ফ্রিডম ফ্লোটিলার সব নৌযান একসঙ্গে গাজার পথে এগোচ্ছে: শহিদুল আলম
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৪:২৬ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

গাজা অভিমুখে এগোতে থাকা কনশানস নৌযানটি এর আগে বহরের অন্য আটটি নৌযানকে ছুঁয়ে ফেলেছে। কনশানসের গতি বেশি থাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে নৌযানটির গতি কমানো হয়েছে এবং সব নৌযান একসাথে সমন্বিতভাবে এগোচ্ছে।
দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে ফেসবুকে একটি পোস্টে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি কনশানস নৌযানটিতে অবস্থান করছেন।
কনশানস হলো আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এবং থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি) নৌবহরের একটি জাহাজ। এফএফসি হলো ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙতে এবং গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার-এর যৌথ উদ্যোগের একটি অংশ। তবে এই বহরে কোনো খাদ্য সহায়তা নেই।
শহিদুল আলম ফেসবুকে লিখেছেন, “থাউজেন্ড ম্যাডলিনস একটি অবিস্মরণীয় ধারণা। জাতিগত নিধন ঠেকাতে বিশ্বনেতাদের নিষ্ক্রিয়তা ও কপট ভূমিকার কারণে বিশ্বজনতা নিজ উদ্যোগে পদক্ষেপ নিয়েছে। হাজারো জাহাজের এই সংমিলন প্রতীকী হলেও, নিঃসন্দেহে এটি সমুদ্রযানের সবচেয়ে বড় বহর।”
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, কনশানস হলো বহরের সবচেয়ে বড় জাহাজ এবং এটি ৩০ সেপ্টেম্বর ইতালি থেকে শেষ হিসেবে রওনা হয়েছিল। এর আগে অন্য আটটি নৌযান ও ফ্রিডম কোয়ালিশনের আরও দুটি নৌকা রওনা হয়েছে। কনশানস সবার শেষে রওনা হলেও উচ্চ গতির কারণে আগে রওনা হওয়া আটটি নৌযানকে ছুঁয়ে ফেলেছে। এখন সব নৌযান সমন্বিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
গাজার অবরোধ ভাঙার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করে শহিদুল আলম লিখেছেন, “আমরা কনশানসের মানুষরা অবরোধ ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যদি আমাদের আটকায়, অন্যরা এগিয়ে আসবে। দমনকারী কখনো জনগণের শক্তির বিরুদ্ধে টিকতে পারে না। ইসরায়েলও ব্যর্থ হবে। মুক্ত হবে ফিলিস্তিন।”
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, কনশানস জাহাজটিতে ২৫টি দেশের সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। সর্বশেষ এই মিশন বুধবার যাত্রা শুরু করেছে। ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য এই আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ও চিকিৎসকবাহী জাহাজ গাজা অভিমুখে রওনা হয়েছে।
দুই বছর ধরে ইসরায়েল বিদেশি সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশে বাধা প্রদান করছে। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করে আক্রমণ চালাচ্ছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ২৭০-এরও বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছে, অনেকে আটক বা কারাগারে বন্দী রয়েছেন।