জাকসু নির্বাচনের তফসিল ১ ফেব্রুয়ারি, প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ চাইলেন উপাচার্য
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৮:২১ পিএম, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরামর্শ চেয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করে এ পরামর্শ চান উপাচার্য।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে (চিফ অ্যাডভাইজর জিওবি) এই ব্যাপারে পোস্ট করা হয়।
পোস্টে বলা হয়, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীদের জীবনযাপন বিষয়ে কী কী অগ্রগতি ঘটেছে, সেসব বিবরণ প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন কামরুল আহসান।’
কামরুল আহসান জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহুল প্রতীক্ষিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে। ঘোষণা অনুসারে, নির্বাচনের তফসিল আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হবে।
এরই মধ্যে গেল শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে জানিয়ে জাকসু নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে পরামর্শ চেয়েছেন জাবির উপাচার্য।
কামরুল আহসান বলেন, ‘১৯৭১ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাত্র নয় বার জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং প্রায় ৩৩ বছর ধরে প্লাটফর্মটি নিষ্ক্রিয় রয়েছে। সর্বশেষ ১৯৯২ সালে জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’
এ ছাড়া, তিনি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ও গবেষণার জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে এবং প্রথম বর্ষের ভর্তি ফর্ম ফি কমানো হয়েছে বলেও কামরুল আহসান প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন।
জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন মুহাম্মদ ইউনূস। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষাগত অগ্রগতিতে সন্তোষ জানান তিনি।
জাকসু নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় যদি চায়, তাহলে তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজন করতে পারে।’
এ সময় কামরুল আহসান জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জাবির ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা সম্পর্কেও প্রধান উপদেষ্টাকে জানান।
তিনি বলেন, ‘আহত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৩৭ লাখ টাকা দিয়েছে।
সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন জাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুর রব।