পাঁচার হওয়া অর্থ ফেরাতে জোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- ফরিদ শ্রাবণ
- প্রকাশঃ ০৭:০৫ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
হাসিনা সরকারের সময়ে বিভিন্নভাবে দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, পাঁচার হওয়া অর্থ ফেরানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের দক্ষতার অভাব রয়েছে। এজন্য আন্তর্জাতিক মহলের সাহায্য নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, দেশ থেকে ফেরত আনতে অগ্রাধিকার দিয়ে কোন কাজগুলো করতে হবে, তা নির্দিষ্ট করার ক্ষেত্রে আমাদের দক্ষতার অভাব রয়েছে। এজন্যই আমরা বার বার আন্তর্জাতিক সহযোগীতার কথা বলছি।
এছাড়াও তিনি বলেন, পাঁচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যা যা করা দরকার, সবকিছু করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংক সহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক মহল পাঁচর হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে কারিগরি সহযোগীতা করার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ওয়াশিংটন সফর করেছেন গভর্নর। এসময় শুধু পাঁচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে ৫টি বৈঠক করেছেন গভর্নর।
অপরদিকে ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গেও গভর্নরের বৈঠক হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিকিউরিটি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ফেড টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বলেছে, আওয়ামী সরকারের আমলে দেশ থেকে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। সরকারের অন্তত সাতটি নজরদারি সংস্থা থাকার পরও সবার নাকের ডগায় এই বিপুল অঙ্কের টাকা চলে গেছে বিদেশে।
আর এই পাচারের প্রায় ৮০ শতাংশই হয়েছে বাণিজ্যের আড়ালে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, মূলত দুর্বল শাসন ব্যবস্থা, নজরদারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা আর রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবসহ অসংখ্য কারণে টাকা পাচারের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।
