
একাধিক রপ্তানি আয়ের অনিয়ম ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অগ্রণী ব্যাংকের গ্রিন রোড করপোরেট শাখায় রেকর্ড ও নথিপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, মোট ৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি হলেও সংশ্লিষ্ট দুই উদ্যোক্তা রপ্তানি আয় দেশে ফেরত আনেননি।
দুদকের অনুসন্ধান দলের দলনেতা ও উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম ১৭ নভেম্বর ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে চিঠিটি পাঠান। তার সঙ্গে অনুসন্ধানে দায়িত্ব পালন করছেন উপসহকারী পরিচালক মো. রুবেল হোসেন।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, এম আই ট্রেডিংয়ের মালিক মো. সোহাগ মিয়া অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি’র ঢাকার আমিন কোর্ট শাখায় এলসি খুলে রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। অন্যদিকে টোটাল কোয়ালিটি কোম্পানির মালিক হাসান জুনাইদ করিম একই ব্যাংকের গ্রিন রোড শাখা ব্যবহার করে পণ্য রপ্তানি করেন। দুদকের দাবি, তারা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে বর্ণিত অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয়েছেন।
গ্রিন রোড শাখায় পাঠানো চিঠিতে টোটাল কোয়ালিটির মালিক হাসান জুনাইদের ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বর্তমান পর্যন্ত সব রপ্তানি-সংক্রান্ত নথি জমা দিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- সেলস কনট্রাক্ট, কমার্শিয়াল ইনভয়েস, বিল অব লোডিং, বিল অব এক্সপোর্ট, পেমেন্ট মেসেজ, আমদানিকারকের ক্রেডিট রিপোর্ট, নগদ সহায়তার নথি এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট তথ্য।
এ ছাড়া ব্যাংকের ওই শাখায় পরিচালিত তার চলতি হিসাবের ওপেনিং ফর্ম, কেওয়াইসি, টিপি, এসএস কার্ড, হিসাব বিবরণীসহ সব রেকর্ডও জমা দিতে বলা হয়েছে।
আগামী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে সব নথি সরবরাহের অনুরোধ জানানো হয়েছে দুদকের পক্ষ থেকে।