
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রায় ১৭ বছর পর স্বদেশের মাটিতে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান একটি শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জামায়াত আমির লেখেন, “জনাব তারেক রহমান, স্বপরিবারে সুস্বাগতম!”
এর আগে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে যাত্রা শুরু করে তারেক রহমানকে বহনকারী উড়োজাহাজটি সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির পর বেলা ১১টা ১২ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ফ্লাইটটি আবার ছেড়ে যায়।
বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার পথে রওনা হয়েছিল। প্রায় ১৭ বছর পর দেশের পথে এই সফরে তারেক রহমানের সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।
বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমানকে লাল ও সবুজ রঙে সজ্জিত একটি বিশেষ বুলেটপ্রুফ বাসে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে। বাসটিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের প্রতিকৃতি সংযুক্ত রয়েছে, পাশাপাশি লেখা আছে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’। পথে তিনি একটি সংক্ষিপ্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
এই উপলক্ষে বিএনপি ৩০০ ফিট সড়ক নামে পরিচিত ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে একটি সংক্ষিপ্ত সংবর্ধনার আয়োজন করেছে। সেখানে তারেক রহমান দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবেন, ধন্যবাদ জানাবেন এবং মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করবেন। অনুষ্ঠান শেষে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। পরে সেখান থেকে গুলশান অ্যাভিনিউয়ে তার মা খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজার পাশে ১৯৬ নম্বর বাসায় যাওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তারেক রহমান গ্রেপ্তার হন। এক বছর কারাভোগের পর ২০০৮ সালে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডনে যান। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে তিনি সেখানে নির্বাসিত জীবনযাপন করে আসছিলেন।
এদিকে, দেশের আকাশসীমায় প্রবেশের পর তারেক রহমান নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অনুভূতি প্রকাশ করে লেখেন, “দীর্ঘ ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!”