
দেশের রাজনীতিতে এক শূন্যতা রেখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বুধবার। তার জানাজা ৩১ ডিসেম্বর দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে দুপুর ১২টায় দলের স্থায়ী কমিটির নেতাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মির্জা ফখরুল জানান, জানাজা পড়াবেন জাতীয় মসজিদের খতিব। জানাজা শেষে দুপুর সাড়ে ৩টায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে। এ সময় সাধারণ মানুষের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে এবং কেউ ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন করতে পারবেন না।
খালেদা জিয়ার মৃত্যু প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, "বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যু দেশের মানুষের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি এমন সময় চলে গেলেন যখন সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল।"
এর আগে মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বেগম খালেদা জিয়া (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
এদিকে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে অন্তর্বর্তী সরকার ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর সারা দেশে সাধারণ ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছে।