হত্যাচেষ্টা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে ব্যারিস্টার সুমন

যুবদল নেতা ও মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজের সহকারী বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হালিম তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।জানা যায়- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই হৃদয় জুম্মার নামাজ আদায় করে মিরপুর-১০ নম্বরেএলাকায় গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর ১০ নং হাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি।এ ঘটনায় ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন তিনি। মামলার ৩ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি ব্যারিস্টার সুমন।ব্যারিস্টার সুমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত মুখ এবং আলোচিত আইনজীবী। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও ছিলেন।গত জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে তিনি এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং সরকারের পক্ষে জোরালো ভূমিকা পালন করেন। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দেন। সোমবার রাত দেড়টার দিকে মিরপুর-৬ এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আদালতে আইনজীবীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন ব্যারিস্টার সুমন

আদালতে আইনজীবীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রিমান্ড শুনানি শেষে এ কথা বলেন তিনি। হত্যাচেষ্টা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকীকে উদ্দেশ্য করে ব্যারিস্টার সুমন কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। এসময় সুমন বলেন, আপনার সঙ্গে আলাদা করে কিছু বলব না স্যার। আপনার মাধ্যমে সব আইনজীবীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি খুব সরি স্যার।মঙ্গলবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে ব্যারিস্টার সুমনকে আদালতে আনা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল হালিম ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে সোমবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটের দিকে মিরপুর-৬ এলাকা থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই হৃদয় জুমার নামাজ আদায় করে মিরপুর-১০ নম্বরে সমাবেশে যান। সেখানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। ককটেল নিক্ষেপ করে, গুলিও চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হন হৃদয়। তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর ১০ নং হাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি।এ ঘটনায় তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার ৩ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি ব্যারিস্টার সুমন।

নিবন্ধন ফিরে পেতে আইনি লড়াইয়ের পথ খুলল জামায়াতের

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করে দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ। এর ফলে নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াই করার পথ খুলল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ. সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আলী আজম। গত ১ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করার আবেদনের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত এ দিন ধার্য করেন।এর আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।পরে হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াতে ইসলামী। তবে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় গত বছরের নভেম্বরে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে আপিল খারিজের আদেশ দেন। ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল থাকে।এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শেখ হাসিনার সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারায় জামায়াত, ছাত্রশিবিরসহ তাদের অন্য অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে গত ২৮ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাসিনাসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ

গুমের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছেন হুমায়ূন কবির নামে এক ব্যবসায়ী।সোমবার (২১ অক্টোবর) প্রসিকিউশন কার্যালয়ে তিনি অভিযোগটি জমা দেন।আসামির তালিকায় আরও রয়েছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়াসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊধ্বর্তন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।অভিযোগ দায়ের শেষে হুমায়ূন কবির জানান, ২০১৮ সালের ২৭ অক্টোবর তাকে তুলে নিয়ে ১১ দিন ‘আয়না ঘরে’ বন্দী করে রাখা হয়। এসময় তাকে ইলেকট্রিক শক, হাত-পা ও চোখ বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে নির্যাতন করা হয়।এদিকে আওয়ামী লীগের আমলে শিবিরের গুম হওয়া ছয় নেতাকর্মীর সন্ধান চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনে অভিযোগ দাখিল করেছে তাদের পরিবার। হত্যার পর লাশ গুমের অভিযোগে দাখিল করা হয়েছে আরেকটি অভিযোগ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো শেখ হাসিনা এবং তার দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সহস্রাধিক মানুষকে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। ইতোমধ্যে ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, যার বেশির ভাগই হত্যা মামলা।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নাকে আগাম জামিন দিলেন হাইকোর্ট

রাজধানীর খিলগাঁও থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নাকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (২১ অক্টোবর) বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ ইনায়েত হোসাইনের বেঞ্চ তাকে আগাম জামিন দেন।এর আগে, গতকাল রোববার (২০ অক্টোবর) আগাম জামিনের আবেদন করা হয়।গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা হয়। এ মামলায় আসামি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ ১৮০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আইনজীবী জেড আই খান পান্না এ মামলার ৯৪ নম্বর আসামি।সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টসহ (ব্লাস্ট) বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।মামলাটিকে ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ অভিহিত করে আসকের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জেড আই খান পান্না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই ছাত্রদের ন্যায়সঙ্গত দাবি এবং তাঁদের নেতৃবৃন্দকে আটকের ঘটনায় আইনি লড়াইয়ে সম্পৃক্ত থেকেছেন। তাঁর নীতি এবং আদর্শের জায়গায় তিনি সরব ছিলেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্র মনে করে, মানবাধিকার বিষয়ে এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট-সংশ্লিষ্ট আলোচনা, মতামত ও বক্তব্য–সংক্রান্ত কোনো ভূমিকায় কোনো পক্ষের অসন্তুষ্টি থেকে জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা দায়ের করা হতে পারে।’বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই আহাদুল ইসলাম নামে একজনকে গুলি ও মারধরের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে খিলগাঁও থানায় ১৭ অক্টোবর আসকের চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্নাসহ ১৮০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের (৫২)।মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া বাজারের পশ্চিমে শুক্কুর আলী গার্মেন্টস মোড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন বাদী মো. বাকেরের ছেলে মো. আহাদুল ইসলাম। এসময় পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাবসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন এবং ১৪ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ ককটেল ও সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটান এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালান।

গৃহকর্মীকে নির্যাতন মামলায় রিমান্ডে দিনাত জাহান আদর

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ১৩ বছরের গৃহকর্মী কল্পনাকে নির্যাতনের মামলায় গৃহকর্ত্রী দিনাত জাহান আদরের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।রোববার (২০ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমীর আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ওবায়দুল হক তার পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।আসামিপক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত গৃহকর্ত্রীর এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।এর আগে শনিবার (১৯ অক্টোবর) কল্পনাকে নির্যাতনের ঘটনায় তার মা আফিয়া বেগম ভাটারা থানায় মামলা করেন।মামলায় অভিযোগ করা হয়, কল্পনা তিন বছর আগে ২০২১ সালের ১ জুন দিনাত জাহান আদরের বসুন্ধরার বাসায় মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতনে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করে। এরপর থেকে দিনাত কল্পনাকে তার মায়ের দেখা করতে দেননি। বিভিন্ন সময় আফিয়া বেগম ফোনে মেয়ের সঙ্গে আমি কথা বলতে চাইলেও কথা বলতে দেননি। বিবাদীর কাছে তার বাসার ঠিকানা চাইলেও তিনি বাসার ঠিকানা দেননি। ১৯ অক্টোবর ভাটারা থানা পুলিশের মাধ্যমে আফিয়া বেগম সংবাদ পান তার মেয়েকে আসামিরা মারধর করে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আগুনের ছেঁকা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর পচা দুর্গন্ধযুক্ত ক্ষত জখম করেছে। পুলিশ তার মেয়েকে উদ্ধার করে দিনাত জাহানকে আটক করে।আফিয়া বেগমের অভিযোগ, আসামিরা তার মেয়েকে মুখে, হাতেপায়ে, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেত্রাঘাত ও আগুনের ছেঁকা দিয়ে নির্মম নির্যাতন করেছে।

নরসিংদীসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চরাঞ্চলে টেঁটাযুদ্ধ বন্ধে রিট

নরসিংদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার চরাঞ্চলে টেঁটাযুদ্ধ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।রোববার (২০ অক্টোবর) জনস্বার্থে নরসিংদীর বাসিন্দা আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া এ রিট দায়ের করেন।রিটে নরসিংদী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার চরাঞ্চলে টেঁটাযুদ্ধের স্থায়ী সমাধান করতে, বিগত সময়ের সব মামলার নথি পর্যালোচনা করতে, বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন পূর্বক দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রিটে নরসিংদীর রায়পুরার ২৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মধ্যে ৮টি ইউনিয়ন অধ্যুষিত চরাঞ্চলে টেঁটাযুদ্ধে আহতদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে চরাঞ্চলে একটি ৫০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল অথবা রায়পুরা উপজেলা সদরে বর্তমান ৫০ শয্যার স্থলে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।রিটে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, নরসিংদী ও ব্রাক্ষণবাড়িয়াসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

