বাংলাদেশের নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৭:৪২ পিএম, ১০ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশের নিরাপত্তা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজের কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মেগান বোলদিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা, সন্ত্রাসবাদ দমন, মামলা পরিচালনা, তরুণীদের অনলাইনে যৌন হয়রানি প্রতিরোধসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
সাক্ষাতের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে আখ্যায়িত করে উপদেষ্টা বলেন, নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম সহায়তায় ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট আধুনিক ও কার্যকর হিসেবে গড়ে উঠেছে। ভবিষ্যতেও এই সহায়তা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান তিনি।
উপদেষ্টার এই আহ্বানের জবাবে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বলেন, প্রতিটি দেশই জঙ্গি হামলার ঝুঁকিতে থাকে এবং বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। যদিও বিগত সময়ে অনেক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে জঙ্গিবাদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, তবুও দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় সতর্ক থাকা জরুরি।
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দেশে বর্তমানে সক্রিয় কোনো জঙ্গি সংগঠন নেই। তবে নিষিদ্ধ ঘোষিত কিছু রাজনৈতিক দল মাঝে মাঝে সভা-সমাবেশের চেষ্টা করে, যেগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোরভাবে দমন করছে।
তিনি আরও জানান, অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে এবং তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বারিধারার কূটনৈতিক এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে কোস্টগার্ডও মোতায়েন রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের নিরাপত্তায় নেওয়া উদ্যোগের প্রশংসা করে মেগান বোলদিন বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়, যোগাযোগ ও তথ্য আদান-প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা যেমন—এনএসআই, এসবি, সিটিটিসি এবং এটিইউ-র মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয় জোরদার হলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও দৃঢ় হবে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পলিটিক্যাল ও ইকোনমিক কাউন্সিলর এরিক গিলান এবং পলিটিক্যাল-মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স অফিসার জস পোপ উপস্থিত ছিলেন।