
রাজধানীতে আলোচিত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নতুন মোড় এসেছে। এ ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল ওরফে দাউদের বিরুদ্ধে এবার অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) শেরেবাংলা নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত ২৩ ডিসেম্বর ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল ওরফে দাউদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলাটি রুজু করা হয়েছে এবং বর্তমানে সেটির তদন্ত চলছে।
মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী, গত ১২ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি (৩৩)–কে মাথায় গুলি করে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান ফয়সাল করিম মাসুদ।
হত্যা মামলার তদন্তে উঠে আসে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আদালতে স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আসামির মা হাসি বেগম জানান, ঘটনার দিন ফয়সাল করিম মাসুদ একটি কালো রঙের কাঁধের ব্যাগ নিয়ে শেরেবাংলা নগর থানাধীন পশ্চিম আগারগাঁওয়ের কর্নেল গলিতে অবস্থিত ২৭২/৫ নম্বর চৌধুরীবাড়ীর অষ্টম তলায় তার বোন জেসমিনের ভাড়া করা বাসায় আসেন।
জবানবন্দিতে উল্লেখ করা হয়, বাড়ির দারোয়ান মাসুদ মোল্লা ৩-৪ জন লোক নিয়ে বাসার কলিং বেল চাপলে আসামি দরজার ছিদ্র দিয়ে তাকিয়ে পুলিশ মনে করেন। তখন তিনি ব্যাগটি রান্নাঘরের জানালা দিয়ে নিচে ফেলে দেন। ব্যাগটি বাসার মাঝখানের লোহার গ্রিলের ওপর পড়ে থাকে। পরে লোকজন চলে গেলে আসামির নির্দেশে তার মা ব্যাগটি তুলে নেন। এরপর ফয়সাল করিম মাসুদ বাসা থেকে কাউকে কিছু না জানিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যান।
পরবর্তীতে র্যাব-২ গত ১৫ ডিসেম্বর অভিযান চালিয়ে ওই বাসার মাঝখানে থাকা লোহার গ্রিলের ওপর থেকে একটি কালো রঙের ম্যাগাজিন, যাতে ছয়টি তাজা গুলি ছিল, এবং একটি সিলভার রঙের ম্যাগাজিন, যার ভেতরে পাঁচটি তাজা গুলি ছিল—উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত আলামত ও অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্র আইনের মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।