
ইউক্রেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবনে হামলা চালিয়েছে- এমন প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রত্যাখ্যান করেছে ইউরোপ।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা ক্যালাস এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন দাবি’ বলে আখ্যায়িত করেন।
ক্যালাসের ভাষ্য, পুতিনের বাসভবনে হামলার বিষয়ে যেসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা ‘কারও গ্রহণ করা উচিত নয়’। তিনি বলেন, এটি ‘একটি ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তি’ এবং এর উদ্দেশ্য হলো ‘শান্তির দিকে প্রকৃত অগ্রগতিকে লাইনচ্যুত করা’।
অন্যদিকে, রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এসব মন্তব্য ‘এড়িয়ে’ গিয়ে জানান, ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনা প্রক্রিয়া চালু রাখবে রাশিয়া, তবে সেই সংলাপ মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই হবে। পুতিনের বাসভবনে কিয়েভের হামলার অভিযোগের পর মস্কো আলোচনায় আরও কঠোর অবস্থান নিতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
এর আগে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ দাবি করেন, ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর রাতে রাশিয়ার নভগোরোড অঞ্চলে পুতিনের বাসভবনে ৯১টি ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালায় ইউক্রেন। তবে রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সব ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে, রুশ নেতার সহকারী ইউরি উশাকভ বলেন, এই হামলার বিষয়টি নিয়ে পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। উশাকভের ভাষ্য অনুযায়ী, পুতিন ‘সবচেয়ে গুরুতর প্রতিক্রিয়া’ দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন।