করোনা ফিরতেই মাস্কের বাজারে আগুন!


saurav/5213314.webp

দেশে নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সরকারি, অফিস-আদালত থেকে শুরু করে বেশির ভাগ জায়গায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। করোনার এই নতুন ঢেউয়ে মাস্কের পাইকারি পর্যায়ে দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। একদল অসাধু ব্যবসায়ী করোনার অজুহাতে অধিক মুনাফা আদায়ে সিন্ডিকেট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অতিরিক্ত দামে মাস্ক কিনে পরতে হচ্ছে তাদের।

সার্জিক্যাল দোকানিরা জানান, পাইকারি পর্যায়ে প্রতি বক্সে ৫০-৮০ টাকা দাম বেড়েছে। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও বাড়িয়ে দিয়েছে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রকেরা।

শুধু মাস্কই নয়, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ডেটলের দামও আগের চেয়ে বেড়েছে বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে রাজধানীর পল্টন মোড় এলাকার বিভিন্ন সার্জিক্যাল পাইকারি ও খুচরা দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ১০০টি মাস্কের বক্স আগে দাম ছিল ১২০ টাকা, বর্তমানে এই বক্সের দাম হয়েছে ২০০ টাকা। কোম্পানি ভেদে মাস্ক বক্সের দাম বেড়েছে ৬০ থেকে ১০০ টাকা।

৫০০ মিলি ছোট হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম ছিল আগে ১৩০ টাকা, বর্তমান দাম ১৫০ টাকা। এছাড়া আগে ছোট ডেটলের দাম ছিল ১০৫ টাকা, বর্তমানে ২০০ টাকা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সংক্রমণ বাড়ায় ইতোমধ্যে মহাখালীর কোভিড বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। ১৩ জন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ইতোমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে শনাক্তকরণ কিট সরবরাহ শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

রফিক আহমেদ নামের একজন ক্রেতা বলেন, ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অনুসারে বাসার সবার জন্য এক বক্স মাস্ক কিনতে এসেছি। কিন্তু এসে দেখছি আগে তুলনায় দাম বেড়েছে ভালোই। সরকারের উচিত এমন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিক রাখা।’

সার্জিক্যাল সপের মালিক আকাশ আহমেদ বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় মাস্কের চাহিদা যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে দামও। আমাদের পাইকারি পর্যায়ে কিনতেই কোম্পানি ভেদে ৫০-৮০ টাকা বেশি লাগছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’

মিয়া সার্জিক্যাল সপের মালিক ইদ্রিস মিয়া বলেন, ‘আমাদের দেশ হলো এমন অদ্ভুত, কোনো কিছুর চাহিদা একটু বাড়লেই একটা অসাধু চক্র সেটি ধরে বসে। এই চক্র যতটা সম্ভব সবার গলা কেটে অর্থ আদায় করে। এই অসাধু চক্রের কারণে বর্তমানে মাস্ক বক্সের দাম বেড়েছে। কারণ চাহিদা যতটা বাড়ছে তার চেয়ে বেশি দাম বেড়েছে।’

দেশে ২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়। তখন মাস্কসহ প্রয়োজনীয় স্যানেটাইজেশন সামগ্রীর চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। তখন এই খাতের ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের পকেট কাটে। তবে ২০২২ সালের পর করোনার প্রকোপ কমে যায়। এতে মাস্কসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রীর চাহিদাও কমে যায়। তবে সম্প্রতি নতুন করে করোনাভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট ধরা পড়ার পর আবার সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এতে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সুযোগ বুঝে আবারও ভোক্তাদের পকেট কাটার ফন্দি করছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×