অভিযুক্ত বিচারকদের বিষয়ে উচ্চ আদালতই ব্যবস্থা নেবে

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে ফেরায় যেসব বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতই ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন। ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে বিভিন্ন বিচারপতির নাম এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সুপ্রিম কোর্ট অবরোধ করে। পরে প্রধান বিচারপতি অভিযুক্ত ১২ জন বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান।সেই অভিযুক্ত বিচারপতির সম্পর্কে আসিফ নজরুল বলেন, ‘কিছু বিচারকের ব্যাপারে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। তারা ফ্যাসিস্ট শক্তির নিপীড়ক যন্ত্রে পরিণত হয়েছিলেন। কারো কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। তাদের নিয়ে ছাত্র-জনতার অনেক ক্ষোভ রয়েছে। এখন সুপ্রিম কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত হওয়ায় সেসব বিষয় সাংবিধানিকভাবে নিষ্পত্তির সুযোগ তৈরি হয়েছে।’এই রায়কে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন সুপ্রিম কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত হওয়ায় সেসব বিষয় সাংবিধানিকভাবে নিষ্পত্তির সুযোগ তৈরি হয়েছে। এরপরও উচ্চ আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন, তাই তাদের ব্যবস্থা উচ্চ আদালতই ব্যবস্থা নেবে।’এর আগে রোববার (২০ অক্টোবর) সকালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের রিভিউয়ের আবেদন নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। এতে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা আবার সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে ফিরে।দেশের প্রথম সংবিধানে সংসদের হাতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা রাখা হয়। তবে ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীতে রাষ্ট্রপতিকে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে আবারও পঞ্চম সংশোধনীতে বিচারক অপসারণে নিষ্পত্তির ভার দিতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়। এরপর পঞ্চম থেকে পঞ্চদশ সংশোধনী পর্যন্ত বিচারপতি অপসারণ নিয়ে আর নতুন কোনো সংশোধনী আসেনি। তবে ২০১৪ সালে ষোড়শ সংশোধনীতে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয় জাতীয় সংসদ। তৎকালীন প্রধান বিচারপতির এস কে সিনহার তৎপরতায় হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এর রিভিউতে যায়। সেই বিষয়টি আজ নিষ্পত্তি হলো।

খালেদার বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি ২৪ অক্টোবর

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য নতুন দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। আগামী ২৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।রোববার (২০ অক্টোকর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু তাহেরের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ছিল। মামলার ১৫ আসামির মধ্যে ১৪ জনের অব্যাহতির বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার অব্যাহতি চেয়ে শুনানি শুরু হয়। তবে আদালত দুদক আইনজীবীকে নতুন করে অব্যাহতির বিষয়ে শুনানির কথা বলেছেন। পরে আগামী ২৪ অক্টোবর শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন আদালত।খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী চার দলীয় জোট সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন। মামলার পরদিন খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেপ্তার করা হয়।ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।মামলার ২৪ আসামির মধ্যে ১১ জন এরই মধ্যে মারা গেছেন। মামলার জীবিত আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন ও এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, গ্লোবাল অ্যাগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এস এম শাহাদত হোসেন, বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এ এম সানোয়ার হোসেন ও বন্দরের সাবেক সদস্য লুৎফুল কবীর।

বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের অধীনেই থাকছে

সংসদের নয়, বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের অধীনেই থাকছে। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন আজ রোববার নিষ্পত্তি করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে এখন থেকে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে থাকবে।বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালে সংশোধনীটি আনা হয়। তবে এর বৈধতা নিয়ে রিট করলে চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৬ সালে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ তা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে আপিলটি খারিজ করে রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। ২০১৭ সালে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে রিভিউ চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

