২০ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি বেড়েছে


MARCH NAEEM 2ND/bb-20250505111909.jpg

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণের রেকর্ড গড়েছে গত ডিসেম্বর প্রান্তিকে। বর্তমানে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় ২০.২ শতাংশ। একই সময়ে ব্যাংক খাতের ঋণস্থিতি ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।

অন্যদিকে, খেলাপি ঋণ ব্যাপক পরিমাণে বাড়ায় এক তৃতীয়াংশ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি বেড়েছে। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ২০ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি বেড়ে ১ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত ডিসেম্বর প্রান্তিকে এ চিত্র উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন মতে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি ছিল ৫৩ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা। ডিসেম্বর প্রান্তিকে মোট ২০ ব্যাংকের সার্বিক ঘাটতি বেড়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে ১০ সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা।

গত ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে ব্যাংকখাতের সম্মিলিত মূলধন ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের অনুপাত (সিআরএআর) কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। যা তার আগের প্রান্তিক সেপ্টেম্বর শেষে ছিল ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ব্যাসেল-৩ নীতিমালা অনুযায়ী, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম মাত্রায় মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে।

ব্যাসেল-৩ অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যাংককে তাদের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ বা ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি বেশি সে পরিমাণ মূলধন সংরক্ষণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই শর্ত কোন ব্যাংক মানতে ব্যর্থ হলে, সেটি মূলধন ঘাটতিতে রয়েছে বলে গণ্য হয়। আর মূলধনের এ অর্থ উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক বিনিয়োগ এবং মুনাফা থেকে সংরক্ষিত হয়। মূলধন ঘাটতিতে থাকা ব্যাংক তাদের শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদান করতে পারে না।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×