
মানুষের সেবা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, কথা কম বলে মানুষের সেবায় কাজ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করতে হবে। শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, কথা কম বলে অসুস্থ মানুষের সেবায় কাজ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করতে হবে আমাদের। বঙ্গবন্ধু এই দেশকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতেন। তিনি ২৩ বছর লড়াই সংগ্রাম করেছেন বাংলাদেশ একদিন স্বাধীন হবে সেই জন্য। তার দীর্ঘদিনের স্বপ্নের দেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি কিন্তু দেশকে তার স্বপ্নের মতো করে সাজানোর সুযোগ পাননি। তিনি মাত্র তিন বছরের মতো সময় ক্ষমতায় ছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর দেশ স্বাধীন হলেও দেশে তেমন কোনো সম্পদ বা অর্থ ছিল না। সেই দুর্ভিক্ষ পীড়িত দেশের দায়িত্ব নিয়ে এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে তিনি কাজ শুরু করেননি। স্বাস্থ্যখাতের সব ভালো উদ্যোগগুলো তিনিই শুরু করে দিয়েছিলেন। তিনি যেভাবে শুরু করেছিলেন দেশের বিভিন্ন কুচক্রী মহলের কারণে সেগুলো সেভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। এখন জননেত্রী শেখ হাসিনা বাবার কাজগুলো এক এক করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, জনগণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন করা। সেই কাজ করতে মুখে আমাদের বড় বড় কথা বললেই হবে না, কাজ করে দেখাতে হবে। এ জন্য আমরা যেন মুখে কথা কম বলে কাজ করেই আমাদের সক্ষমতা বুঝিয়ে দিতে পারি সে লক্ষ্যেই মাঠে নেমে পড়তে হবে। ঈদের পর থেকে তৃণমূল স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে আমি আবারও মাঠে নেমে পড়ব। প্রয়োজনে প্রত্যন্ত গ্রামে গঞ্জে চলে যাবো। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে যা যা করার দরকার আমি তাই করবো। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২৩ বছরের ত্যাগে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। কত দিন তিনি খেয়ে না খেয়ে দেশের মানুষকে একত্রিত করতে কাজ করেছেন তার হিসাব নেই। বিশ্বের অনেক দেশই স্বাধীনতার জন্য যুগের পর যুগ লড়াই করে যাচ্ছে, কিন্তু স্বাধীন হতে পারছে না। বাংলাদেশ কীভাবে পারলো, ভারত কীভাবে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করতে ঝাপিয়ে পড়লো! এগুলো তো আর এমনি এমনি হয়নি। বঙ্গবন্ধুর সাহস ছিল, বুকের পাটা বড় ছিল। এ জন্যই বাংলাদেশ এতো আগে স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর মতো সাহসী নেতা নেই বলেই অনেক দেশ স্বাধীন হতে পারছে না। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বিএসএমএমইউ ভিসি ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটো মিয়া, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর প্রমুখ। ঢাকাওয়াচ/টিআর

সকালের নাস্তা এড়িয়ে যেসব বিপদ ডেকে আনছেন
অনেকে বেলা করে ঘুম থেকে ওঠেন। বিশেষ করে শহরে এই প্রবণতা বেশি। এতে নাস্তাটা এড়িয়ে যান ইচ্ছা-অনিচ্ছায়। অথচ পুষ্টিবিদরা বলছেন সকালের খাবারটাই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যা এড়িয়ে গেলে বাড়বে কিছু বিপদ- হৃদরোগের ঝুঁকি দিনের পর দিন সকালের নাস্তা না করলে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পুরুষ সকালে নাস্তা এড়িয়ে যান তাদের মধ্যে ২৭ শতাংশের বেশি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। স্বাস্থ্যকর নাস্তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। টাইপ-২ ডায়াবেটিস হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি স্কুল অব পাবলিক হেলথের এক গবেষণা পরিচালিত হয় প্রায় ৬ বছর ধরে। মোট ৪৬ হাজার ২৮৯ জন নারীর ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে, যেসব নারীরা সকালে নাস্তা বাদ দিয়েছেন তাদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি। বিপাকক্রিয়ায় সমস্যা রাতের খাবার খাওয়ার পর থেকে ৮-১০ ঘণ্টা, একটা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পেট খালি থাকে। সকালে নাশতা করলে তাই তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। যারা সকালে নাশতা করেন না বা দেরিতে করেন তাদের পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বা খাবার দেরিতে হজম করা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। চুলপড়া বাড়ে সকালের নাস্তা এড়িয়ে গেলে শরীরে প্রোটিনের মাত্রা মারাত্মক মাত্রায় কমে যায়, যা কেরাটিনের মাত্রায় প্রভাব ফেলে। কেরাটিন কমে গেলে চুলের বৃদ্ধি কমে যায়। ফলে চুল পড়তে শুরু করে। স্মৃতিভ্রষ্টতা ও শক্তির ঘাটতি সকালের নাশতা না করলে স্মৃতিশক্তি ও শারীরিক শক্তির ঘাটতি দেখা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সকালের নাশতা করেন না তারা অবসাদে ভোগেন এবং সহজে ভুলে যান। সকালের খাবার এড়ালে শারীরিক শক্তি কমে যেতে পারে, যা স্মৃতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ঢাকাওয়াচ/স