ষোড়শ সংশোধনী: রিভিউ আবেদনের শুনানি আগামীকাল

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিত হবে।প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে রোববার (২০ অক্টোবর) এ বিষয়ে শুনানি হবে। রোববারের কার্যতালিকায় রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য রয়েছে।গত ১৫ আগস্ট বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন শুনানির দিন ধার্য করা হয়।প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।আদালতে রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি আদালতে বলেন, অনেকদিন ধরে ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগে রয়েছে। শুনানি হওয়া প্রয়োজন।আগে কয়েকবার সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন কার্যতালিকায় আসলেও শুনানি হয়নি।গত বছরের ২৩ নভেম্বর বহুল আলোচিত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ ৬ জন বিচারপতি শুনতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন আপিল বিভাগ।১৬ নভেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন ৬ জন বিচারপতির বেঞ্চ শুনতে পারবেন কি না, এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন।ওইদিন ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ছিল। শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার জন্য সময় আবেদন করেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন দাখিল করা হয়। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষ ৯০৮ পৃষ্ঠার এ রিভিউ আবেদনে ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে ৯৪টি যুক্তি দেখিয়ে আপিল বিভাগের রায় বাতিল চাওয়া হয়েছে।২০১৭ সালের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন। ৮ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়। ধারাবাহিকভাবে ১১ দিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।আপিল শুনানিতে আদালতে মতামত উপস্থাপনকারী ১০ অ্যামিকাস কিউরির (আদালতের বন্ধু) মধ্যে শুধু ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে মত দেন। অপর ৯ অ্যামিকাস কিউরি ষোড়শ সংশোধনীর বিপক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেন।২০১৬ সালের ১১ আগস্ট সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।২০১৬ সালের ৫ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ বলে রায় ঘোষণা করেন।

হত্যা মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে কামাল আহমেদ মজুমদার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর শাহআলী থানা এলাকায় ইকরামুল হক হত্যা মামলায় ঢাকা-১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।শনিবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কামাল আহমেদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।ছাত্র জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর অন্যান্য মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের মতো কামাল আহমেদ মজুমদারও আত্মগোপনে চলে যান। শুক্রবার দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেফতার করেছে কাফরুল থানা পুলিশ।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট মিরপুর-১০ এর শাহআলী মাজারের সামনে গুলিতে আহত হন ইকরামুল হক। চিকিৎসার জন্য তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে গত ১৪ আগস্ট তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ইকরামুল হকের বাবা জিয়াউল হক ৭ সেপ্টেম্বর শাহআলী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারপতিরা বিচারকাজ শুরু করবেন।এদিন আসামিদের বিরুদ্ধে কয়েকটি আবেদনও করবে রাষ্ট্রপক্ষ। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ আবেদনগুলো করবেন বলে জানা গেছে। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গণহত্যার ঘটনায় করা মামলার বিচার করতে নিয়োগ পাওয়া ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারপতি যোগ দিয়েছেন।এদিকে, ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ আ.লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাইবে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম। বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেরও ট্রাইব্যুনালে গ্রেফতার দেখানো হবে বলেও জানানো হয়। এর আগে, গত ১৫ অক্টোবর তাজুল ইসলাম বলেছিলেন, আমরা বিচারের শুরুর দিন কয়েকটি আবেদন করব। সে বিষয়ে এখনই ডিসক্লজ করছি না। এটি গোপন রাখাই ভালো।একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করতে ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। সেই ট্রাইব্যুনাল জামায়াত-বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করা হয় এবং তা কার্যকরও হয়। মাঝখানে ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ অনেক দিন বন্ধ ছিল। এর মধ্যেই গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের।ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে। ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মধ্যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। এরপর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে গঠিত এ ট্রাইব্যুনালেও পরিবর্তন আনা হয়। গতকাল বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারকে প্রধান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল পুনর্গঠনের অনুমোদন দেয় আইন মন্ত্রণালয়। ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে বিচারিক কাজে যোগ দেন।ছাত্র আন্দোলনের সময় কয়েকশ মৃত্যুর ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাচ্যুত সরকারের কয়েক ডজন মানুষের বিরুদ্ধে বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে এরইমধ্যে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে।বিচারকাজ শুরু হলে সেগুলোর ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ শুরু হলে শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাইবে প্রসিকিউটর টিম।

গণহত্যার বিচার শুরু, হাসিনাসহ আ.লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাইবে প্রসিকিউশন

