ট্রাম্প পেলেন নতুন প্রভাব ও ক্ষমতার বলয়


saurav/1737621685_trump.jpg

সুপ্রিম কোর্টের আদেশে ক্ষমতা বেড়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের এক এক আদেশে প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ আটকে দেওয়ার ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের বিচারকদের ক্ষমতা সীমিত করা হয়েছে।

শনিবার (২৮ জুন) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আদেশের ফলে অবৈধ অভিবাসী ও অস্থায়ী ভিসাধারীদের সন্তানদের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বন্ধে ট্রাম্পের জারি করা আদেশ কার্যকরের পথ প্রশস্ত হয়েছে। এটিকে বিশাল জয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন এবং অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানদের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বন্ধে নির্বাহী আদেশ কার্যকরের উদ্যোগ নিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ বিষয়ে করা মামলায় সুপ্রিমকোর্টের বিচারকরা ট্রাম্পের পক্ষ নিয়েছেন। তারা বলেছেন, তারা জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের উদ্যোগের বিষয়টিতে দৃষ্টি দেননি। এর বদলে তারা মোটা দাগে প্রেসিডেন্টের কার্যক্রমের ওপর আলোকপাত করেছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আদেশের ফলে ভবিষ্যতে নির্বাহী আদেশে নেওয়া পদক্ষেপগুলো চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে। এমনকি এই আদেশেরও আইনি চ্যালেঞ্জ হবে।

অভিবাসন বিষয়ক অধিকার গোষ্ঠী এবং ২২টি রাজ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনে ট্রাম্প যেসব নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। এর উদ্দেশ্যে ছিল ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ আটকে দেওয়া এবং প্রাথমিক পর্যায়ে তাই হয়েছিল। কিন্তু দেশটির বিচার বিভাগ এর সঙ্গে একমত হয়নি। তারা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন। এতে তারা প্রাথমিক আদেশ সাংবিধানিক হয়নি বলে উল্লেখ করেন।

শুক্রবার আদালত ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে একমত পোষণ করে নতুন আদেশ দিয়েছেন। আদালতের এ আদেশের প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্ত সংবিধানের জন্য। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও আইনের শাসনের জন্য অগ্রাহ্য করার চেষ্টা এবং দেশজুড়ে আদেশের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ছিল গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকি।

অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি বলেন, আদালতের এই সিদ্ধান্তের অর্থ হলো বিচারকরা ট্রাম্পের নীতি আটকে দিতে পারবেন না। তিনি বলেন, অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী সেশন শুরু হওয়ার পর জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিষয়ে নানা প্রশ্ন তারা আমলে নেবে।

সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বলা হয়েছে, দেশের আদালতগুলো অসাংবিধানিক বা বেআইনি মনে হলে প্রেসিডেন্টের কার্যক্রম স্থগিত করতে পারবে। তবে আরও বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি করতে হবে। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট তার কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আরও সুযোগ পাবেন।

 

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×