এনবিআর বিলুপ্ত
কলম বিরতিতে সারাদেশে রাজস্ব কর্মকাণ্ড প্রায় অচল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৮:০৯ পিএম, ১৪ মে ২০২৫

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে দুই ভাগে ভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। মধ্যরাতে জারি করা এ অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সারাদেশে একযোগে কলম বিরতি পালন করছেন এনবিআরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
গতকাল মঙ্গলবার এনবিআরের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’-এর পক্ষ থেকে তিন কর্মদিবস কলম বিরতি পালনের ঘোষণা আসে। ওই ঘোষণা অনুযায়ী, আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কলম বিরতি পালন করেছেন তারা।
তবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা, বাজেট ও রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম এ কলম বিরতি কর্মসূচির বাইরে রয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত কমিশনার (কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট) সাধন কুমার কুণ্ডু বলেন, একযোগে দেশের সব অফিসে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলম বিরতি পালন করছে। দেশের ও দশের ভালোর জন্য সবার অংশগ্রহণ ও মতামতের ভিত্তিতে যে উদ্যোগ নেওয়া হবে, সেটা সবাই মেনে নেবে। সবার দাবি, এই অধ্যাদেশ বাতিল করে সবাইকে নিয়ে নতুন করে প্রণয়ন করতে হবে।
উপ-কর কমিশনার শাহ মোহাম্মদ ফজলে এলাহী জানিয়েছে, সারাদেশে কলম বিরতি পালন চলছে।
তবে এ বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করে রাজস্ব বোর্ডের এক সদস্য বলেন, এনবিআরের কোথাও কর্ম বিরতি চলছে না। বিশেষ করে তিনি তার অধীনের অফিসারদের সঙ্গে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন।
তার ভাষ্য, কর্মকর্তাদের একটি গ্রুপ অন্য কর্মকর্তাদের ভিন্নদিকে পরিচালনা করার চেষ্টা করছে। কর্মকর্তাদের স্বার্থের ব্যাঘাত কোথাও হয়নি। অচিরেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সারাদেশের বিভিন্ন কর অঞ্চল ও কাস্টমস হাউসে কলম বিরতি চলছে।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে সরেজমিনে দেখা যায়, কর্মকর্তারা যথারীতি দপ্তরে এসেছেন। তবে তারা কোনো দাপ্তরিক কাজ করেননি। কেবল বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনবিআরের কর, শুল্ক ও মূসক নীতি বিভাগের কর্মকর্তারা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। সবগুলো ফ্লোর ফাঁকা দেখা গেছে। সেবাপ্রত্যাশী গ্রাহকের তেমন আনাগোনা দেখা যায়নি।
গত সোমবার গভীর রাতে এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১৭ এপ্রিল উপদেষ্টা পরিষদে খসড়া অনুমোদনের ২৫ দিন পর এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়। যেকোনো সময় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার এ অধ্যাদেশ কার্যকর করবে।