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গণহত্যার মামলার বিচারকাজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে। এতে শেখ হাসিনাসহ আ.লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাইবে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম। বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেরও ট্রাইব্যুনালে গ্রেফতার দেখানো হবে।এর আগে, গত ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনাসহ পলাতক অন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বিচারক নিয়োগ হলে চলতি সপ্তাহেই জুলাই গণহত্যার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন হবে।গত ১৪ অক্টোবর হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারকে চেয়ারম্যান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। যেখানে ট্রাইব্যুনালের দুইজন সদস্যও রয়েছেন। তারা হলেন— হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।গত ৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এছাড়া প্রসিকিউশন টিমের অপর পাঁচ প্রসিকিউটররা হলেন— মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ, আবদুল্লাহ আল নোমান ও মো. সাইমুম রেজা তালুকদার।এদিকে, ১০ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন করা হয়েছে। যেখানে তদন্ত সংস্থার কো-অর্ডিনেটর পদে মো. মাজহারুল হককে (অ্যাডিশনাল ডিআইজি, অবসরপ্রাপ্ত) এবং কো-কোঅর্ডিনেটর পদে মুহাম্মদ শহিদুল্যাহ চৌধুরীকে (পুলিশ সুপার, অবসরপ্রাপ্ত) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তদন্ত সংস্থার অপর কর্মকর্তারা হলেন— মো. আলমগীর (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ঢাকা), মোহা. মনিরুল ইসলাম (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পিবিআই হেডকোয়ার্টার্স), মো. জানে আলম (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ঢাকা), সৈয়দ আবদুর রউফ (সহকারী পুলিশ সুপার, ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুল, ঢাকা), মো. ইউনুছ (পুলিশ পরিদর্শক-নিরস্ত্র, সিআইডি), মো. মাসুদ পারভেজ (পুলিশ পরিদর্শক-নিরস্ত্র, চারঘাট মডেল থানা, রাজশাহী), মুহাম্মদ আলমগীর সরকার (পুলিশ পরিদর্শক-নিরস্ত্র, আরআরএফ-ঢাকা) ও মো. মশিউর রহমান (পুলিশ পরিদর্শক-নিরস্ত্র, সিআইডি, ঢাকা মেট্রো-উত্তর)।

সাবেক মেয়র আতিক কারাগারে

মোহাম্মদপুর থানার তিনটি হত্যা মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অপসারিত মেয়র আতিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকালে তাকে আদালতে নেওয়া হয়। আতিকের বিরুদ্ধে রিমান্ড না চাওয়ায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলী হায়দারের আদালত।এর আগে, বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাতে আতিকুল ইসলামকে রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। আতিকুল ইসলাম মন্ত্রী পদমর্যাদায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন। গত ১৯ আগস্ট তাকেসহ ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করে অন্তর্বর্তী সরকার।ব্যবসায়ী নেতা আতিকুল ইসলাম ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি তিনি ২০১৩-১৪ সাল মেয়াদে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এই আন্দোলনে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ এবং গুলি করে হত্যার অভিযোগে শত শত মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধানসহ দলটির নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়। ইতোমধ্যে সাবেক মন্ত্রী, এমপি, মেয়র, উপদেষ্টাসহ আওয়ামী লীগের অর্ধশতাধিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেকে পালিয়ে বিদেশে চলে গেছেন।

আজ শুরু হচ্ছে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার কার্যক্রম

আজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারিক কার্যক্রম। সকাল সাড়ে ১০টায় ট্রাইব্যুনাল বসার কথা। যে ট্রাইব্যুনালে ৭১’র মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার হয়েছে; সেখানেই ২৪’র গণঅভ্যুত্থান দমনে চালানো নিপীড়ন, হত্যাযজ্ঞের বিচারের দায়িত্ব পড়েছে। যার মূল আসামি- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সহযোগীরা।মূল ভবনের সংস্কার কাজ প্রায় শেষের দিকে হলেও; আপাতত টিনশেডের এজলাসেই বসবে ট্রাইব্যুনাল। এখন পর্যন্ত তদন্ত সংস্থা এবং প্রসিকিউশনে ৫৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে। যেগুলোর চলছে চার্জ ফ্রেমিংয়ের কাজ। অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য বিদেশ থেকে আইনজীবী নিয়োগেরও সুযোগ রাখা হয়েছে।দ্রুততম সময়ে বিতর্কমুক্ত একটি বিচারকাজ সম্পন্ন করতে আশাবাদী ট্রাইব্যুনালের নতুন প্রসিকিউশন টিম। কিন্তু, সাক্ষীদের নিরাপত্তা, ভুক্তভোগীর ক্ষতিপূরণ আইন এবং রাজনৈতিক দলকে সাজা দেয়ার এখতিয়ারের যে সংশোধনীর কথা বলা হচ্ছে; আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতে তার কতোটা হয়- সেটি বোঝা যাবে অধ্যাদেশ জারির পর।আইনজ্ঞদের অভিমত, আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন- ১৯৭৩-এর ২৬টি ধারার ৩ নম্বর জুরিসডিকশনে অপরাধের যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে, যেগুলোর সাথে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের নির্যাতনের মিল রয়েছে।

এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান কারাগারে

এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ইমন হোসেন গাজী নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।এ সময় আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ২ অক্টোবর তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।এর আগে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে তাকে গুলশান থেকে গ্রেফতার করা হয়।রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার চিটাগাং রোডে ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ইমন হোসেন গাজী নামে এক যুবক। এ ঘটনায় তার ভাই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ২৮ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় ৮৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

বাড্ডায় গণপিটুনিতে রেনু হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন

ছেলে ধরা সন্দেহে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড আর ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুরশিদ আহম্মেদের আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।২০১৯ সালের ২০ জুলাই উত্তর বাড্ডায় ছেলে ধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে আহত করে বিক্ষুব্ধ জনতা। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওইদিন বাড্ডা থানায় ৪০০-৫০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন রেনুর ভাগ্নে নাসির উদ্দিন।২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক। ২০২১ সালের ১ এপ্রিল ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতিমা ইমরোজ ক্ষনিকা ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় ৩৬ সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ও মহিন উদ্দিন।এছাড়া আসামি জাফর হোসেন পাটোয়ারী ও ওয়াসিম আহমেদ অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দেওয়া হয়েছে। তাদের বিচার শিশু আদালতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শপথ নিলেন হাইকোর্টের নতুন ২৩ বিচারপতি

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া ২৩ অতিরিক্ত বিচারপতি শপথ গ্রহণ করেছেন।বুধবার (৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল আজিজ আহমেদ।এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।আইন সচিব মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান-এর ৯৮ অনুচ্ছেদ-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিম্নবর্ণিত (ক)-(ব) ক্রমিকে উল্লেখকৃত ২৩ জন ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগদান করেছেন। তারা হলেন– মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন, মুবিনা আসাফ, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো. আবদুল মান্নান, তামান্না রহমান, মো. শফিউল আলম মাহমুদ, মো. হামিদুর রহমান, নাসরিন আক্তার, সাথিকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, শেখ তাহসিন আলী, ফয়েজ আহমেদ, মো. সগীর হোসেন, শিকদার মাহমুদুর রাজী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী।শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে এ নিয়োগ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

হাইকোর্টে নতুন ২৩ বিচারপতি নিয়োগ

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ২৩ জনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।আইন সচিব মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান-এর ৯৮ অনুচ্ছেদ-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিম্নবর্ণিত (ক)-(ব) ক্রমিকে উল্লেখকৃত ২৩ জন ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগদান করেছেন। তারা হলেন– মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন,মুবিনা আসাফ, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো. আবদুল মান্নান, তামান্না রহমান, মো. শফিউল আলম মাহমুদ, মো. হামিদুর রহমান, নাসরিন আক্তার, সাথিকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, শেখ তাহসিন আলী, ফয়েজ আহমেদ, মো. সগীর হোসেন, শিকদার মাহমুদুর রাজী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে। সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানায়, বুধবার (৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতিদের শপথ পাঠ করাবেন।

চার মামলায় জামিন পেলেন সাবের হোসেন চৌধুরী

রাজধানীর খিলগাঁও থানার চার মামলায় জামিন পেয়েছেন সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। এর মধ্যে দুটি হত্যা ও দুটি হত্যাচেষ্টার মামলা.মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত এসব মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।এর আগে, রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেলে ডিবির একটি টিম সাবের হোসেন চৌধুরীর গুলশানের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।গতকাল সোমবার তাকে বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যা মামলার শুনানির জন্য ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। সেখানে তার ওপর পচা ডিম নিক্ষেপ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এছাড়া, আদালতে পুলিশের প্রটোকল ভেঙে তার ওপর হামলা করা হয়।সাবের হোসেন চৌধুরী রাজধানীর খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তাকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।এক সময় তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

