প্রধান উপদেষ্টাকে ইবতেদায়ি শিক্ষকদের স্মারকলিপি, দাবি আদায়ে চলবে আন্দোলনও


Jan 2025/Ibtedaee.jpg

ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে সরকারিকরণের দাবিতে দেয়া স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে, আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর হামলার বিচার ও সরকারিকরণের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) সরকারিকরণের দাবি নিয়ে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যেতে চান শিক্ষকরা। তবে পুলিশ তাদের বাধা দেন। এ সময় লাঠিপেটা ও জলকামানের ব্যবহারে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। এতে অনেক শিক্ষক আহত হন।
 
পরে বিকেলে শিক্ষক প্রতিনিধি কাজী মোখলেছুর রহমান জানান, প্রধান উপদেষ্টা স্মারকলিপি নিয়েছেন। সচিব বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু যারা আহত হয়েছেন, এর বিচার ও চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এই আন্দোলন ছেড়ে যাবেন না ইবতেদায়ি স্বতন্ত্র মাদ্রাসা শিক্ষকরা।
 
তিনি আরও বলেন, ‘রোববার সকালে আন্দোলন রত শিক্ষকদের ওপরে হামলার বিচার ও দাবি দাওয়া নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে এপিএস রাস্তায় এসে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। তিনি জানান- সচিব আমাদের সঙ্গে এসে কথা বলবেন। বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে শিক্ষক প্রতিনিধিরা গ্রহণ করেছেন। তবে যতক্ষণ হামলার বিচার ও দাবি আদায় না হবে, ততক্ষণ অবস্থান কর্মসূচি চলবে।’
 
এদিকে, শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
 
এ বিষয়ে ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে হাসনাত লিখেন, ‘ইবতেদায়ি শিক্ষকসহ বাংলাদেশে সামগ্রিক শিক্ষক সমাজ দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত। ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের নিন্দা জানাই। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

আন্দোলনকারী শিক্ষকদের অভিযোগ, পুলিশ মিছিলের অনুমতি দিয়েও হামলা চালিয়েছে। তারা বলেন, ‘৪০ বছর অনুদানভুক্ত ও অনুদানবিহীন মাদ্রাসার শিক্ষকরা বিনা বেতনে শিক্ষকতা পেশায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো জাতীয়করণের ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত লাগাতার অবস্থান ধর্মঘটসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।’
 
তবে, শিক্ষকদের লাঠিচার্জ করা হয়নি বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের এডিসি মীর আসাদুজ্জামান। 

তিনি বলেন, ‘মিছিল নিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বাধা দেয়া হয়। তবে, তারা যে লাঠিচার্জের অভিযোগ করছেন তা ভিত্তিহীন। ছত্রভঙ্গ করার জন্য জলকামান ব্যবহার করা হয়।’

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×