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত-মৃত্যু: অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২০২৩
বিদায়ী বছর ২০২৩ সালে রাজধানীসহ সারা দেশেই ছিল ডেঙ্গু রোগের অপ্রতিরোধ্য সংক্রমণ। ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ সালে দেশে সাড়ে পাঁচ হাজার জন ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয় এবং ৯৩ জনের মৃত্যু হয়। ২০০১ সালে আড়াই হাজার লোক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় এবং ৪৪ জনের মৃত্যু হয়। ২০০২ সালে ছয় হাজার রোগীর মধ্যে ৫৮ জন মারা যান। ২০০৩ সালে ৪৮৬ জনের মধ্যে ১০ জন, ২০০৪ সালে চার হাজারের মধ্যে ১৩ জন, ২০০৫ সালে এক হাজারের মধ্যে চার জন, ২০০৬ সালে দুই হাজারের মধ্যে মৃত্যু হয় ১১ জনের। ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত আড়াই হাজার ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেও কারও মৃত্যু হয়নি। ২০১১ দেড় হাজার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়। ২০১২ সালে ৬৭১ জনের মধ্যে একজন, ২০১৩ সালে প্রায় দুই হাজারের মধ্যে দুজন রোগী মারা যান। ২০১৪ সালে ৩৭৫ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে কেউ মারা যাননি। ২০১৫ সালে তিন হাজারের মধ্যে ছয়জন, ২০১৬ সালে ছয় হাজারের মধ্যে ১৪ জন, ২০১৭ সালে তিন হাজারের মধ্যে আট জন, ২০১৮ সালে ১০ হাজার ১৪৮ জনের মধ্যে ২৬ জন, ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জনের মধ্যে ১৭৯ জন মারা যান। ২০২০ সালে দেড় হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেও মৃত্যু হয় চারজনের। আর ২০২১ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় সাড়ে ২৮ হাজার, মারা যান ১০৫ জন। ২০২২ সালে সর্বমোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন এবং মোট ২৮১ জন মারা যান। ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জনের মৃত্যু ছিল দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু বিষয়ক তথ্য থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ৫৬৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এবং ছয় জন মারা গেছেন। ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ এবং মৃত্যু ৩ জন, মার্চে আক্রান্ত ১১১ জন এবং কেউ মারা যায়নি। এপ্রিলে আক্রান্ত ১৪৩ এবং মৃত্যু দুই জন, মে মাসে আক্রান্ত এক হাজার ৩৬ জন এবং মৃত্যু দুই জনের, জুন মাসে আক্রান্ত পাঁচ হাজার ৯৫৬ জন, মৃত্যু ৩৪ জন। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে আক্রান্ত ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং ২০৪ জনের মৃত্যু হয়। আগস্ট মাসে আক্রান্ত ৭১ হাজার ৯৭৬ জন এবং মৃত্যু ৩৪২ জন, সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন ও মৃত্যু ৩৯৬ জন। অক্টোবর মাসে আক্রান্ত ৬৭ হাজার ৭৬৯ জন এবং মৃত্যু ৩৫৯ জন, নভেম্বরে আক্রান্ত ৪০ হাজার ৭১৬ জন এবং ২৭৪ জনের মৃত্যু হয়। ডিসেম্বর মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট নয় হাজার ২৮৮ জন এবং ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের এক তারিখ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে ঢাকাতে এক লাখ ১০ হাজার আটজন ও সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। একই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতে ৯৮০ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) ৭২৫ জন মারা যান। ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দেশের ইতিহাসে অতীতের সকল বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত গ্রীষ্মকালে ডেঙ্গু রোগের মৌসুম হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বর্তমানে সারা বছর জুড়েই ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ দেখা গেছে। অতীতের বছরগুলোতে শহরের বাসা বাড়িতে আবাসিক ধরনের মশা (এডিস ইজিপটাই) ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঘটালেও, বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের বুনো মশাও (এডিস এলবোপিকটাস) ডেঙ্গুর বাহক হিসেবে কাজ করছে। গত কয়েক বছর ধরে অব্যাহতভাবে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঘটলেও যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ না করায় ডেঙ্গু ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। ঢাকাওয়াচ/টিআর

আজ বিশ্ব কিডনি দিবস
বিশ্ব কিডনি দিবস আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বৃহস্পতিবার (০৯ মার্চ) বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হবে। প্রতি বছর মার্চের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার এই দিবসটি পালিত হয়। এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। চলতি বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘সবার জন্য সুস্থ কিডনি’। কিডনী দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পস, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন, পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কিডনি ডিজিজ অ্যান্ড ইউরোলজি হাসাপাতালের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেশন হলে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। ঢাকাওয়াচ/স

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আইসিডিডিআরবি’র সচিত্র নির্দেশনা
মহামারী করোনাভাইরাসে মঙ্গলবার (৩ মার্চ) পর্যন্ত ৩ হাজার ১০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ হাজার মানুষ। এরই মধ্যে ৭০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। ফলে করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশ থেকে বাংলাদেশে আসা সবাইকেই গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। মঙ্গলবার (৩ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশ থেকে যারা আসছেন তাদের আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কারো প্রতি সন্দেহ হলেই তাকে আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। এদিকে, করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কিছু পরামর্শ মেনে চলার কথা বলেছে আইসিডিডিআরবি। লেখচিত্রে এই নির্দেশনাগুলো মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আইসিডিডিআরবির ওই সচিত্র নিদের্শনা তুলে ধরা হলো- নতুন করোনা ভাইরাস (সিওভিআইডি-১৯)-সহ অন্যান্য সংক্রমণ থেকে নিজেকে এবং অপরকে রক্ষা করুন। ঘন ঘন হাত পরিষ্কার করুন। উভয় হাত। কব্জি পর্যন্ত হাতের উভয় পাশ, হাতের নখসমূহ। সাবান ও পানি দিয়ে ভালো করে হাত পরিষ্কার করুন অন্তত ৪০-৬০ সেকেন্ড সময় ধরে। অথবা অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন (২০-৩০ সেকেন্ড)। পানি দিয়ে হাত ভেজান। পুরো হাতে সাবান মেখে ভালো করো ধুয়ে নিন। অথবা হাতের তালুতে স্যানিটাইজার দিয়ে ভালকরে হাত পরিষ্কার করুন। হাঁচি-কাশি শিষ্টাচার মেনে চলুন। হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় হাতের কনুই এর ভাঁজে, বা টিস্যু দিয়ে মুখ ও নাক ঢাকুন। ব্যবহৃত টিস্যুটি দ্রুত বন্ধ ডাস্টবিনে ফেলুন এবং সানিটাইজার বা সাবান ও পানি দিয়ে ভালো করে হাত পরিষ্কার করুন। অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শকরা থেকে বিরত থাকুন। আক্রান্ত ব্যাক্তি থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকুন। হাঁচি, কাশি বা জ্বরে আক্রান্ত ব্যাক্তি থেকে কমপক্ষে ১ মিটার বা ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। পরিচিত বা অপরিচিত ব্যাক্তির সাথে হাত মেলানো বা আলিঙ্গন করা থেকে বিরত থাকুন। ঢাকাওয়াচ/স

লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি কমাতে মেনে চলুন ৩ পরামর্শ
শরীরের সকল দূষিত বর্জ্য পদার্থ বের করে তাকে সুস্থ রাখাই যকৃৎ বা লিভারের কাজ। আর আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির মারাত্মক একটি অসুখের নাম হল লিভার সিরোসিস। এই রোগে লিভার পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়ে। অর্থাৎ লিভার তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়, যার ফলে বাড়ে মৃত্যুঝুঁকি। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান। কিন্তু খুব সহজেই আমরা এই মারাত্মক রোগের হাত থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারি। সামান্য সতর্কতায় লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নেওয়া যাক তার উপায়- ১) যে খাবারগুলো সহজে হজম হবে এবং হজমশক্তি বাড়াতে বেশ কার্যকর সে ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। ব্রকলি, সবুজ শাক, বাঁধাকপি এবং ফুলকপি লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। এছাড়া কাঁচা পিয়াজ এবং রসুন লিভারের জন্য ক্ষতিকর টক্সিনকে দেহ থেকে দূর করতে সহায়তা করে এবং লিভারের সুস্থতা নিশ্চিত করে। ২) নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের অভ্যাস গড়ে তুলুন। শারীরিক পরিশ্রম শরীরে মেদ কমানোর পাশাপাশি লিভারে মেদ জমতে দেয় না। ফলে লিভার সংক্রান্ত সমস্যায় আক্রান্তের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে মাত্র ২০ মিনিটের শরীরচর্চা লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের মাধ্যমে লিভারের মারাত্মক সমস্যা থেকে দূরে থাকুন। ৩) নিয়মিত সঠিক পরিমাণে পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। পানি আমাদের লিভারের জন্য ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে লিভারকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। যারা পানি কম পান করেন তাদের লিভারের নানা সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। তাই পানি বেশি করে খান। দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করুন। ঢাকাওয়াচ/স

ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে যে ফলগুলো
বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার বাড়ছে আর আগের তুলনায় এখন আরও বেশি মানুষ এই রোগে মারা যাচ্ছে। ২০১৮ সালে সারা পৃথিবীতে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৯৬ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে বছরে এক কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ মারা যাবে। তবে ক্যান্সার আক্রান্ত হবার পর সুস্থ হয়ে ফিরে আসার সংখ্যাও বাড়ছে প্রতি বছর। সেই সঙ্গে বিজ্ঞানীরাও ক্যান্সার শনাক্ত ও চিকিৎসার নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে আসছেন। কিছু ফল আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। যেমন কমলা, আপেল, স্ট্রবেরি, আঙুর ও বেদানা বা ডালিম। ঢাকাওয়াচ/স

নতুন বছর সহজ অঙ্গীকার
১। স্বাস্থ্যকর খাবার খান। বাড়িয়ে দিন ফল আর সবজি খাওয়া। কিছু সংরক্ষণ করুন ফ্রিজে। ঘরে আর কর্মস্থল সর্বত্র আহার। ২। যথেষ্ট ঘুমাবেন। ৭-৮ ঘণ্টা। ঘুমের আগে উষ্ণ ধারা জলে স্নান আর বই পড়ুন। ৩। ধৈর্য ধারণ করুন নিজের উদ্বেগ প্রকাশের চেয়ে বরং শুনুন বেশি বলুন কম। ৪। নিজের জন্য কিছু একান্ত সময় বের করে নিন। ৫। সম্পর্ক উন্নত যাতে হয় সেরকম কাজ করুন। ৬। অতীত ভুলে যান। ৭। নিজের ডেস্কের জঞ্জাল সাফ করুন। ৮। আরও বেশি পানি পান করুন। ৯। নিজ হাতে নোট লিখুন। প্রিয় বন্ধুকে লিখুন চিঠি। ১০।নিঃশর্ত ভাবে মানুষকে ধন্যবাদ দিন। ১১। স্মার্ট ফোন আসক্তি অতিক্রম করুন। ১২। নিজের খাবার নিজে রান্না করুন। ১৩। দান করুন। ১৪। ঘরের বাইরে সময় কাটান। ১৫। নিয়মিত ধ্যান করুন। ১৬। একটি শখ বেছে নিন । ১৭। নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হন । ১৮। নিজের ঘর দোর পরিষ্কার করুন। ১৯। একটি বাজেট স্থির করুন আর এতে লেগে থাকুন। ২০। আরও বই পড়ুন । ঢাকাওয়াচ/স

স্তন ক্যান্সার শনাক্তে গুগল এআইয়ের বিস্ময়কর সফলতা
স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করতে গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আশাবাদী করে তুলেছে বিজ্ঞানীদের। স্তন ক্যান্সার নিরুপণে প্রচলিত পরীক্ষায় অনেক ভুল ধরিয়ে দিয়েছে গুগল। এটিকে গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিস্ময়কর সফলতা বলছেন চিকিৎসকরা। গুগলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভুল রিপোর্টের কারণে প্রায়ই রোগীর স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসায় দেরি হতে দেখা যায়। এ কারণে রোগীর দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। এ ছাড়া রেডিওলজিস্ট, যাদের সংখ্যা এমনিতেই কম, তাদের কাজের চাপও বাড়ে। এ কারণে ক্যান্সার শনাক্তে ব্যবহার করা হচ্ছে গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এ বিষয়ে গুগল হেলথ-এর প্রযুক্তি প্রধান শ্রাভিয়া শেঠি বলেন, ভবিষ্যতের অ্যাপ্লিকেশনের জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে, যেখানে মডেলটি স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণে রেডিওলজিস্টদের সহায়তা করবে।’ এ ক্ষেত্রে মেমোগ্রাম দেখে স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণে গুগলের মডেল আরও নিখুঁত ফল দেয়। এতে বিশেষজ্ঞদের তুলনায় ভুল রিপোর্ট কম আসে বলে দাবি করেছে গুগল। খবর আইএএনএসের। এক্স-রে ইমেজিং স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পরীক্ষা। প্রতি বছর শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যেই এ পরীক্ষা ৪ কোটি ২০ লাখের বেশি হয়ে থাকে। গবেষকরা গুগলের এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিতে যুক্তরাজ্যে ৭৬ হাজারের বেশি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ হাজারের বেশি নারীর মেমোগ্রাম ব্যবহার করেছেন। পরে যুক্তরাজ্যে আরও ২৫ হাজার নারী এবং যুক্তরাষ্ট্রের তিন হাজার নারীর মেমোগ্রাম এই মডেল দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। গুগল জানিয়েছে, ‘পরীক্ষায় দেখা গেছে, আমাদের ব্যবস্থায় স্তন ক্যান্সার নেই কিন্তু রিপোর্টে বলা হয়েছে আছে এমন ভুল ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রে কমিয়েছে ৫.৭ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যে ১.২ শতাংশ। অন্যদিকে স্তন ক্যান্সার আছে কিন্তু রিপোর্টে বলা হয়েছে নেই যুক্তরাষ্ট্রে এমন ভুল ফলাফল কমিয়েছে ৯.৪ শতাংশ। আর যুক্তরাজ্যে কমিয়েছে ২.৭ শতাংশ। পরবর্তীতে মডেলটি যুক্তরাষ্ট্রের নারীদের ডেটার প্রশিক্ষন দিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়েছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, ক্যান্সার নেই কিন্তু রিপোর্টে বলা হয়েছে আছে এমন ভুল কমেছে ৩.৫ শতাংশ এবং ক্যান্সার আছে কিন্তু রিপোর্টে বলা হয়েছে নেই এমন ভুল কমেছে ৮.১ শতাংশ। শুধু এই এক্স-রে দেখেই স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণে মানব বিশেষজ্ঞদের চেয়ে এগিয়ে গেছে গুগলের এআই মডেল। ঢাকাওয়াচ/স

শরীরের ভাইরাস ধ্বংস করবে প্লাজমা
ডায়াবেটিস, ক্যান্সারসহ একাধিক রোগের ক্ষত বা আক্রান্ত কোষ সারাতে প্রকৃত অর্থেই নিরাময়কারী ওষুধ পেয়ে গেছেন চিকিৎসকরা। প্লাজমা ব্যবহার করে এক্ষেত্রে সফল হচ্ছেন তারা। শুধু তা-ই নয়, ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাস ধ্বংসেও কার্যকর প্লাজমা। বিজ্ঞানীরা তাই আক্ষরিক অর্থেই চিকিৎসা পদ্ধতিতে নতুন বিপ্লবের আশা করছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, প্লাজমা আসলে বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন কাচ। এটি রোগের নিরাময়ে সহায়তা করার ক্ষমতা রাখে। সূর্য ও বাজ পড়ার সময় প্রকৃতির মাঝেও প্লাজমার দেখা পাওয়া যায়। তবে এর তাপমাত্রা খুবই বেশি থাকে। গবেষকরা সফলভাবে শীতল প্লাজমা তৈরি করেছেন। ফলে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ সম্ভব হচ্ছে। বায়োক্যামিস্ট ড. কাই মাসুয়র বলেন, যেন কল্পবিজ্ঞান বাস্তব হয়ে উঠেছে। আমরা এমন সব রোগীর চিকিৎসা করি, মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর যাদের ক্ষত সারেনি। প্লাজমা তৈরি করতে পদার্থবিদদের আর্গন গ্যাস ভরা একটি বোতল, ইলেকট্রোডসহ কিছু তার, বিদ্যুৎ ও একটি আধারের প্রয়োজন হয়। আধারের মধ্যে ভোল্টেজ ও বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের মাধ্যমে গ্যাসের নিউট্রাল কণা রিচার্জ করা হয়। তখন আচমকা প্লাজমা সৃষ্টি হয়। পদার্থবিদ ক্লাউস-টিটার ভেল্টমান বলেন, এটি এমন এক গ্যাস, যার মধ্যে বিদ্যুৎ চলাচল করতে পারে। কোষের মধ্যে পরীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা জানতে পেরেছেন, প্লাজমা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাকের মতো অনেক রোগের প্যাথোজেন মেরে ফেলে। ডয়চে ভেলে। ঢাকাওয়াচ/স