বরখাস্ত হওয়া সেই ম্যাজিস্ট্রেটকে আদালতে হাজির হতে সমন

ফেসবুকে বিতর্কিত স্ট্যাটাসের জেরে বরখাস্ত হওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আগামী ২৮ নভেম্বর তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন বিচারক।মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালত এই আদেশ দেন।এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের সামনে বুক পেতে দিয়ে শহীদ আবু সাঈদসহ অন্য শহীদদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মানহানিরমামলার আবেদন করেনগণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, গত ৫ অক্টোবর আসামি ঊর্মি শুধু শহীদ আবু সাঈদ নয়, সরকারের দায়িত্বশীল পদে থাকা সত্ত্বেও ছাত্র-গণআন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকার ও সরকারপ্রধান নোবেল বিজয়ী প্রধান উপদেষ্টা জনাব ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধেও অবমাননাকর বক্তব্য ফেসবুক লিখেন। যার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেফারেন্সের ভিত্তিতে সংবিধান সম্মতভাবে গঠিত একটি সরকার প্রধান সম্পর্কে বিষদ্গার করা হয়েছে এবং সরকার উৎখাতের হুমকি দিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে।গতকাল সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কার্যালয় থেকে ঊর্মিকে বরখাস্ত করার কথা জানানো হয়। তার আগের দিন রোববার উর্মিকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। আলোচিত এই ম্যাজিস্ট্রেটের দুটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করে। গত শনিবার (৫ অক্টোবর) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি ফেসবুক পোস্টে লেখেন- ‘মানে কত বড় বোকার স্বর্গে আছি এইটা শুধু চিন্তা করি। আবু সাইদ! বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী, সন্ত্রাসী একটা ছেলে যে কী না বিশৃংখলা করতে গিয়ে নিজের দলের লোকের হাতেই মারা পড়লো সে নাকি শহীদ! এটাও এখন মানা লাগবে! আর এই আইন ভঙ্গকারী সন্ত্রাসী র জন্য দেশের অথর্ব অতি প্রগতিশীল সমাজ কেঁদেকেটে বুক ভাসিয়েছে। তখন যাকেই বলার চেষ্টা করেছি পুরো ঘটনা তদন্তসাপেক্ষ, সেই দশটা কথা শুনিয়ে দিয়েছে। প্রশাসনে থেকে সরকারের দা লাল হয়ে গিয়েছি একথা বুঝানোর তো বাকিই রাখনি।’এছাড়া আরেক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’

এবার সেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেওয়া ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে কটূক্তি এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট করে সাময়িক বরখাস্ত সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম উর্মির বিরুদ্ধে মানহানির মামলার আবেদন করা হয়েছে।মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বাদী হয়ে এ আবেদন করেন।বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড শেষে এ বিষয়ে আদেশ পরে হবে বলে জানান আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. খাদেমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, গত ৫ অক্টোবর আসামি উর্মি শুধু শহীদ আবু সাঈদ নয়, সরকারের দায়িত্বশীল পদে থাকা সত্বেও ছাত্র-গণআন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকার ও সরকার প্রধান নোবেল বিজয়ী প্রধান উপদেষ্টা জনাব ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধেও অবমাননাকর বক্তব্য ফেসবুক লিখেন। যার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেফারেন্সের ভিত্তিতে সংবিধান সম্মতভাবে গঠিত একটি সরকার প্রধান সম্পর্কে বিষদগার করা হয়েছে এবং সরকার উৎখাতের হুমকি দিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে।

ফের ৫ দিনের রিমান্ডে সালমান-দীপু মনি-পলক-মামুন

রাজধানীর বাড্ডা থানার একটি হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের আবারও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের একটি আদালত এ আদেশ দেন।এ ছাড়া যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমানের দিনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, নিউমার্কেট, রমনা, ও মোহাম্মাদপুর থানার মোট নয়টি হত্যা মামলায় আসামিদের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা।