ফ্রিতেও নিচ্ছে না ছাগলের চামড়া, ফুটপাতে ফেলে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা


saurav/images (6).jpeg

রাজধানী ও আশপাশের এলাকার কোরবানির পশুর চামড়ার একটা বড় অংশ কেনাবেচা হয় আমিনবাজারে। তবে এবার আমিনবাজারে কোরবানির পশুর চামড়ার সরবারহ কম। এখানে বড় আকারের গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায়। তবে ছাগল ও ভেড়ার চামড়ার চাহিদা নেই বললেই চলে।

রোববার (৮ জুন) দুপুর পর্যন্ত আমিনবাজারে কোনো আড়তদারকে ছাগল ও ভেড়ার চামড়া কিনতে দেখা যায়নি। ফলে বাধ্য হয়েই বাজার সংলগ্ন সড়ক ও ফুটপাতে এসব চামড়া ফেলে যাচ্ছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

এদিন দুপুর ১২টার দিকে মাত্র একজন ক্রেতাকে গরুর চামড়া কিনতে দেখা গেছে। এছাড়া এসময় ছুরি, চাকু হাতে কয়েকজনকে চামড়ার গায়ে লেগে থাকা মাংস ও হাড় কাটতে দেখা যায়।

কথা হয় শহিদুল হক নামের এক আড়তদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, আজ চামড়া আসছে কম। এক পিস, ২ পিস এমন করে। সকাল থেকে মাত্র ২০ পিস চামড়া কিনেছি। দাম গতকালের মতোই ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা। গতকাল ঈদের দিন ৬০০ পিসের বেশি চামড়া সংগ্রহ করেছি।

ছাগলের চামড়ার ভালো দাম ট্যানারি দিতে চায় না বলে এই চামড়া কেউ কিনছেন না বলেও জানান তিনি।

আমিনবাজারে বিক্রি করতে ৬ পিস ছাগলের চামড়া এনে বিপাকে পড়েছেন মাকসুদ আলম। তিনি বলেন, এখন কী করবো বুঝছি না। ছাগলের চামড়া কেউ নিচ্ছে না। ছাগলের চামড়ার দাম নেই। এতদূর থেকে ছাগলের চামড়া এনে বিপদে পড়েছি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত উল্লাহ বলেন, ২০১৭ সালে হাজারীবাগ থেকে যখন ট্যানারিগুলো সাভারে স্থানান্তর হয়, তখন ছাগলের চামড়া নিয়ে যারা কাজ করে তারা স্থানান্তর হতে পারেননি। এমন অসংখ্য ট্যানারি সাভারে যেতে পারেনি। এখন যে ট্যানারিগুলো আছে সেগুলোর ছাগলের চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার সক্ষমতা নেই। বাকি যেগুলো আছে ওই ট্যানারিগুলার অবস্থা খুবই খারাপ, ওরা দীর্ঘদিন লোকসানে আছে। অনেকগুলো প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ছাগলের চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার মতো বড় কোনো ট্যানারি নেই।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×