
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার নেতৃত্বে হামলার ঘটনায় বিএনপির ছয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকালে উপজেলার পয়সারহাট বন্দর এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যা স্থানীয়ভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
ঘটনায় গুরুতর আহত কয়েকজনকে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাকাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হেমায়েত শিকদার সোমবার রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হন। পরদিন মঙ্গলবার আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি। হেমায়েত ধারণা করেন, তার গ্রেপ্তারের পেছনে স্থানীয় বিএনপি নেতা আ. মন্নান শেখ ও তার ভাই আ. হান্নান শেখের ভূমিকা রয়েছে। বুধবার সকাল ১১টার দিকে হেমায়েত শিকদার ১৫ থেকে ২০ জন সহযোগী নিয়ে পয়সারহাট বন্দরে মন্নান শেখের ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে মন্নানের ভাই হান্নান শেখ ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। হামলায় বাধা দিতে এগিয়ে আসেন ইউনিয়ন জিয়া মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক তানভীর শেখ, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক অলিদ শিকদার এবং ওয়ার্ড বিএনপি কর্মী রুবেল শেখ; তারাও হামলার শিকার হন। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও যুবদল নেতা বাবু খানের ওপরও হামলা চালানো হয়, এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহত বাবু খান, হান্নান শেখ ও রুবেল শেখকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে আগৈলঝাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
অভিযোগের বিষয়ে হেমায়েত শিকদার বলেন, “আমি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে কে বা কারা আমাকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়ে মারে। এতে আহত হয়ে আমি গোপালগঞ্জের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।”
অন্যদিকে আহত বিএনপি নেতা আ. মন্নান শেখ বলেন, “হেমায়েত শিকদারের নেতৃত্বে একদল লোক আমার ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমার ভাইসহ আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন।”
আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. অলিউল ইসলাম জানান, “ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”