জানুয়ারি মাসের পূর্বেই ‘ভোলা-বরিশাল’ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দাবি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৬:০৩ পিএম, ১০ জুলাই ২০২৫

আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের আগেই ভোলা-বরিশাল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দাবি জানিয়েছে ‘আগামীর ভোলা’ নামক একটি সংগঠন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সড়ক ভবনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইন উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও আগামীর ভোলার মুখপাত্র মীর মোহাম্মদ জসিম বলেন, ভোলার ২৫ লাখ মানুষ রাত ৮টার পর মূল ভূখণ্ড থেকে অন্যত্র যেতে পারেন না। চিকিৎসা ব্যবস্থার বেহাল দশা থাকায় প্রতিদিন অন্তত ১০-১৫ জন রোগী বিনা চিকিৎসায় অকালে প্রাণ হারান। ভোলা-বরিশাল সেতুটি নির্মাণ করা হলে ভোলার মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। সেতুটি নির্মাণ হলে ভোলা হবে বাংলাদেশের অন্যতম লোভনীয় পর্যটন কেন্দ্র। বিপুল পরিমাণ গ্যাস মজুদ থাকায় প্রচুর ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে ভোলায়।
শেখ মইন উদ্দিন আগামীর ভোলার নেতাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং ভোলা-বরিশাল সেতুর প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, সেতুর ডিজাইন করতে কমপক্ষে এক বছর সময় দরকার হয়। আর সবকিছু ঠিক করে কাজ শুরু করতে আরও দু-এক বছর সময় দরকার হয়। তবে তার সরকার সেতু করার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী বছরের শুরুর দিকে ডিজাইনের কাজ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সেতুটি ১৭ কিলোমিটার লম্বা হবে। দরকার হবে ১৮ হাজার কোটি টাকা। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপে (পিপিপি) সেতুর কাজটি সম্পাদনের পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সাংগঠনিক সম্পাদক ও আগামীর ভোলার অন্যতম সংগঠক ইলিয়াস মাতাব্বর বলেন, ভোলার মানুষ বঞ্চিত হতে হতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। ভোলার মানুষের প্রাণের দাবিটি দ্রুত বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
আগামীর ভোলার আরেক অন্যতম সংগঠক অ্যাডভোকেট এমরান হোসেন বলেন, আগামীর ভোলার ব্যানারে আমরা পুরো ভোলাবাসী আন্দোলন করেছি। আমাদের মৌলিক দাবি আদায়ের লক্ষে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রসমাজ (বিজেপি) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও আগামীর ভোলার অন্যতম সংগঠক সাইফুল, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও আগামীর ভোলার অন্যতম সংগঠক মো. আল আমিন।