
পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে বিএনপির সব পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
বহিষ্কারের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে হাসান মামুন বলেন, তিনি আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তার কথায়, “আমি দল থেকে পদত্যাগ করে মনোনয়ন জমা দিয়েছি। এটার দরকার ছিল না, সাধারণ জনগণ হিসেবে বহিষ্কার না করলেও হতো।” তিনি উল্লেখ করেন, ২৮ ডিসেম্বর তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর পদত্যাগপত্র দিয়েছেন এবং এটি রিজভীর কাছে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পটুয়াখালী-৩ আসনে হাসান মামুন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই আসন নুরুল হক নুরকে দেওয়া হয়। তারপরও দলের নির্দেশনা অগ্রাহ্য করে হাসান মামুন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন এবং সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র জমা দেন।
পটুয়াখালী-৩ আসনে দীর্ঘদিন ধরে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন হাসান মামুন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রথমে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু পরে তা পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনিকে দেওয়া হয়। এ আসন নিয়েই এবারও তার মনোনয়ন প্রত্যাশা ছিল।
আসনটি নুরুল হক নুরকে দেওয়া নিয়ে নুর ও হাসান মামুনের সমর্থকদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে নুরকে আসন ছেড়ে দিলে হাসান মামুন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন। বর্তমানে দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা তার পক্ষে কাজ করছেন।