
বিশ্বের সমুদ্রাঞ্চলে আধিপত্য আরও দৃঢ় করতে এবার নজিরবিহীন শক্তিধর যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন নৌবাহিনীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর ও আধুনিক এই যুদ্ধজাহাজগুলো তার নামেই নামকরণ করা হবে।
গত সোমবার ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন। এ সময় তার পাশে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
ট্রাম্প জানান, সমুদ্রে এই জাহাজগুলো হবে প্রকৃত অর্থেই এক ‘বিভীষিকা’। প্রতিটির ওজন হবে আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ হাজার টন। আকার ও শক্তির দিক থেকে এগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান ডেস্ট্রয়ার কিংবা ক্রুজারের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী হবে।
এই যুদ্ধজাহাজগুলোতে কেবল প্রচলিত অস্ত্র নয়, যুক্ত করা হবে অত্যাধুনিক লেজার গান এবং শব্দের গতিকেও ছাড়িয়ে যাওয়া হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। পাশাপাশি সমুদ্র থেকে পারমাণবিক অস্ত্রবাহী ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপের সক্ষমতাও থাকবে, যা যেকোনো প্রতিপক্ষকে মুহূর্তেই ধ্বংস করে দিতে পারে।
চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তির পাল্টা জবাব হিসেবেই কি এই উদ্যোগ—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ট্রাম্প নির্দিষ্ট কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি।
হালকা হাসি দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা শুধু চীনকে নয়, বরং পৃথিবীর যে কাউকে প্রতিরোধ করতে। তারা চীনের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক রাখছেন। কিন্তু তাদের শক্তি প্রদর্শনে কোনো কমতি থাকবে না।’
প্রাথমিক পর্যায়ে ‘ট্রাম্প-শ্রেণি’র দুটি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের কাজ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এ সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি। যদিও আকার ও ওজনের দিক থেকে এসব জাহাজ যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া-শ্রেণির যুদ্ধজাহাজের চেয়ে কিছুটা ছোট হতে পারে, তবে প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় এগুলো হবে বহুগুণ এগিয়ে।