ডেনিম রফতানিতে ইউরোপ-আমেরিকায় শীর্ষ অবস্থানে বাংলাদেশ


gdp.jpg

ইউরোপ-আমেরিকায় ডেনিম রফতানিতে বাংলাদেশ শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোস্তাফিজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে ২৬.৬৪% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বেশি। একই সময়ে ভারতের প্রবৃদ্ধি ২৪.০৪%, পাকিস্তানের ১৭.৪৯%, ভিয়েতনামের ১৩.৯৬% এবং চীনের ৪.১৮%।

সোমবার (১২ মে) শুরু হওয়া বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোতে ১৮তম আসরে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ১৩টি দেশের ৫৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, চীন, তুরস্ক, স্পেন, ইতালি, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্র।

মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন,  আমাদের এ প্রবৃদ্ধি এমন এক সময় যখন ট্রাম্প প্রশাসন বৈশ্বিকভাবে উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে। অর্থাৎ অস্থির আন্তর্জাতিক বাজার ও শুল্কনীতির মাঝেও বাংলাদেশ তার প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। আমার মতে, বাণিজ্য আলোচনার টেবিলে আমাদের শক্তি হবে আমাদের শিল্পের দক্ষতা উন্নয়ন, স্থায়িত্ব ও উদ্ভাবনে অগ্রগতি। কারণ আমাদের যেমন বাণিজ্য অংশীদারদের প্রয়োজন, তেমনি তাদের ভোক্তাদেরও আমাদেরকে প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় বাজারে ডেনিম রফতানিতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। এলডিসিভুক্ত হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নে ‘এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ)’ এবং ‘জেনারেলাইজড স্কিম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) এর আওতায় শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার থাকলেও, ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়ার পর তা অব্যাহত থাকবে না। যদি বাংলাদেশ জিএসপি প্লাস সুবিধা অর্জনে ব্যর্থ হয়, তবে ২০২৯ সাল থেকে ইউরোপে শুল্কমুক্ত রফতানির সুবিধা হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের মোট পোশাক রফতানির ৫০.১৫% যায়।

বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর প্রতিষ্ঠাতা বলেন, গত ডেনিম এক্সপোতে এলডিসি উত্তরণ নিয়ে প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের এক্সপোতে সকল আলোচনা দক্ষতা, উদ্ভাবন ও প্রস্তুতির বিষয়টি মাথায় রেখে আয়োজন করা হয়েছে। এবারের আয়োজনের মূল বার্তা হলো পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়নের দিকে অগ্রসর হওয়া, যার মাধ্যমে ২০২৯ এবং পরবর্তী সময়ের জন্য শিল্পকে প্রস্তুত করা হবে।

দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। ‘ওয়াশিং প্রক্রিয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশের ডেনিম শিল্পের অগ্রগতি’ শীর্ষক আলোচনা প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দিনে ‘বাংলাদেশি ডেনিম ট্রেসেবিলিটি’র ওপর একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×