আড়িয়াল বিলকে বিশেষ জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ এলাকা ঘোষণা করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা


February 4 2025/R_20250619_220918185.jpg

পান্থপথে পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালায় পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

আড়িয়াল বিলকে হয় একটা জলাভূমি কেন্দ্রিক সংরক্ষিত এলাকা অথবা বিশেষ জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ এলাকা ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর পান্থপথে পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘আড়িয়াল বিল এলাকার জীবনযাত্রার মান এবং পানি ও ভূমি সম্পদের সমন্বিত ব্যবস্থাপনা সমীক্ষা’ শীর্ষক প্রকল্পের ফলাফলের উপর অনুষ্ঠিত এক জাতীয় কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা এসময় আড়িয়াল বিলে মৎস্য অধিদফতরের নির্মিত আটটি বন্ধ খাল যেগুলো ক্লোজার করে রাখা হয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে খুলে দিতে জেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদফতর এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, ‘আড়িয়াল বিল এলাকার গ্রাম ও মাঠ পর্যায়ে স্থানীয় জনগণের মতামত নিয়ে আমরা এটি সম্পর্কে একটি বিস্তারিত প্রকল্প গ্রহণ করব। বিলটিকে একটা প্রটেক্টেড এরিয়ার মর্যাদা দিয়ে, দাগ-খতিয়ান ধরে একটা গেজেট করে দেব। একটা প্রটেকশন স্ট্যাটাস বা সংরক্ষিত মর্যাদা আড়িয়াল বিলকে দিতে হবে, তা না দেওয়া পর্যন্ত এই বিলের ধ্বংসযজ্ঞটা আমরা কমাতে পারবো না। অন্যদিকে, বেলাই বিল এবং চলন বিলকেও জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে আমাদেরকে বিবেচনা করতে হবে।’

পানিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘নদ-নদীকে নষ্ট করে আমরা উন্নয়ন করতে পারি না। দরকার হলে আমরা অনেক দূর ঘুরে যাবো, কিন্তু খাল বা নদীর উপর বাঁধ দিয়ে যাওয়ার যে প্রবণতা তৈরি হয়েছে, সে জায়গা থেকে সবাইকে সরে আসতে হবে।’

এ সময় উপদেষ্টা কর্মশালায় উপস্থিত মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসককে আড়িয়াল বিলের ভেতরে মৎস্য চাষের জন্য খালের ওপর বেআইনিভাবে নির্মিত অপরিকল্পিত মাটির বাঁধগুলো তালিকা করে অবিলম্বে অপসারণ করার নির্দেশ দেন এবং যে বাঁধগুলো চলাচলের জন্য করা হয়েছে, সেগুলো কেটে খালের ওপর বাঁশের পথ তৈরি করে দেওয়ার নির্দেশনা দেন।

রিজওয়ানা বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ে আড়িয়াল বিলে যেসব স্থানে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে, সেই বাধাগুলো অপসারণ করার পাশাপাশি প্রয়োজনে ড্রেজিং করা হবে। বিলের ৫৩৯০ হেক্টরের মধ্যে সরকারের খাস খতিয়ানে থাকা ৭১.৭৭ হেক্টরকে বিশেষ জীববৈচিত্র্য এলাকা বা সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা যেতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘এ বিলের ভেতরে খালের ওপর দেওয়া অবৈধ মাটির বাঁধ অপসারণ করে মানুষের চলাচলের জন্য কিছু ছোট ছোট সেতু অল্প সময়ের মধ্যে নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য সড়ক বিভাগকে আমরা অনুরোধ করব।’

পানি সম্পদ উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আগামী এক মাসের মধ্যে আড়িয়াল বিল সম্পর্কে একটি কর্মপরিকল্পনা জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেন। সেই সঙ্গে একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×