
বাণিজ্যের আড়ালে ৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং তার স্বার্থ-সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ১৭টি মানি লন্ডারিং মামলায় পুলিশ শীঘ্রই অভিযোগপত্র দাখিল করবে।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান।
সিআইডি জানিয়েছে, তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের কাজ দ্রুত শেষ করা হবে। মামলাগুলোতে সালমান এফ রহমানের পাশাপাশি কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, সালমান এফ রহমান এবং তার ভাই সোহাইল ফাসিহুর রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো গ্রুপের ১৭টি প্রতিষ্ঠান ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ৯৩টি এলসি বা ঋণপত্রের বিপরীতে পণ্য রপ্তানি করেছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রায় ৮৩ মিলিয়ন ডলার (৯৯৬ কোটি টাকা) দেশে না আনায় সিআইডি পাচারের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে।
সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, তদন্তে দেখা গেছে, বিদেশি বাণিজ্যের আড়ালে ভুয়া এলসি খোলা হয়েছে এবং তার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাঠানো হয়েছে।