
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঘিরে চলমান উত্তেজনার প্রভাব পড়ল পর্যটন খাতেও। কথিত রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ভারত বিরোধী মনোভাবের কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছে হোটেল ভাড়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের শিলিগুড়ির হোটেল ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার ২৬ ডিসেম্বর এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়, শিলিগুড়ির হোটেল মালিকদের সংগঠন বৃহত্তর শিলিগুড়ি হোটেল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে।
সংগঠনটির জয়েন্ট সেক্রেটারি উজ্বল ঘোষ জানান, এই সিদ্ধান্তের সূচনা হয়েছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। সে সময় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভারতে আসা রোগীদের ক্ষেত্রে মানবিক বিবেচনায় নিষেধাজ্ঞা শিথিল রাখা হয়েছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই ছাড়ও আর থাকছে না।
তিনি বলেন, “২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, আমাদের সদস্যরা বাংলাদেশিদের কাছে হোটেল ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু মানবিক কারণে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও অসুস্থ মানুষদের কাছে ভাড়া দেওয়া হচ্ছিল। যারা ভারতে পড়াশোনা ও চিকিৎসার জন্য এসেছেন।”
এরপর পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, “কিন্তু বাংলাদেশে (কথিত) সহিংসতা এবং ভারত বিরোধী বক্তব্যের কারণে আমরা আর কোনো বাংলাদেশির কাছে হোটেল ভাড়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
উজ্বল ঘোষের দাবি অনুযায়ী, তাদের সংগঠনের আওতায় শিলিগুড়ি শহরে মোট ১৮০টি হোটেল রয়েছে এবং সব সদস্যই এই সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে অনুসরণ করবেন।
এদিকে সংগঠনের বাইরে থাকা আরও প্রায় ৫০টি হোটেলও বাংলাদেশি অতিথিদের জন্য বুকিং বন্ধ রেখেছে বলে একটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি বছর শিক্ষা, চিকিৎসা ও পর্যটনের উদ্দেশ্যে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শিলিগুড়ি সফর করেন। নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে তাদের যাতায়াত ও অবস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে।
সূত্র: টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া