
নরসিংদীর মাধবদীতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জাহিদুল ইসলাম নামে এক ছাত্রদল কর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক ৯টার দিকে সদর উপজেলার মাধবদী থানার নোয়াপাড়া এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত জাহিদুল ইসলাম (২৫) নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে এবং সেকেরচর বাবুরহাট এলাকায় ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সোমবার রাতে জাহিদুল জিনারদী ইউনিয়নের চরনগরদী এলাকায় অবস্থান করছিলেন। সে সময় তার মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। ফোনে জরুরি প্রয়োজনে তাকে মাধবদীর নোয়াপাড়া এলাকায় আসতে বলা হয়।
নোয়াপাড়ায় পৌঁছানোর পর আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে ঘিরে ধরে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা ধারালো ছুরি দিয়ে তার বুকে আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদুলকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ বলেন, “জেলা ছাড়া ছাত্রদলের কোনো কমিটি নেই। জাহিদুলের ছাত্রদলে কোনো পদ নেই। সে ছাত্রদলের একনিষ্ঠ কর্মী। তার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ এন এম মিজানুর রহমান জানান, “তাকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার বুকে ছুরির আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই বিস্তারিত জানা যাবে।”
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। এ হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশি তদন্ত চলছে। জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। তার স্বজনরা জানিয়েছেন, জানাজা-দাফন শেষে মামলা করতে থানায় আসবেন তারা।”