ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব রাশিয়ার


February 4 2025/_101211511_29450e89-13ac-4c4c-abec-39808c348728.jpg.webp

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। তবে ইসরায়েল এই মধ্যস্থতা গ্রহণ করতে অনিচ্ছুক বলে দাবি মস্কোর। 

মঙ্গলবার (১৭ জুন) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।

পেসকভ বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন রাশিয়া প্রয়োজনে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে, আমরা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যেকোনো মধ্যস্থতা প্রস্তাক গ্রহণ করতে বা সংঘাত বন্ধে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে পথ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা দেখতে পাচ্ছি।’

ইরান রাশিয়ার অন্যতম শীর্ষ মিত্র, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উভয় দেশই সম্পর্ক আরও গভীর করেছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে রাশিয়া, যা এই সংঘাত বন্ধে দেশটিকে একটি সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হয়ে ওঠার সুযোগ দিয়েছে।

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছে, তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি মোকাবেলার জন্য কূটনীতিই সর্বোত্তম পথ। 

মঙ্গলবার ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত নিয়ে ইইউভুক্ত ২৭ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে ভিডিও কলে জরুরি আলোচনার পর ইইউর পররাষ্ট্র নীতি প্রধান কাজা কালাস বলেন, ‘আমরা সকলেই উত্তেজনা হ্রাসের জরুরি প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত। ইরান পারমাণবিক বোমা বানাতে পারে না, যা প্রতিরোধের সমাধান হল কূটনীতি পথ এবং ইইউ এতে তার ভূমিকা পালন করবে।’ 

অন্যদিকে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পাশাপাশি এবং পারমাণবিক আলোচনায় ফিরে আসার জন্য সহায়তাকারী ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত তুরস্ক।

সোমবারের (১৬ জুন) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। এ ফোনালাপে ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পাশাপাশি বৃহত্তর আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তর জানিয়েছে, টেলিফোনে এরদোগান বলেছেন, তুরস্ক সংঘাত কমাতে এবং পারমাণবিক আলোচনায় ফিরে আসার জন্য সহায়তাকারী ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, চলমান সংঘাতের মধ্যে তিনি বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।

গত শুক্রবার (১৩ জুন) থেকে ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাসহ একাধিক স্থানে সমন্বিত বিমান হামলা চালানোর পর থেকে আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বেড়েছে। জবাবে তেলআবিবে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে তেহরান। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ২৪ জন নিহত এবং শতশত মানুষ আহত হয়েছে। অন্যদিকে ইরানের পক্ষ বলেছে, ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ২২৪ জন নিহত এবং ১,০০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×