
ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জের মুখে মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইন। তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে ইসলামের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচার মোকাবিলায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ নতুন প্রজন্ম তৈরি করা এখন সময়ের দাবি।
বৃহস্পতিবার ২০ নভেম্বর সকালে কক্সবাজারের জামিয়াতুল ইসলাম মুসলিম (রহ.) মাদ্রাসায় সহীহ বুখারীর দরসে হাদিসের আজিমুশশান জলসায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা এখন যুদ্ধক্ষেত্রে আছি। ডিজিটাল ফেতনার এই যুগে নানাভাবে সারা বিশ্বব্যাপী ইসলামের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচার চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইসলাম প্রচারের সেরা মাধ্যম হতে পারে। এ জন্য মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তির সমন্বয়ে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, দেশে অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী হওয়ায় পরিকল্পিত উদ্যোগের মাধ্যমে বেশি সংখ্যক আলেমা ও হাফেজা তৈরি করতে হবে। তাঁর ভাষায়, “উপমহাদেশ তথা বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারে আলেম-ওলামাদের অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আগামীর বাংলাদেশ ইসলামের বাংলাদেশ। কোরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামের সত্যিকার বাণী প্রচারে আলেম-ওলামাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের দ্বিনি প্রতিষ্ঠান জামিয়া দারুল উলুম করাচির মুহাদ্দিস ও উস্তাদুল হাদিস আল্লামা মুফতি আজিজুর রহমান (হাফি.)। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ তথা কক্সবাজারবাসীর জন্য জামিয়াতুল ইসলাম মুসলিম (রহ.) মাদ্রাসা আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ নেয়ামত। জামেয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি সালাহুল ইসলামের সুযোগ্য পরিচালনায় অত্র জামেয়া ইসলামের খেদমতের অনন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।” পরে তিনি পবিত্র বুখারি শরীফ থেকে দারস পেশ করেন।
জামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মাওলানা সালাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ জলসায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পাকিস্তানের আল্লামা নুরুল বাশার হাফিজুল্লাহ, শায়খ মুফতি আদনান হাফিজুল্লাহ এবং শায়খুল হাদিস আল্লামা আবদুল গফুর নদভী।