
যশোরের শার্শায় শনিবার রাতে একটি সালিশ বৈঠককে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয় ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি জহুরুল ইসলামসহ একই পরিবারের অন্তত ১০ জন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার লাউতাড়া গ্রামের মাছ ধরার ‘ঘুনি’ নিয়ে গ্রামের ইমরান এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুসের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ইমরান ইউনুসকে ধাক্কা দিলে বিষয়টি নিয়ে রাতের দিকে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি জহুরুল ইসলাম। বৈঠকে ইমরানকে ক্ষমা চাইতে বলা হলে ইউনুসের পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়। এরপর আগে থেকে ওত পেতে থাকা স্থানীয়রা; বাবলু, আব্দুল আলীম, জসিম, শাহিন, বাবলু, আমিন, শরিফুল ও ইউনুসসহ ১৫-২০ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ইমরান ও জহুরুল ইসলামের ওপর। তারা ইমরান এবং জহুরুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। হামলার সময় পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও আক্রমণ চালানো হয়।
এই হামলায় জহুরুল ইসলাম (৫০), ইমরান (২৭), নুর মোহাম্মদ (৭৩), কদর আলী (৫০), হেলাল (২৮), সালমা (৩৪), রানুসহ আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আহতদের চিৎকার শুনে দ্রুত উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, জহুরুল ইসলাম ২০২১ সালের হাতেম আলী হত্যা মামলার একজন সাক্ষী ছিলেন। ওই মামলার প্রধান আসামি বাবলু সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় ফিরে এসেছেন।
আহত জামায়াত নেতা জহুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, “বাবলু ও তার অনুসারীরা প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।” আহতদের স্বজনরা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন।
হামলাকারী ইউনুস ও বাবলুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানান, তারা এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছেন এবং কারও সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলীম বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”