকন প্রমুখ।

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে গণতান্ত্রিক ধারা ঠিকপথে থাকবে: খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সবার ধারণা চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে গণতান্ত্রিক ধারা ঠিকপথে থাকবে।’ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সাথে বৈঠকের পর তিনি এ মন্তব্য করেন।আমীর খসরু বলেন, ‘নির্বাচন কবে হবে, কবে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরে আসবে, জনগণের সমর্থিত জাতীয় সংসদ নিয়ে ইইউ'র সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সংস্কারের ক্ষেত্রে তারা সমর্থন পুনব্যক্ত করেছেন। সংস্কারের জন্য যেসব জায়গায় সহযোগিতা প্রয়োজন তা দেয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে ইইউ।’নির্বাচন আগে পরের বিষয়টি মুখ্য নয়, ঐক্যমত হলে সমাধান হবে এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বাকিটা ম্যান্ডেট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো সংসদে গিয়ে বাস্তবায়ন করবে। সবার ধারনা চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে গণতান্ত্রিক ধারা ঠিকপথে থাকবে।’প্রায় ১ ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটি সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং শামা ওবায়েদ অংশ নেন। পরে ব্রিফ করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

জামায়াতের মতামত ঐকমত্য কমিশনে, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে জোর

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালুর ওপর জোর দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে মতামত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কো-চেয়ারম্যান আলী রীয়াজের কাছে তাদের মতামত জমা দেন। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন বলে দলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। প্রস্তাব জমা দেওয়ার পরে মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে আসছে। আজ আমরা পাঁচটি বিষয়ের ওপর আমাদের মতামত তুলে ধরেছি।’ ‘কমিশনের প্রস্তাবের সাথে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা একমত হতে পারিনি। আবার অনেক বিষয়েই একমত হয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ব্যাখ্যাসহ আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি। আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেছি। আমীরে জামায়াতসহ নেতৃবৃন্দ প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দ্রুত একটি অর্থবহ নির্বাচন দেওয়ার জন্য বারবার বলে আসছেন।’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যেই সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ শুরু করবে।’ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে। এতে সহসভাপতি হিসেবে আছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। কমিশনের সদস্য হিসেবে রয়েছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান। ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করেন। এরইমধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশ সংস্কারের জন্যে গঠিত ছয় কমিশন তাদের সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে আসা গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর ১৩ মার্চের মধ্যে মতামত জানাতে ৩৮টি দলকে অনুরোধ জানিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। তার মধ্যে অর্ধেক দল এখনো তাদের মতামত দেয়নি।

জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

চাঁদাবাজি, মনোনয়ন বাণিজ্য ও দলীয় ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চার বারের সাংসদ জিএম কাদের তার ভাই হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

ইইউর রাষ্ট্রদূত মিলারের সাথে বিএনপির বৈঠক

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব ছাড়া অংশ নিয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।