নারী নির্যাতনকারীদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই: মির্জা ফখরুল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৬:১৬ পিএম, ২৯ জুন ২০২৫

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক হিন্দু প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ও নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (২৯ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ছিল, তা আজও আওয়ামী লীগের পুরনো রাজনৈতিক ফায়দা লোটার নোংরা কৌশলে বিপন্ন হচ্ছে। হাসিনা সরকারের পতনের পরও একটি মহল এই সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনার বদলে রাজনৈতিক স্বার্থে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করছে।”
তিনি বলেন, মুরাদনগরের এই নির্যাতনকাণ্ড একটি নির্মম, অমানবিক ও বর্বর ঘটনা, যা মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল। ঘটনাটি শুধু একটি অপরাধ নয়, বরং একটি কুচক্রী মহলের পরিকল্পিত রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ। তারা সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা চালিয়ে ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে।
বিএনপি মহাসচিব সরাসরি অভিযোগ করেন, “এই এলাকার এক উপদেষ্টা নিজ স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। তাঁর ছত্রচ্ছায়ায় দুষ্কৃতিকারীরা উৎসাহ পাচ্ছে এবং দেশ-বিদেশ থেকে মদদ নিয়ে সমাজবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদী আমলে যেমন সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি দখল করে, নির্যাতন চালিয়ে দোষ চাপানো হতো বিরোধীদের ওপর, এখনো সেই প্রবণতা চলছে। বর্তমানেও একটি শক্তিশালী পক্ষের প্রশ্রয়ে এইসব গোপন অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে যাতে বিএনপিকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা যায়।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “নারী নির্যাতনকারীদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। তারা মানবতার শত্রু। সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিহত করতে হবে।”
তিনি অবিলম্বে মুরাদনগরের ঘটনায় দায়ীদের সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান এবং বলেন, “এ ধরনের ঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, সত্যের ভিত্তিতে বিচারই হোক মানুষের আস্থার জায়গা।”