
রাজনীতিতে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বিএনপিকে প্রতিহত করতে একটি গোষ্ঠী সচেতনভাবে মানুষকে উসকানি দিচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি দাবি করেন, নিজেদের বুদ্ধিজীবী হিসেবে উপস্থাপন করলেও এই শ্রেণির মানুষ দেশ কীভাবে এগোবে সে বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা দিচ্ছে না।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, “এক শ্রেণির লোক বুদ্ধিজীবী দাবি করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়, কিন্তু দেশ কিভাবে আগাবে সেই কথা বলেন না তারা। বিএনপি ঠেকাও বুদ্ধিজীবী দাঁড়িয়ে গেছে, তারা দলদাস, মানুষকে উসকানি দেয়, ভাষণ-বক্তব্য দিয়ে বেড়ায়।”
তিনি আরও বলেন, “একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যার ক্ষতি আজও কাটিয়ে উঠতে পারিনি আমরা। যে চক্রান্ত শুরু হয়েছে, তাতে দেশ ঘুরে দাঁড়াবে- সেই সম্ভাবনা কঠিন হয়ে উঠেছে।”
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, “গুলি করার কাজ যারা করে তারা চিহ্নিত দল। এই দলটি কখনোই বাংলাদেশকে শান্তিতে থাকতে দেবে না। তারা বলে ৫৪ বছরের প্রতিশোধ নেবে আগামী নির্বাচনে। কার বিরুদ্ধে কিসের প্রতিশোধ নেবেন, যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তাদের নাকি নতুন প্রজন্মকে?”
আলোচনা সভায় বক্তব্যের শেষাংশে মির্জা আব্বাস বলেন, “বিএনপি সব রকম হত্যাকাণ্ড থেকে দূরে থাকতে চায়। কিন্তু যারা এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটাবে, বিএনপি তাদের প্রতিরোধ করবে।”