তিন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলো থেকে পরামর্শ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৭:৪১ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশের চলমান নানা ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বৈঠকে বসেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনটি ইস্যু নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটায় ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শুরু হয় এ বৈঠক। বৈঠকের এজেন্ডা সরকারের পক্ষে তুলে ধরেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
সন্ধ্যা সোয়া পাঁচটার দিকে বৈঠক থেকে বেরিয়ে এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তিনটি বিষয়ে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রথম বিষয় ভারতসহ সারা বিশ্বে যে প্রোপাগান্ডা চলছে, সেগুলোর বিষয়ে রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের করণীয়, দ্বিতীয় বিষয় আগরতলায় সহকারী হাইকমিশন অফিস ভাঙচুর ও পতাকা অপমান নিয়ে করণীয় এবং তৃতীয় বিষয় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে যে গল্প ও উপন্যাস সারা দুনিয়ায় চলছে, তা নিয়ে মতামত।’
ফুয়াদ আরও বলেন, ‘আজকের আলোচনায় নির্বাচন কোন আলোচ্য বিষয় ছিল না। রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের করণীয় কী? এ প্রসঙ্গে সবগুলো দল তাদের মতামত তুলে ধরছে। বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ভাষ্যে নির্বাচন না থাকলেও প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন দেওয়ার জন্য তাগাদা দিয়েছে তারা; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় নিয়ে অনেকে অভিযোগ বহু করছেন। সেবার একটা ঘাটতি সারা দেশে পরিলক্ষিত হচ্ছে, এই ক্ষেত্রে সরকার কী ব্যবস্থা নেবে? সবাই রাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেছেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এবং জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে আমরা সবাই সরকারের সঙ্গে আছি।’
এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব বলেন, ‘একজন সাবেক মিলিটারি অফিসার যিনি একটি দলেরও প্রধান, তিনি বলেছেন- ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের জায়গাটাকে উসকানি ও উদ্বেগ থেকে কীভাবে ভারসাম্য জায়গায় নিয়ে আসা যায়, সেজন্য যেন কাজ করি। দুয়েকজন পরামর্শ দিয়েছেন, সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে আমরা একটি জাতীয় কমিশন করতে পারি কি না? জাতীয় কমিশন করলে ৫০ বছরের বঞ্চনা বিশেষ করে গত ১৬ বছরে যে বঞ্চনা হয়েছে, তার সত্যতা কতটুকু, তা বের হয়ে আসবে।’
এবি পার্টির এই নেতা বলেন, ‘কিছু মতামত এসেছে, বিভিন্ন রাষ্ট্রে যে অ্যাম্বেসি আছে, সেখানে কর্মরত যারা আছেন, তারা এখনো ফ্যাসিবাদী আমলের। তাই, ওই সব রাষ্ট্রে বাংলাদেশ বিদ্বেষ ঠেকানোর জন্য যা যা করা দরকার, তা সরকার করছে না। সেক্ষেত্রে দূতাবাসগুলো থেকে তাদের বের করে এনে অভ্যুত্থানের পক্ষের অফিসারদের নিয়োগ করা দরকার।’
প্রোপাগান্ডাকে হ্যান্ডেল করার জন্য রাষ্ট্রের পিআর সেল করা দরকার বলে কিছু রাজনৈতিক দল মতামত দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।