
থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ-২০২৬কে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মহানগরে আইনশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একাধিক নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। নগর পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজের স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সিএমপি- এর নির্দেশনা অনুযায়ী, সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত ও পারকি সৈকতে দর্শনার্থীদের অবস্থান নিষিদ্ধ থাকবে।
গণবিজ্ঞপ্তি জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (গণমাধ্যম) আমিনুর রশিদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশের ২৮, ২৯ ও ৩৩ ধারার ক্ষমতাবলে এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, বছরের শেষ রাতে জনসাধারণের ব্যবহৃত স্থান, সড়ক, উন্মুক্ত এলাকা ও ভবনের ছাদে কোনো ধরনের জমায়েত, নাচগান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা শোভাযাত্রা করা যাবে না। একই সঙ্গে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো এবং ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এ ছাড়া বুধবার সন্ধ্যা থেকে পরদিন একই সময় পর্যন্ত পতেঙ্গা ও পারকি সৈকতে দর্শনার্থীদের প্রবেশ ও অবস্থান নিষিদ্ধ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্রসহ তলোয়ার, বর্শা, বন্দুক, ছোরা, লাঠি ও বিস্ফোরক দ্রব্য বহনেও নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, এ সময় সব নিবন্ধিত বার ও মদের দোকান বন্ধ রাখতে হবে। পাশাপাশি বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র ও বিস্ফোরক বহনের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
নিরাপত্তার স্বার্থে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পতেঙ্গা সি-বিচ ও পারকি বিচ এলাকায় অবস্থান নিষিদ্ধ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে পুনরায় উল্লেখ করা হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি বা মোটরবাইক চালানো, উচ্চ শব্দে হর্ন বাজানো, মাদকাসক্ত অবস্থায় চলাফেরা, নৈতিকতাবিরোধী কর্মকাণ্ড, নারীদের প্রতি হয়রানি বা ইভটিজিং এবং যেকোনো ধরনের বেআইনি কাজ থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। এসব নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।