সেই রাতে কারিনার ভূমিকা কী ছিল? মুখ খুললেন সাইফ


Feb 2025/Saif Karina.jpg

বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের বাড়িতে গত ১৫ জানুয়ারি ঘটে যাওয়া হামলার ঘটনায় এখনও হিসাবের সমীকরণ থামছে না। ভেসে আসছে নতুন নতুন তথ্য। অনেকের দাবি সেদিনকার ঘটনা ছিল সাজানো নাটক। যার নেপথ্যকারী সাইফপত্নী কারিনা নিজেই! নেটিজেনদের এসব অভিযোগের পর মুখ খুললেন অভিনেতা।

জানা যায়, ওই রাতে অজ্ঞাত এক আততায়ীর হামলায় জখম হন বলিউড নবাব। ছুরি দিয়ে ৬টি কোপ দেয়া হয় তার শরীরে। এর পরপরই সাইফকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে অপারেশন করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেই রাতে কারিনার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে।

অনেকের মতে, নিশ্চয়ই কারিনা সেদিন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। বাড়িতে এত কিছু ঘটল, কিন্তু তিনি কোথায় ছিলেন? তিনি কি আদৌ বাড়িতে ছিলেন?
  
বিষয়টি নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন সাইফ। কারিনা সম্পর্কে অভিনেতা বলেন, ‘সেদিন কারিনা ডিনার করার জন্য বাইরে গিয়েছিল। আমার পর দিন সকালে কিছু কাজ ছিল বলে আমি বাড়িতেই ছিলাম। আমি যাইনি। ও ফিরে আসার পর আমরা কিছুক্ষণ গল্প করি ও শুয়ে পড়ি। শুয়ে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা চিৎকার শুনতে পাই, কেউ একজন জেহরের ঘরে ঢুকেছে ছুরি হাতে। টাকা চাইছে।’

সাইফ বলেন, ‘চিৎকার শুনেই আমি ঘর থেকে বেরিয়ে আসি এবং লোকটিকে ঘর থেকে বের করার চেষ্টা করি। ধস্তাধস্তি হওয়ায় আমার পিঠে, কব্জিতে ও ঘাড়ে আঘাত লাগে। আমি যখন হাতাহাতি করছিলাম তখন কারিনা জেহকে নিয়ে তৈমুরের ঘরে চলে যায়।’

সাইফ আরও বলেন, ‘কারিনা শুধু আমাকে নয়, বাচ্চা দুটোকেও সঙ্গে করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। ও ভয় পাচ্ছিল, যদি ওই লোকটা বা লোকটার অন্য কোন সঙ্গী বাড়িতে থাকে তাহলে বাচ্চাগুলোর ক্ষতি হয়ে যাবে। আমরা কোন রকমে সিঁড়ি দিয়েই নিচে নামছিলাম। কারিনা ক্যাব, রিক্সা, অটোর জন্য চিৎকার করছিল। আমার পিঠে তখন অসহ্য যন্ত্রণা করছিল।’

নবাবপুত্র বলেন, ‘বেবো বাচ্চাদুটোকে তার বোনের বাড়িতে রেখে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইছিল। বারবার পাগলের মতো সবাইকে ও ফোন করছিল, কিন্তু কেউ এক বারও ফোন ধরেনি। আমি তখন বললাম, আমি ঠিক আছি। আমি মরবো না। সবশেষে একটা অটো ধরে আমরা চারজনেই হাসপাতাল পৌঁছে যাই।’

উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রার নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হন সাইফ আলি খান। হামলাকারী হিসেবে অভিযুক্ত মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ সাইফকে ছয় বার ছুরিকাঘাত করেন। হামলার পরপরই রক্তাক্ত সাইফকে ভর্তি করা হয় লীলাবতী হাসপাতালে। সেখানে সফল অস্ত্রোপচারসহ পাঁচ দিনের চিকিৎসা শেষে গত ২১ জানুয়ারি হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফেরেন সাইফ।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×